এসিড ও ক্ষারের মধ্যে দুটি পার্থক্য লিখ।

এসিড ও ক্ষারের মধ্যকার দুটি পার্থক্য: এসিড ক্ষার এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দেয়। ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH–) দেয়। এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে।  ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে।

একটি পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করো যে -ক্ষার দ্রবণ শুধু লাল লিটমাস পেপারকে নীল করে।

একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমাণ লঘু সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ নিয়ে তাতে লাল লিটমাস কাগজের এক টুকরা যােগ করি। দেখা যাবে, লাল লিটমাস কাগজ নীল বর্ণ ধারণ করেছে। আবার, আরেকটি টেস্টটিউবের মধ্যে সামান্য পরিমাণ NaOH নিয়ে তাতে  নীল লিটমাস কাগজ প্রবেশ করাই । দেখা যাবে  নীল লিটমাস কাগজ নীলই রয়ে গেছে। এই পরীক্ষা থেকে বােঝা যায়, ক্ষার …

একটি পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করো যে -ক্ষার দ্রবণ শুধু লাল লিটমাস পেপারকে নীল করে। Read More »

লঘু ক্ষার দ্রবণ কাকে বলে? লঘু ক্ষার দ্রবণ কী? লঘু ক্ষার দ্রবণ বলতে কী বলে?

লঘু ক্ষার দ্রবণ: বেশি পানির মধ্যে কম পরিমাণ ক্ষার যােগ করে যে দ্রবণ তৈরি করা হয় সেই দ্রবণকে লঘু ক্ষার দ্রবণ বলা হয়।

বাসাবাড়িতে ক্ষার জাতীয় কী কী পদার্থ ব্যবহার করা হয়?

বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত ক্ষার জাতীয় পদার্থ: বাসাবাড়িতে ক্ষার জাতীয় অনেক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যেমন: টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য যে টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড(NaOH) ক্ষার থাকে। কাচ পরিস্কার করার জন্য যে গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার (NH4OH) থাকে।

CaO কে ক্ষারক বলা হয় কেন?

CaO কে ক্ষারক বলা হয়: কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। CaO ক্ষারক, ক্ষার নয় কারণ CaO এ OH– মূলক নাই।

Fe(OH)2 কে ক্ষার বলা যায় না কেন? অথবা Fe(OH)2 ক্ষারক বলা হয় কেন?

Fe(OH)2 কে ক্ষার বলা যায় না: কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। Fe(OH)2 কে ক্ষার বলা যায় না। এটি কারণ এটিতে OH– গ্রুপ আছে কিন্তু এটি পানিতে দ্রবণীয় নয়, এটি শুধু ক্ষারক।

NaOH কে ক্ষার বলা হয় কেন? NaOH একটি ক্ষার-ব্যাখ্যা করো।

কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। NaOH ক্ষার, কারণ সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগে OH– মূলক আছে এবং এটি পানিতে দ্রবণীয়।

সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় / সব ক্ষারকই ক্ষার নয় কিন্তু সব ক্ষারই ক্ষারক-ব্যাখ্যা করো । ক্ষার একটি বিশেষ ধরণের ক্ষারক-ব্যাখ্যা করো।

ধাতুর অক্সাইড ও হাইড্রক্সাইডসমূহকে ক্ষারক বলা হয়। আবার যেসব ক্ষারক পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে। NaOH, KOH, Ca(OH)2 ইত্যাদি ক্ষার কারণ এরা পানিতে দ্রবণীয়। অপরপক্ষে, কপার অক্সাইড, আয়রন অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডসমূহ পানিতে দ্রবীভূত হয় না বলে এগুলাে শুধুমাত্র ক্ষারক কিন্তু ক্ষার নয়। অতএব বলা যায়-সকল ক্ষারই ক্ষারক; কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।

NaOH ক্ষার কিন্তু Al(OH)3 ক্ষারক কেন? ব্যাখ্যা কর।

ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। যে কোনাে ক্ষারে অবশ্যই হাইড্রোক্সাইড যৌগ মূলক থাকবে এবং এটি পানিতে দ্রবীভূত হবে। সাধারণত ধাতুর অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডসমূহকে ক্ষারক বলা হয়। ক্ষার একটি বিশেষ ধরনের ক্ষারক যা পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়। সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয় তাই এটি ক্ষার। কিন্তু অ্যালুমিনিয়াম …

NaOH ক্ষার কিন্তু Al(OH)3 ক্ষারক কেন? ব্যাখ্যা কর। Read More »

কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য কয়টি শর্ত রয়েছে?

কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য কয়টি শর্ত: কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে।

সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার ব্যাখা কর।

সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার: সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার। কারণ ক্ষার এর যে বৈশিষ্টসমূহ আছে সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডও তা প্রদর্শন করে। যেমন-  (i) এটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়ন সৃষ্টির করে যা  লাল লিটমাসকে নীল করে। NaOH(aq) → Na+(aq) + OH–(aq) OH– + লাল লিটমাস → নীল লিটমাস        (ii) এটি এসিডের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। H2SO4 …

সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার ব্যাখা কর। Read More »

ক্ষার কাকে বলে ? ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করো।

ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ: ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। যেকোনাে ক্ষারে অবশ্যই হাইড্রোক্সাইড যৌগ মূলক থাকবে এবং এটি পানিতে দ্রবীভূত হবে। যেমন-সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH), অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার (NH4OH) ইত্যাদি । ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ : →ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে যা লাল লিটমাসকে নীল করে । …

ক্ষার কাকে বলে ? ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করো। Read More »

এসিড-ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়া কাকে বলে? প্রশমন বিক্রিয়া কী? প্রশমন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

এসিড-ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় এসিডের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয় তাকে এসিড-ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়া বলে। তাই বলা হয় এসিড ক্ষারককে আর ক্ষারক এসিডকে প্রশমিত করে। যেমন – KOH + H2SO4  → K2SO4 + H2O

অ্যামােনিয়াম আয়ন (NH4+), ফসফোনিয়াম আয়ন (PH4+) কে ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক বলা হয় কেন ?

অ্যামােনিয়াম আয়ন (NH4+), ফসফোনিয়াম আয়ন (PH4+) এগুলাে ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল মূলক। কেননা ধাতব আয়ন, যেমন Na+, K+ ইত্যাদি অধাতব আয়ন Cl– , SO4— ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ NaCl, KCl, Na2SO4 , K2SO4 উৎপন্ন করে তেমনই NH4+, PH4+ আয়ন Cl–, SO4— ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ NH4Cl, PH4Cl, (NH4)2SO4, (PH4)2SO4 ইত্যাদি উৎপন্ন করে।

ধাতুর মতাে বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক কয়টি ও কি কি ?

ধাতুর মতাে বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক: ধাতুর মতাে বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক দুইটি। যথা -অ্যামােনিয়াম আয়ন (NH4+), ফসফোনিয়াম আয়ন (PH4+) ।

ক্ষারক কাকে বলে? ক্ষারক বলতে কী বোঝ? ক্ষারক কী? ক্ষারক এর সংজ্ঞা দাও।

ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে। যেমন: CaO + 2HCl → CaCl2 + H2O KOH + H2SO4  → K2SO4 + H2O NH4OH + HCl  → NH4Cl + H2O

কপার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কেন?

যে সকল এসিডের জারণ ধর্ম আছে  কপার তাদের সাথে বিক্রিয়া করে। অন্যভাবে বলা যায় Cu জারণ ধর্ম বিশিষ্ট এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে। এসিডের জারণ বিক্রিয়ায় জায়মান অক্সিজেন উৎপন্ন হয়  যার সাথে কপার বিক্রিয়া করে কপার অক্সাইড উৎপন্ন করে । কিন্তু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের কোন জারণ ধর্ম নেই। তাই কপার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না। Cu …

কপার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কেন? Read More »

এসিড বিদ্যুৎ পরিবহণ করে কেন? এসিডের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবাহী কেন?

আমরা জানি, কোনো দ্রবণ তড়িৎ পরিবাহী হওয়ার জন্য তাতে বিচ্ছিন্ন আয়ন থাকা প্রয়োজন।এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন প্রদান করে অর্থাৎ এসিডকে পানিতে দ্রবীভূত করলে এর মধ্যে বিদ্যমান হাইড্রোজেন জলীয় দ্রবণে আয়নে পরিণত হয়। উৎপন্ন হাইড্রোজেন আয়ন জলীয় দ্রবণে ভ্রাম্যমান থাকে বলে জলীয় দ্রবণে বিদ্যুৎ একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ এসিড বিদ্যুৎ পরিবহণ করে …

এসিড বিদ্যুৎ পরিবহণ করে কেন? এসিডের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবাহী কেন? Read More »

Cu এর সাথে গাঢ় HNO3 বিক্রিয়া করে কেন? ব্যাখ্যা করাে।

Cu এর সাথে গাঢ় HNO3 বিক্রিয়া করে:   সক্রিয়তা সিরিজে Cu,H এর নিচে অবস্থিত। অর্থাৎ Cu,H এর চেয়ে কম সক্রিয়। যেহেতু কপারের সক্রিয়তা অত্যন্ত কম এবং লঘু নাইট্রিক জারণ ধর্মহীন সেহেতু এটি সাধারণ অবস্থায় লঘু এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না । কিন্তু গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে কপার বিক্রিয়া করে। গাঢ় নাইট্রিক এসিড একটি শক্তিশালী জারক …

Cu এর সাথে গাঢ় HNO3 বিক্রিয়া করে কেন? ব্যাখ্যা করাে। Read More »

কপার লঘু সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কিন্তু গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে কেন তা ব্যাখ্যা কর।

কপার লঘু সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কিন্তু গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে: জারণ ধর্মবিশিষ্ট এসিড অর্থাৎ যে সকল এসিডের জারণ ধর্ম রয়েছে কপার তাদের সাথে বিক্রিয়া করে। জারণ ধর্মবিশিষ্ট এসিড জারণ ক্রিয়ায় জায়মান অক্সিজেন উৎপন্ন করে, যার সাথে কপার বিক্রিয়া করে কপার অক্সাইড উৎপন্ন করে। লঘু সালফিউরিক এসিডের জারণ ধর্ম নেই, তাই …

কপার লঘু সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কিন্তু গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে কেন তা ব্যাখ্যা কর। Read More »

বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4) এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন?

বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4) এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না:   আমরা জানি, কোনো যৌগ তড়িৎবা বিদ্যুৎপরিবাহী হওয়ার জন্য তাতে বিচ্ছিন্ন আয়ন প্রয়োজন হয়। বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4)আণবিক অবস্থায় থাকে অর্থাৎ আয়নিত অবস্থায় থাকে না । ফলে তাতে  বিচ্ছিন্ন আয়নও থাকে না । এজন্য বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4)এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তবে বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4)এসিডে পানি যােগ করলে H2SO4 আয়নিত হয় এবং …

বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4) এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন? Read More »

CO2 যৌগটি অম্লীয় কেন? CO2 কে অম্লীয় অক্সাইড বলা হয় কেন? CO2 অম্লধর্মী কেন?

CO2 হলাে অধাতুর অক্সাইড । অধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত অম্লীয় হয়। CO2 পানির সাথে বিক্রিয়ায় কার্বনিক এসিড উৎপন্ন করে।           CO2 + H2O ⟶  H2CO3 এছাড়া CO2  ক্ষারধর্মী ধাতুর অক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়া করে লবণ তৈরী করে। যেমন- CO2 , CaO এর সাথে বিক্রিয়া করে CaCO3 তৈরি করে।      CaO + …

CO2 যৌগটি অম্লীয় কেন? CO2 কে অম্লীয় অক্সাইড বলা হয় কেন? CO2 অম্লধর্মী কেন? Read More »

গাঢ় সালফিউরিক এসিডে পানি মেশানাে বিপদজ্জনক কেন? সালফিউরিক এসিড লঘু করতে পানিতে ফোটায় ফোটায় এসিড যােগ করতে হয় কেন?

গাঢ় সালফিউরিক এসিডে পানি মেশানাে বিপদজ্জনক: গাঢ় সালফিউরিক এসিড ঘন তৈলাক্ত পদার্থ, যা পানিতে সকল অনুপাতে মিশ্ৰণীয়। পানির সাথে মিশানাের সময় প্রচুর তাপ নির্গত হয়। সালফিউরিক এসিডে পানি যােগ করলে উত্তাপে পানি বিস্ফোরণাকারে ফুটে এসিড শরীরে পড়তে পারে। এ কারণে সালফিউরিক এসিড লঘু করতে হলে সর্বদা নাড়ানাে অবস্থায় পানিতে ফোটায় ফোটায় এসিড যােগ করতে হয়।

গাঢ় সালফিউরিক এসিড(H2SO4) এর ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় সালফিউরিক এসিড এর  ভৌত ধর্ম : সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO3) গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। যদি কম পরিমাণ পানিতে অধিক পরিমাণ SO3 গ্যাস দ্রবীভূত করা হয় তবে গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) তৈরি হয়। SO3 + H2O → H2SO4 সাধারণত গাঢ় সালফিউরিক এসিডে ভরের অনুপাতে 98% সালফিউরিক এসিড থাকে ।

কীভাবে গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) তৈরি হয়? গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) প্রস্তুতি

গাঢ় সালফিউরিক এসিড: যদি কম পরিমাণ পানিতে অধিক পরিমাণ SO3 গ্যাস দ্রবীভূত করা হয় তবে গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) তৈরি হয়।   SO3 + H2O → H2SO4

সালফিউরিক এসিড কাকে বলে?সালফিউরিক এসিড কী? সালফিউরিক এসিড বলতে কী বোঝ?

সালফিউরিক এসিড: সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO3) গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে সালফিউরিক এসিড বলে।

HNO3 কে বাদামি বােতলের মধ্যে রাখা হয় কেন ? HNO3 কে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়?

 HNO3 কে বাদামি বােতলের মধ্যে রাখা হয় : গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বােতলের মুখ খুললে হালকা কুয়াশার মতাে গ্যাস বের হয় এবং তীব্র ঝাঁজালাে গন্ধ পাওয়া যায়। কাচের বােতলে আলাে প্রবেশ করলে গাঢ় নাইট্রিক এসিড বিয়ােজিত হয়ে বাদামি বর্ণের নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) গ্যাস উৎপন্ন করে। 2HNO3=2NO2+H2O+[O] বাদামী বর্ণের বােতলে আলাে প্রবেশ করতে পারে না। তাই …

HNO3 কে বাদামি বােতলের মধ্যে রাখা হয় কেন ? HNO3 কে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়? Read More »

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের ভৌত ধর্ম: নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড (NO2) গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রাস এসিড (HNO2) ও নাইট্রিক এসিড (HNO3) উৎপন্ন হয়। সাধারণত হালকা ধোয়াসহ গাঢ় নাইট্রিক এসিডে ভরের অনুপাতে 70% নাইট্রিক এসিড থাকে। গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বােতলের মুখ খুললে হালকা কুয়াশা সৃষ্টি হয় এবং তীব্র ঝাঁঝালাে গন্ধ পাওয়া যায়। গাঢ় নাইট্রিক এসিড বিযােজিত হয়ে বাদামি বর্ণের …

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর। Read More »

নাইট্রিক এসিড কাকে বলে? নাইট্রিক এসিড কী? নাইট্রিক এসিড কাকে বলে?

নাইট্রিক এসিড: নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড গ্যাসকে পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে নাইট্রিক এসিড  বলে।

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ভৌত ধর্ম : হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস পানিতে অত্যন্ত দ্রবণীয় । এই গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোক্লোরিক এসিডে পরিণত। হয়। সাধারণ গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ভরের অনুপাতে 35% হাইড্রোজেন ক্লোরাইড থাকে। গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বােতলের মুখ খুললে হালকা কুয়াশা সৃষ্টি হয় এবং তীব্র ঝাঁঝালাে গন্ধ পাওয়া যায় ।

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয় কেন ?

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয়: গাঢ় HCl দ্রবণ যে বােতলে রাখা হয় সেই বােতলের মুখ খুললেই হালকা কুয়াশার মতাে সৃষ্টি হয় এবং তীব্র ঝাঁজালাে গন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য গাঢ় HCl এসিডের বোতলের মুখ খােলার আগে নাকে, মুখে মাস্ক এবং চোখে নিরাপদ চশমা পরে নিতে হয়।   HCl (g) + H2O(l) → …

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয় কেন ? Read More »

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)কাকে বলে? গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড কী ?

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড: তুলনামূলক কম পরিমাণ পানিতে অধিক পরিমাণে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস দ্রবীভূত করে যে এসিড (HCl) তৈরি করা হয় তাকে গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড বলে ।

হাইড্রোক্লোরিক এসিড কাকে বলে ? হাইড্রোক্লোরিক এসিড কী? হাইড্রোক্লোরিক এসিড বলতে কী বোঝ ?

হাইড্রোক্লোরিক এসিড: হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড বলে।

গাঢ় এসিড ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয় কেন ?

গাঢ় এসিড ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার: গাঢ় এসিড হাতে, মুখে, চোখে বা শরীরে পড়লে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এজন্য হাতে হ্যান্ড গ্লাভস, চোখে গগলস, মুখে মাস্ক, শরীরে অ্যাপ্রােন ইত্যাদি পরিধান করে সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।

গাঢ় এসিড কাকে বলে? গাঢ় এসিড কী ? গাঢ় এসিড বলতে কী বোঝ ? গাঢ় এসিড

গাঢ় এসিড: যে এসিডে পানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে সেই এসিডকে গাঢ় এসিড বলে। যেমন- গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4), গাঢ় নাইট্রিক এসিড (HNO3) ইত্যাদি।

বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে না কেন?

বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে না:   আমরা জানি, কোন যৌগ হাইড্রোজেন আয়ন এর উপস্থিতির কারণে এসিডের প্রদর্শন ধর্ম করে। বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড বর্ণহীন তরল পদার্থ। এখানে নাইট্রিক এসিড় আণবিক অবস্থায় থাকে। ফলে কোনাে হাইড্রোজেন আয়ন উপস্থিত থাকে না। তাই বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে। HNO3(l) + H2O(l) → HNO3(aq) HNO3(aq) …

বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে না কেন? Read More »

বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ পরিবাহী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ পরিবাহী নয়: কারণ   আমরা জানি, কোনো যৌগ তড়িৎবা বিদ্যুৎপরিবাহী হওয়ার জন্য তাতে বিচ্ছিন্ন আয়ন প্রয়োজন হয়। বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড আণবিক অবস্থায় থাকে অর্থাৎ আয়নিত অবস্থায় থাকে না । ফলে তাতে  বিচ্ছিন্ন আয়নও থাকে না । এজন্য বিশুদ্ধ HCl এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। বিশুদ্ধ HCl এসিডে পানি যােগ করলে HCl …

বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ পরিবাহী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর। Read More »

এসিডের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। এসিড-ক্ষারক সমতা

অনার্দ্র অক্সালিক এসিডের দানাতে(ক্রিস্টালের উপর) শুষ্ক নীল লিটমাস পেপার স্পর্শ করালে পেপারটির রং পরিবর্তন হয় না কেন?   অনার্দ্র সাইট্রিক এসিডের ক্রিস্টালের উপর শুষ্ক নীল লিটমাস পেপার স্পর্শ করালে পেপারটির রং পরিবর্তন হয় না কেন?    বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিড এর বর্ণ কেমন ?   বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিড এসিডের বৈশিষ্ট্যসূচক …

এসিডের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। এসিড-ক্ষারক সমতা Read More »

H2SO4 ও HCIO4 এর মধ্যে কোনটি তীব্র এসিড ?

H2SO4 অপেক্ষায় HClO4 অধিক তীব্রতর:   আমরা জানি, অক্সি এসিডসমূহের অর্থাৎ অক্সিজেন পরমাণুযুক্ত এসিডসমূহের কেন্দ্রীয় পরমাণুর ধনাত্মক জারণ সংখ্যা যত বেশি ঐ এসিডের তীব্রতা তত বেশি হয়। এখানে H2SO4 এসিডের কেন্দ্রীয় পরমাণু সালফার (S) এর জারণ সংখ্যা হলাে : + 6  । কিন্তু HCIO4  এসিডের কেন্দ্রীয় পরমাণু ক্লোরিন (CI )এর জারণ সংখ্যা হলাে :+7   HCIO4 …

H2SO4 ও HCIO4 এর মধ্যে কোনটি তীব্র এসিড ? Read More »

লঘু এসিডের ধর্মসমূহ বা বৈশিষ্টসমূহ আলোচনা করো।

লঘু এসিডের ধর্মসমূহ বা বৈশিষ্টসমূহ  আলোচনা করা হলো। (i) স্বাদ: সকল লঘু এসিড টক স্বাদযুক্ত। (ii) ক্ষয়কারী: এসিডগুলাে ক্ষয়কারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত। যেমন-এসিডের মধ্যে এক খণ্ড লােহার পাত রাখলে লােহার পাতটির পৃষ্ঠতল ক্ষয়ে ঝাঁঝরা হয়ে যায়। (iii) লিটমাস পরীক্ষা: এসিড নীল বর্ণের লিটমাসকে লাল বর্ণে পরিণত করে।  (iv) সক্রিয় ধাতুর সাথে এসিডের বিক্রিয়া: এসিড সক্রিয় …

লঘু এসিডের ধর্মসমূহ বা বৈশিষ্টসমূহ আলোচনা করো। Read More »

SO2 অম্লধর্মী ব্যাখ্যা করাে। সালফার ডাই অক্সাইড এর প্রকৃতি ব্যাখ্যা করাে।

SO2 মূলত অম্লধর্মী কারণ: সালফার পর্যায় সারণীর 16 তম গ্রুপে অবস্থিত এবং একে বায়ুতে পােড়ালে SO2 উৎপন্ন হয় । SO2 মূলত অম্লধর্মী কারণ এটি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে যা নীল লিটমাসকে লাল করে এবং ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।    SO2(g) + H2O → H2SO3(aq)

এসিডের সাথে ধাতব কার্বনেটের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।

এসিডের সাথে ধাতব কার্বনেটের বিক্রিয়া: এসিডের সাথে ধাতব কার্বনেটের বিক্রিয়ায় লবণ, পানি ও কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। যেমন- সােডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3) লঘু নাইট্রিক এসিড (HNO3) এর সাথে বিক্রিয়া করে সােডিয়াম নাইট্রেট (NaNO3) লবণ, পানি (H2O) ও কার্বনডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস উৎপন্ন করে। বিক্রিয়া: Na2CO3 + 2HNO3 → 2NaNO3 + H2O + CO2

লঘু H2SO4 এর সাথে Cu বিক্রিয়া করে না কেন? Cu এসিড থেকে Hকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না কেন?

লঘু H2SO4 এর সাথে Cu বিক্রিয়া করে না: কারণ ধাতুসমূহের সক্রিয়তার সিরিজে Cu এর অবস্থান H এর অবস্থানের নিচে অর্থাৎ Cu এর সক্রিয়তা H এর সক্রিয়তা  থেকে কম ।তাই Cu, H2SO4 থেকে Hকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। অপরদিকে, লঘু H2SO4 এর কোনাে জারণ ধর্ম নেই। তাই লঘু H2SO4 জায়মান অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারে না। এজন্য …

লঘু H2SO4 এর সাথে Cu বিক্রিয়া করে না কেন? Cu এসিড থেকে Hকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না কেন? Read More »

অধাতু হওয়া সত্ত্বেও হাইড্রোজেনকে সক্রিয়তা সিরিজে রাখা হয়েছে কেন?

যদিও হাইড্রোজেন ধাতু নয়, তথাপি ইহা এসিডসমূহে ধনাত্বক অংশ হিসেবে থাকে। এ কারণে হাইড্রোজেনকে সক্রিয়তা সিরিজে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ সিরিজ হতে সহজে বুঝা যায় যে, হাইড্রোজেনের উপরে যে সকল ধাতু আছে তারা বিভিন্ন এসিড় হতে হাইড্রোজেনকে অপসারণ বা প্রতিস্থাপন করতে পারবে কিন্তু এ সিরিজে  হাইড্রোজেনের নিচের ধাতুসমূহ তা করতে পারে না। Zn + H2SO4(aq) …

অধাতু হওয়া সত্ত্বেও হাইড্রোজেনকে সক্রিয়তা সিরিজে রাখা হয়েছে কেন? Read More »

সক্রিয়তা ক্রম কী ? সক্রিয়তা সিরিজ বলতে কী বোঝ ? তড়িৎরাসায়নিক সিরিজ কাকে বলে ?

সক্রিয়তা ক্রম/ সক্রিয়তা সিরিজ/ তড়িৎরাসায়নিক সিরিজ: অধিক সক্রিয় ধাতুকে উপরে এবং তা অপেক্ষা কম সক্রিয় ধাতুকে নিচে রেখে পরপর সাজালে ধাতুসমূহের যে সংখ্যাক্রম পাওয়া যায় তাকে ধাতুসমূহের সক্রিয়তা ক্রম/ সক্রিয়তা সিরিজ/ তড়িৎরাসায়নিক সিরিজ বলে।

তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ কাকে বলে? তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ কী?

তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ: কিছু কিছু আইসােটোপ রয়েছে যাদের নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে (নিজে নিজেই) ভেঙে আলফা রশ্মি, বিটা রশ্মি, গামা রশ্মি ইত্যাদি নির্গত করে তাদেরকে তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ বলে।

প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত আইসােটোপের সংখ্যা কত?

প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত আইসােটোপের সংখ্যা: এখন পর্যন্ত ৩০০০ সংখ্যক থেকে বেশি আইসােটোপ সম্বন্ধে জানা গেছে। এদের মধ্যে কিছু প্রকৃতিতে পাওয়া গেছে এবং অন্যগুলো গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে  ।

আইসােটোপ সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করাে।

যে সব একই মৌলের পরমাণুর প্রােটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা  ভিন্ন তাদের পরস্পরকে  আইসােটোপ বলে। যেহেতু আইসােটোপগুলাের প্রােটন সংখ্যা সমান তাই নিউট্রন সংখ্যার পার্থক্যের জন্যই ভরসংখ্যা ভিন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ নিউট্রন সংখ্যার ভিন্নতাই  মূলত আইসােটোপ সৃষ্টির কারণ। যেমন:  126C ও  136Cপরস্পরের আইসোটোপ : এদের প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা একই বা 6 …

আইসােটোপ সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করাে। Read More »

নিচের পরমাণু দুটিকে পরস্পর আইসােটোপ বলা হয় কেন?

168X ,  178X পরমাণু দুটিকে পরস্পর আইসােটোপ বলা হয়। কারণ  আইসোটোপের সংজ্ঞা থেকে আমরা জানি, যে সকল একই মৌলের পরমাণুর প্রােটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে একে অপরের আইসােটোপ বলে। প্রদত্ত  দুটি একই মৌলের পরমাণু আবার এদের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা একই অর্থাৎ 8 কিন্তু ভর সংখ্যা ও নিউট্রন …

নিচের পরমাণু দুটিকে পরস্পর আইসােটোপ বলা হয় কেন? Read More »

নিচের হাইড্রোজেন পরমাণু দুটির ভর সংখ্যার ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা করো ।

11H , 21H পরমাণু দুটির ভর সংখ্যার ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা করা হলো :   আমরা জানি,কোনাে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রােটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে ঐ পরমাণুর ভর সংখ্যা বলে।  11H পরমাণুর ক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসে শুধুমাত্র একটি প্রােটন বিদ্যমান। এক্ষেত্রে নিউট্রন সংখ্যা = ভরসংখ্যা -প্রোটন সংখ্যা  বা, নিউট্রন সংখ্যা =1-1=0 অর্থাৎ কোনো নিউট্রন নেই । তাই এর …

নিচের হাইড্রোজেন পরমাণু দুটির ভর সংখ্যার ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা করো । Read More »

নিচে ক্লোরিনের দুটি পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয় কেন?

3517Cl  ও  3717Cl পরস্পরের আইসোটোপ। কারণ আইসোটোপের সংজ্ঞা থেকে আমরা জানি, যে সকল একই মৌলের পরমাণুর প্রােটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে একে অপরের আইসােটোপ বলে। প্রদত্ত ক্লোরিনের দুটি একই মৌলের পরমাণু আবার এদের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা একই অর্থাৎ 17 কিন্তু ভর সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন।  3517Cl …

নিচে ক্লোরিনের দুটি পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয় কেন? Read More »

হাইড্রোজেনের সর্বমােট আইসােটোপ সংখ্যা কত? এদের উৎস কি?

হাইড্রোজেনের সর্বমােট ৭টি আইসােটোপ রয়েছে। এদের মধ্যে তিনটি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। যথা:১. প্রােটিয়াম(11H  ) ২. ডিউটেরিয়াম (21H অথবা  21D) ৩. ট্রিটিয়াম (31H অথবা  31T)। অবশিষ্ট চারটি গবেষণাগারে সংশ্লেষণ করা হয় ।

আইসােটোপ কাকে বলে? উদাহরণসহ আইসােটোপের সংজ্ঞা দাও। আইসােটোপ কী?

যে সকল পরমাণুর প্রােটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে একে অপরের আইসােটোপ বলে। নিউট্রন সংখ্যার ভিন্নতার কারণে আইসােটোপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। উদাহরণ: নাম  প্রতীক  নিউট্রন  সংখ্যা  হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়াম 11H        0 ডিউটেরিয়াম 21H অথবা  21D 1 ট্রিটিয়াম 31H অথবা  31T 2 যে সকল একই মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা একই  কিন্তু …

আইসােটোপ কাকে বলে? উদাহরণসহ আইসােটোপের সংজ্ঞা দাও। আইসােটোপ কী? Read More »

ব্যতিক্রম ইলেকট্রন বিন্যাস । ইলেকট্রন বিন্যাসের সাধারণ নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম

কিছু মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের সাধারণ নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। Cr(24) →1s2 2s2 2p6 3s2 3p63d5 4s1 Cu(29)→ 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d10 4s1   Nb(41) →1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d10 4s2 4p6 4d4 5s1 Mo(42)  →1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d10 4s2 4p6 4d5 5s1 Pd(46)→1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d10 4s2 4p64d10 …

ব্যতিক্রম ইলেকট্রন বিন্যাস । ইলেকট্রন বিন্যাসের সাধারণ নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম Read More »

বিভিন্ন এসিড । পাকস্থলিতে কোন এসিড । লেবু ও তেতুলে কোন এসিড । সফট ড্রিংকস-এ কোন এসিড

 ১.পাকস্থলিতে কোন এসিড উৎপন্ন হয়? উঃ পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) উৎপন্ন হয়। ২.পাকস্থলিতে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে কী হয়? উঃ পাকস্থলিতে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে পাকস্থলি ও গলায় প্রদাহ অনুভব হয়। ৩.লেবু ও তেতুলে কোন এসিড থাকে? উঃ লেবুতে সাইট্রিক এসিড এবং তেতুলে টারটারিক এসিড থাকে। ৪.সফট ড্রিংকস-এ কোন এসিড থাকে? উঃ কার্বনিক এসিড থাকে।

পেপটিক আলসার কাকে বলে? গ্যাস্ট্রিক আলসার কাকে বলে?

পেপটিক আলসার: পাকস্থলীর দেয়াল থেকে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হয়ে তা পাকস্থলীর দেয়ালের কোষগুলােকে ভেঙে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি করে। ফলে পেটে ব্যথা শুরু হয়। এই অবস্থাকে পেপটিক আলসার বলে।

পাকস্থলীতে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হলে কী ঘটে? অথবা খাদ্য গ্রহণ না করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকলে কী ঘটে ?

পাকস্থলীর দেয়াল থেকে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হয়ে তা পাকস্থলীর দেয়ালের কোষগুলােকে ভাঙতে শুরু করে। আবার, খাদ্য গ্রহণ না করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকলে অর্থাৎ পাকস্থলী খালি রাখলে নিঃসরিত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) পাকস্থলীর দেয়ালের কোষগুলােকে ভেঙে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি করে। ফলে পেটে ব্যথা শুরু হয়। এই অবস্থাকে পেপটিক আলসার বলে। তাই বেশিক্ষণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকা …

পাকস্থলীতে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হলে কী ঘটে? অথবা খাদ্য গ্রহণ না করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকলে কী ঘটে ? Read More »

আমাদের শরীরে খাদ্যের মাধমে গ্রহণকৃত এসিডের প্রভাব আলোচনা করো।

খাদ্যের মাধমে গ্রহণকৃত এসিডগুলো আমাদের খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং শরীরের রােগ প্রতিরােধ করে। আবার, আচার জাতীয় অনেক এসিডযুক্ত খাদ্য আছে যেগুলাে আমাদের খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। এসব এসিড খুবই দুর্বল প্রকৃতির হওয়ায় এগুলাে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে না। আবার, এগুলাে খেতে টক স্বাদযুক্ত। আমাদের পাকস্থলীর দেয়াল থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হয়। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী …

আমাদের শরীরে খাদ্যের মাধমে গ্রহণকৃত এসিডের প্রভাব আলোচনা করো। Read More »

কীভাবে বিভিন্ন এসিড আমাদের শরীরে প্রবেশ করে?

আমরা প্রতিদিন অনেক খাবার গ্রহণ করি যেগুলাের মাঝে বিভিন্ন ধরনের এসিড থাকে। যেমন—দুধের মধ্যে ল্যাকটিক এসিড, সফট ড্রিংকসে কার্বনিক এসিড, কমলালেবু বা লেবুতে সাইট্রিক এসিড, তেঁতুলে টারটারিক এসিড, ভিনেগারে ইথানয়িক এসিড, চায়ে ট্যানিক এসিড ইত্যাদি। এই খাদ্যগুলাে যখন আমরা খাই তখন খাদ্যের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এসিডগুলাে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ল্যাকটিক এসিড→ C3H6O3 কার্বনিক এসিড→ H2CO3 …

কীভাবে বিভিন্ন এসিড আমাদের শরীরে প্রবেশ করে? Read More »

লঘু এসিড কাকে বলে? লঘু এসিড কী ? লঘু এসিড বলতে কী বোঝ?

এসিডের জলীয় দ্রবণে পানির পরিমাণ যদি এসিডের তুলনায় অনেক বেশি হয় তবে তাকে লঘু এসিড বলে। যেমন-৪% সালফিউরিক এসিড (H2SO4)। এই এসিডে শতকরা ৪ ভাগ H2SO4 এবং ৯৬ ভাগ পানি ।

গাঢ় এসিড কাকে বলে? গাঢ় এসিড কী? গাঢ় এসিড বলতে কী বোঝ?

এসিড ও পানির দ্রবণে এসিডের পরিমাণ যদি বেশি থাকে তবে তাকে গাঢ় এসিড বলে। যেমন -গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) ইত্যাদি ।

ক্রোমিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন? ক্রোমিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে কেন?

Cr(24) এর ইলেকট্রন বিন্যাস: 1s22s22p63s23p63d54s1 সমশক্তি সম্পন্ন অরবিটালসমূহ অর্ধপূর্ণ বা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হলে সে  ইলেকট্রন  বিন্যাস অধিকতর সুস্থিতি লাভ করে। অর্থাৎ np3, np6, nd5, nd10 এবং nf14 সবচেয়ে সুস্থিত হয়। এর ফলে d10s1 এবং d5s1 ইলেকট্রন বিশিষ্ট মৌল অধিকতর স্থায়ী হয়। এজন্য Cr এর সর্বশেষ  ইলেকট্রন নিম্ন শক্তিস্তর 4s এ না গিয়ে 3d-তে যায় । …

ক্রোমিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন? ক্রোমিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে কেন? Read More »

29 Cu এর ইলেকট্রন বিন্যাস সাধারণ নিয়মে করা যায় না -ব্যাখ্যা কর। কপারের ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যাখ্যা কর। কপার পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে কেন?

আমরা জানি, একই উপশক্তিস্তর p ও d এর অরবিটালগুলাে অর্ধেক পূর্ণ (p3, d5) বা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ (p6, d10) হলে সে ইলেকট্রন বিন্যাস সুস্থিত হয়।   সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী কপার এর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপ: 29Cu → 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d9 4s 2 কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কপার এর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপ:  29Cu → 1s2 2s2 2p6 3s2 …

29 Cu এর ইলেকট্রন বিন্যাস সাধারণ নিয়মে করা যায় না -ব্যাখ্যা কর। কপারের ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যাখ্যা কর। কপার পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে কেন? Read More »

ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রন কীভাবে প্রবেশ করে?

আমরা জানি, যে অরবিটালের শক্তি কম সেই অরবিটালে ইলেকট্রন আগে প্রবেশ করবে এবং যে অরবিটালের শক্তি বেশি সেই অরবিটালে ইলেকট্রন পরে প্রবেশ করবে। অরবিটালের মধ্যে কোনােটির শক্তি কম আর কোনােটির শক্তি বেশি তা অরবিটাল দুটির প্রধান শক্তিস্তরের মান (n) এবং উপশক্তিস্তরের মান (l) এর যােগফলের উপর নির্ভর করে। যে অরবিটালের (n + l) এর মান …

ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রন কীভাবে প্রবেশ করে? Read More »

পটাসিয়ামের 19তম ইলেকট্রনটি 3d অরবিটালে না গিয়ে 4s এ যায় কেন?

আমরা জানি, যে অরবিটালের শক্তি কম সেই অরবিটালে ইলেকট্রন আগে প্রবেশ করবে এবং যে অরবিটালের শক্তি বেশি সেই অরবিটালে ইলেকট্রন পরে প্রবেশ করবে। অরবিটালের মধ্যে কোনােটির শক্তি কম আর কোনােটির শক্তি বেশি তা অরবিটাল দুটির প্রধান শক্তিস্তরের মান (n) এবং উপশক্তিস্তরের মান (l) এর যােগফলের উপর নির্ভর করে। যে অরবিটালের (n + l) এর মান …

পটাসিয়ামের 19তম ইলেকট্রনটি 3d অরবিটালে না গিয়ে 4s এ যায় কেন? Read More »

ইলেকট্রন বিন্যাসের সাধারণ নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম

সাধারণভাবে দেখা যায় যে, একই উপশক্তিস্তর p ও d এর অরবিটালগুলাে অর্ধেক পূর্ণ (p3, d5) বা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ (p6, d10) হলে সে ইলেকট্রন বিন্যাস সুস্থিত হয়। তাই Cr(24) এর ইলেকট্রন বিন্যাস স্বাভাবিকভাবে হওয়ার কথা: Cr(24)→ 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d4 4s2 কিন্তু 3d অরবিটাল সুস্থিত অর্ধপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় 4s অরবিটাল হতে একটি ইলেকট্রন 3d …

ইলেকট্রন বিন্যাসের সাধারণ নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম Read More »

পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাসের নীতি ব্যাখ্যা করো । ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রন কীভাবে প্রবেশ করে?

পরমাণুতে ইলেকট্রন প্রথমে সর্বনিম্ন শক্তির অরবিটালে প্রবেশ করে এবং পরে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তির অরবিটালে প্রবেশ করে। অর্থাৎ যে অরবিটালের শক্তি কম সেই অরবিটালে ইলেকট্রন আগে প্রবেশ করবে এবং যে অরবিটালের শক্তি বেশি সেই অরবিটালে ইলেকট্রন পরে প্রবেশ করবে। অরবিটালের মধ্যে কোনােটির শক্তি কম আর কোনােটির শক্তি বেশি তা অরবিটাল দুটির প্রধান শক্তিস্তরের মান (n) এবং উপশক্তিস্তরের …

পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাসের নীতি ব্যাখ্যা করো । ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রন কীভাবে প্রবেশ করে? Read More »

N শেলের বিভিন্ন উপস্তর ও তাদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেখাও।

N শেল হলাে চতুর্থ শক্তিস্তর অর্থাৎ এখানে n=4। N শেলের উপস্তর হলাে ৪টি। যথা: 4s, 4p, 4d ও 4f.  আমরা জানি, প্রতিটি উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা : 2(2l + 1)  অতএব, 4s উপস্তরে ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা  = 2(2l + 1)=  2(2×0 + 1)=2 টি। 4p উপস্তরে ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2(2l + 1)=  2(2×1 …

N শেলের বিভিন্ন উপস্তর ও তাদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেখাও। Read More »

M শেলের বিভিন্ন উপস্তর ও তাদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেখাও।

 M শেল হলাে তৃতীয় প্রধান শক্তিস্তর অর্থাৎ এখানে n=3.   M শেলের উপস্তর ৩টি। যথা: 3s, 3p ও 3d.  আমরা জানি, প্রতিটি উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা : 2(2l + 1)  অতএব,    3s উপস্তরে ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা  = 2(2l + 1)=  2(2×0 + 1)=2 টি। 3p উপস্তরে ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা= 2(2l + 1)=  2(2×1 + …

M শেলের বিভিন্ন উপস্তর ও তাদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেখাও। Read More »

Lশেলের বিভিন্ন উপস্তর ও তাদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেখাও।

  Lশেল হলাে দ্বিতীয় প্রধান শক্তিস্তর অর্থাৎ এখানে n=2.   L শেলের উপস্তর 2 টি। যথা: 2s, 2p আমরা জানি, প্রতিটি উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা : 2(2l + 1) |  s  উপশক্তিস্তরে l এর মান =0 এবং p  উপশক্তিস্তরে  এর মান =1 অতএব, 2s উপস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2(2l + 1)=  2(2×0 + …

Lশেলের বিভিন্ন উপস্তর ও তাদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেখাও। Read More »

Kশেলের বিভিন্ন উপস্তর ও তাদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেখাও।

K শেল হলাে প্রথম  প্রধান শক্তিস্তর অর্থাৎ এখানে n=1.  K শেলের উপস্তর 1 টি। যথা: 1s আমরা জানি, প্রতিটি উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা : 2(2l + 1) |  s  উপশক্তিস্তরে এর মান =0 অতএব,   1s উপস্তরে ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা  = 2(2l + 1)=  2(2×0 + 1)=2 টি।

বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা কত?

আমরা জানি, প্রতিটি উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা : 2(2l + 1)  উপস্তরগুলােকে হলো : s, p, d, f ।  s  উপশক্তিস্তরে l এর মান =0 p  উপশক্তিস্তরে l এর মান =1 d  উপশক্তিস্তরে l এর মান =2 f  উপশক্তিস্তরে l এর মান =3 s উপস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2(2l + 1)=  2(2×0 …

বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা কত? Read More »

বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা কত?

আমরা জানি, প্রতিটি উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা : 2(2l + 1)  উপস্তরগুলােকে হলো : s, p, d, f ।  s  উপশক্তিস্তরে l এর মান =0 p  উপশক্তিস্তরে l এর মান =1 d  উপশক্তিস্তরে l এর মান =2 f  উপশক্তিস্তরে l এর মান =3 s উপস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2(2l + 1)=  2(2×0 …

বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা কত? Read More »

বিভিন্ন শেলে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা কত?

আমরা জানি, প্রতিটি শেলে সর্বোচ্চে ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতার =2n2 (যেখানে n = 1, 2, 3, 4 …….) অতএব,  K শেলে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 2x 12 = 2 টি L শেলে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 2x 22 = 8 টি |  M শেলে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 2×32 = 18 টি  N শেলে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন …

বিভিন্ন শেলে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা কত? Read More »

ইলেকট্রন বিন্যাস কী? ইলেকট্রন বিন্যাস বলতে কী বোঝ? ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে।

ইলেকট্রন বিন্যাস: নিউক্লিয়াসের চারপাশে বিভিন্ন শক্তিস্তরে শক্তির ক্রমানুসারে ইলেকট্রনগুলাে যেভাবে সাজানাে থাকে তাকে ইলেকট্রন বিন্যাস বলে। অথবা  কোনো পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরে কয়টি ইলেক্ট্রন কীভাবে আছে তার প্রকাশকে ইলেকট্রন বিন্যাস বলে। যেমন: হাইড্রোজেনের ইলেক্ট্রন বিন্যাস  H(1)→1s1 হিলিয়ামের ইলেক্ট্রন বিন্যাস He(2)→1s2 সোডিয়ামের ইলেক্ট্রন বিন্যাস Na(11)→1s22s2 2p6 3s1 ###### ব্যতিক্রম ইলেকট্রন বিন্যাসসহ সকল মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস (১থেকে ১১৮ …

ইলেকট্রন বিন্যাস কী? ইলেকট্রন বিন্যাস বলতে কী বোঝ? ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে। Read More »

অরবিটাল কাকে বলে?

অরবিটালঃ পরমানুতে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে যে নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানে কোনো নির্দিষ্ট শক্তির ইলেকট্রনের অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি থাকে (90% – 95%)তাকে অরবিটাল বলে ।   অথবা  নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রনের আবর্তনের সর্বাধিক সম্ভাব্য অঞ্চলকে অরবিটাল বলে। অরবিটালকে উপকক্ষ বা উপশক্তিস্তরও বলা হয় । অথবা  নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট সম্ভাব্য স্থানে ইলেকট্রনের ঘনত্ব সর্বাধিক (90% – 95%)হয় সেই সকল সম্ভাব্য …

অরবিটাল কাকে বলে? Read More »

পরমাণুতে উপশক্তিস্তরের ধারণা ব্যাখ্যা করো।

আমরা জানি, প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর n দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এই শক্তিস্তরগুলাে আবার উপশক্তিস্তরে বিভক্ত থাকে এবং এই উপশক্তিস্তরকে l দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। l এর মান হয় ০ থেকে n -1 পর্যন্ত। উপশক্তিস্তরগুলােকে অরবিটাল বলা হয়। এই উপশক্তিস্তর বা অরবিটালগুলােকে s, p, d, f ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়। বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের জন্য সম্ভাব্য l …

পরমাণুতে উপশক্তিস্তরের ধারণা ব্যাখ্যা করো। Read More »

অরবিট কী? প্রধান শক্তিস্তরগুলােকে কী দ্বারা সূচিত করা হয়?

পবমাণুতে যে সকল ইলেকট্রন থাকে সেগুলাে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের কতগুলাে অনুমােদিত কক্ষপথে ঘুরে। এই নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের অনুমােদিত বৃত্তাকার কক্ষপথগুলােকে শক্তিস্তর বা অরবিট বলা হয়। প্রধান শক্তিস্তরগুলােকে যথাক্রমে K, L, M, N ইত্যাদি দ্বারা সূচিত করা হয় ।

প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।

প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 2n2 যেখানে n = 1, 2, 3, 4 ইত্যাদি। অতএব এ সূত্রানুসারে: K শক্তিস্তরের জন্য n = 1  অতএব K শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন থাকতে পারে 2n2 = (2 x 12) টি = 2টি  L শক্তিস্তরের জন্য n = 2  অতএব L শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন থাকতে পারে 2n2 = …

প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো। Read More »

শক্তিস্তর কী? অনুমােদিত কক্ষপথ কাকে বলে? প্রধান শক্তিস্তর? শেল কী ? অরবিট কাকে বলে ? স্থির কক্ষপথ কাকে বলে?

পরমাণুতে ইলেকট্রনসমূহ নিউক্লিয়াসের চারিদিকে শুধু নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের কতগুলাে অনুমােদিত বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরে। এই নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের অনুমােদিত বৃত্তাকার কক্ষপথগুলােকে অনুমােদিত কক্ষপথ বা প্রধান শক্তিস্তর বা কক্ষপথ বা শেল বা অরবিট বা স্থির কক্ষপথ বলে।  নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থানকালে কোনাে ইলেকট্রন শক্তি শােষণও করেনা, বিকিরণও করেনা।  অথবা পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ যেসব নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের অনুমােদিত বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরে সেসব কক্ষপথগুলােকে …

শক্তিস্তর কী? অনুমােদিত কক্ষপথ কাকে বলে? প্রধান শক্তিস্তর? শেল কী ? অরবিট কাকে বলে ? স্থির কক্ষপথ কাকে বলে? Read More »

বোরের পরমাণু মডেল সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান

১. একটি পরমাণুর ৩য় কক্ষপথে ঘুর্ণয়নমান ইলেক্ট্রনের গতিবেগ 4.09×105 ms– হলে ঐ কক্ষপথের ব্যাসার্ধ নির্ণয় করো । ২. একটি পরমাণুর ৩য় কক্ষপথের ব্যাসার্ধ 8.5×10-10 m হলে ঐ কক্ষপথে ঘুর্ণয়নমান ইলেক্ট্রনের গতিবেগ নির্ণয় করো । ৩. একটি পরমাণুর সর্বশেষ ইলেক্ট্রনের কৌণিক ভরবেগ 2.11×10-34 m2kg/s হলে ইলেক্ট্রনটি কত নম্বর কক্ষপথে অবস্থিত? ৪. ২য় শক্তিস্তরে অবস্থিত একটি ইলেক্ট্রনের …

বোরের পরমাণু মডেল সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান Read More »

এসিড বিয়োজনের ক্ষেত্রে একমুখী বা উভমূখী তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন ?

তীব্র এসিড বা সবল এসিড বিয়ােজন বােঝাতে একটিমাত্র তীর চিহ্ন(→) ব্যবহার করা হয়। যেমন-HCl ও H2SO4 এর ক্ষেত্রে একটিমাত্র তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় । এর অর্থ হলাে HCl ও H2SO4 পানিতে সম্পূর্ণ (100%) বিয়ােজিত হয়। HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) অপরদিকে, মৃদু এসিড বা দুর্বল …

এসিড বিয়োজনের ক্ষেত্রে একমুখী বা উভমূখী তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন ? Read More »

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) কীভাবে বিয়ােজিত হয় ?

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4) জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয়। HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) HNO3 + H2O → H+(aq) + NO3–(aq) H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) অপরদিকে, কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয়। H2CO3(aq) ⇆ 2H+(aq) + CO32-(aq)CH3COOH(aq) ⇆ H+(aq) + …

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) কীভাবে বিয়ােজিত হয় ? Read More »

CH3COOH কে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর।

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে   তাদেরকে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলে। যেহেতু CH3COOH জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে তাই CH3COOH কে মৃদু এসিড বা দুর্বল  এসিড বলা হয়। CH3COOH(aq) ⇆ H+(aq) + CH3COO–(aq) (আংশিক বিয়ােজিত) 25°C …

CH3COOH কে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর। Read More »

কার্বনিক এসিডকে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলা হয় কেন?

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে  তাদেরকে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলে। যেহেতু কার্বনিক এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে তাই কার্বনিক এসিডকে মৃদু এসিড বা দুর্বল  এসিড বলা হয়। H2CO3(aq) ⇆ 2H+(aq) + CO32-(aq)  (আংশিক বিয়ােজিত)

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), সাফিউরিক এসিড (H2SO4), নাইট্রিক এসিড (HNO3) ইত্যাদি প্রত্যেকে একটি তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড – ব্যাখ্যা করো ।

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয় তাদেরকে তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড বলে। যেহেতু হাইড্রোক্লোরিক এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয়, তাই হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) একটি তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড ।   HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) একইভাবে অন্যান্য এসিড ব্যাখ্যা করতে হবে।

মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড কাকে বলে?

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে  তাদেরকে দুর্বল এসিড বলে। যেমনঃ কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি।

তীব্র এসিড,শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড কাকে বলে?

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয় তাদেরকে তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড বলে। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিড় (HCl), সাফিউরিক এসিড (H2SO4), নাইট্রিক এসি(HNO3) ইত্যাদি।

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিকএসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড(CH3COOH) ইত্যাদি প্রত্যেকে একটি এসিড -ব্যাখ্যা করো।

সালফিউৱিক এসিড একটি এসিড। কারণ এটি এসিডের বৈশিষ্ট প্রর্দশন করে। যেমন – (i) এটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন সৃষ্টি করে।  H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) (ii) এটি নীল লিটমাসকে লাল করে । H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) H+ + নীল লিটমাস → লাল লিটমাস (iii) এটি ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও …

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিকএসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড(CH3COOH) ইত্যাদি প্রত্যেকে একটি এসিড -ব্যাখ্যা করো। Read More »

অম্ল বা এসিড কাকে বলে? এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।

হাইড্রোজেনযুক্ত যে সব যৌগ জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে(ভেঙে) হাইড্রোজেন আয়ন বা প্রােটন (H+) দান করে তাদেরকে অম্ল বা এসিড বলে। যেমন- হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl),  নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি । HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) HNO3 + H2O → H+(aq) + NO3–(aq) H2SO4 + H2O …

অম্ল বা এসিড কাকে বলে? এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর। Read More »

কোনাে দ্রবণ এসিডধর্মী না ক্ষারধর্মী তা আমরা ল্যাবরেটরিতে কীভাবে জানতে পারি?

কোনাে দ্রবণ এসিডধর্মী না ক্ষারধর্মী তা আমরা ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি। এদের মধ্যে লিটমাস পরীক্ষা, pH মান পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

ল্যাবরেটরিতে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কী ধরণের অ্যাসিড বা ক্ষার ব্যবহার করে থাকি?

ল্যাবরেটরিতে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য গাঢ় এসিড বা গাঢ় ক্ষারের পরিবর্তে লঘু এসিড বা লঘু ক্ষারই বেশি ব্যবহার করে থাকি ।

পরমাণুতে কীভাবে বর্ণালী সৃষ্টি হয়? পরমাণুতে কখন বর্ণালীর সৃষ্টি হয়-ব্যাখ্যা কর।

বর্ণালি হলাে বিভিন্ন বর্ণের আলাের সমাবেশ। কোনাে পরমাণুর উপর অতিবেগুনি, দৃশ্যমান এবং অবলােহিত অঞ্চলের শক্তি আপতিত হলে উক্ত পরমাণুর যােজনীস্তরের ইলেকট্রন নিম্ন শক্তিস্তর হতে উচ্চ শক্তিস্তরে গমন করে। ইলেকট্রন যদি নিম্ন শক্তিস্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তর এ যায় তখন শক্তি শােষিত হয়। আবার, যদি ইলেকট্রন উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তর এ যায় তখন শক্তি বিকিরিত হয়। …

পরমাণুতে কীভাবে বর্ণালী সৃষ্টি হয়? পরমাণুতে কখন বর্ণালীর সৃষ্টি হয়-ব্যাখ্যা কর। Read More »

বােরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করো।

বাের মডেলেরও কিছু সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। সেগুলাে হচ্ছে: (a) বাের মডেলের সাহায্যে এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর পারমাণবিক বর্ণালি ব্যাখ্যা করা যায় সত্যি কিন্তু একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর পারমাণবিক বর্ণালি ব্যাখ্যা করা যায় না। (b) বােরের পারমাণবিক মডেল অনুসারে এক শক্তিস্তর থেকে ইলেকট্রন অন্য শক্তিস্তরে গমন করলে পারমাণবিক বর্ণালিতে একটিমাত্র রেখা পাবার কথা। …

বােরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করো। Read More »

বােরের পরমাণু মডেলের সাফল্য বর্ণনা করো।

(a) রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল অনুসারে সৌরজগতে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহ-উপগ্রহগুলাে যেমন ঘুরছে, পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলােও তেমন নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এখানে ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার সম্পর্কে কোনাে কথা বলা হয়নি কিন্তু বােরের পারমাণবিক মডেলে পরমাণুর শক্তিস্তরের আকার বৃত্তাকার বলা হয়েছে। (b) রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে পরমাণু শক্তি শােষণ করলে বা শক্তি বিকিরণ করলে পরমাণুর গঠনে কী ধরনের পরিবর্তন …

বােরের পরমাণু মডেলের সাফল্য বর্ণনা করো। Read More »

বাের মডেলের গুরুত্বপূর্ণ স্বীকার্যগুলাে উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করাে।

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের ত্রুটিগুলােকে সংশােধন করে 1913 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী নীলস্ বাের পরমাণুর একটি মডেল প্রদান করেন। এই মডেলকে বােরের পরমাণু মডেল বলা হয়। বাের পরমাণু মডেলের মতবাদগুলাে নিম্নরূপ – (a) পরমাণুতে যে সকল ইলেকট্রন থাকে সেগুলাে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইচ্ছামতাে যেকোনাে কক্ষপথে ঘুরতে পারে না। শুধু নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের কতগুলাে অনুমােদিত বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরে। এই নির্দিষ্ট …

বাের মডেলের গুরুত্বপূর্ণ স্বীকার্যগুলাে উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করাে। Read More »

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল কেন পারমাণবিক বর্ণালীর ব্যাখ্যা করতে পারে না? ব্যাখ্যা করাে।

বোর পরমাণু মডেল অনুসারে যখন কোনাে ইলেকট্রন একটি  নিম্নতর কক্ষপথ থেকে উচ্চতর কক্ষপথে স্থানান্তরিত হয় তখন নির্দিষ্ট  পরিমাণ শক্তি শােষণ করে। আবার যখন কোনাে উচ্চতর শক্তিস্তর হতে নিম্নতর কক্ষপথে স্থানান্তরিত হয় তখন শক্তি বিকিরণ করে । বিকিরিত ও শােষিত শক্তিকে বর্ণালি হিসেবে পাওয়া যায় । কিন্তু রাদারফোর্ড  মডেল অনুসারে,  ইলেকট্রনের শক্তি বিকিরণ বা শােষণ ঘটে …

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল কেন পারমাণবিক বর্ণালীর ব্যাখ্যা করতে পারে না? ব্যাখ্যা করাে। Read More »

ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বানুসারে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল সঠিক কী না ? ব্যাখ্যা করো। ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বানুসারে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করাে। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল গ্রহণযােগ্যতা পায়নি কেন?

ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বানুসারে ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণনের সময় ক্রমাগত শক্তি হারাতে থাকবে। ফলে ইলেকট্রনের ঘূর্ণন পথও ছােট হতে থাকবে এবং এক সময় সেটি নিউক্লিয়াসের উপর পতিত হবে। অর্থাৎ পরমাণুর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে বা পরমাণু স্থায়ী হবে না। কিন্তু প্রকৃতিতে সেটা ঘটে না অর্থাৎ ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বানুসারে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল সঠিক নয়। অর্থাৎ  রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল গ্রহণযােগ্যতা …

ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বানুসারে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল সঠিক কী না ? ব্যাখ্যা করো। ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বানুসারে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করাে। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল গ্রহণযােগ্যতা পায়নি কেন? Read More »

ম্যাক্সওয়েল তত্ত্ব কী?জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল

কোনাে চার্জযুক্ত বস্তু বা কণা কোনাে বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকলে তা ক্রমাগত শক্তি বিকিরণ করবে এবং তার আবর্তনচক্রও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। এটিকে ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্ব বলে। জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল

পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন কেন্দ্রে পতিত হয় না কেন? ব্যাখ্যা করাে।

পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন কেন্দ্র পতিত হয় না। কারণ ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রনসমূহের পারস্পরিক স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষনজনিত কেন্দ্রমুখী বল এবং ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান এবং বিপরীতমুখী ।

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলকে নিউক্লিয়ার মডেল বলা হয় কেন ?

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের মাধ্যমে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সর্বপ্রথম নিউক্লিয়াস সম্পর্কে ধারণা দেন বলে এ মডেলটিকে নিউক্লিয়ার মডেল বলা হয়।

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করো।

রাদারফোর্ডই সর্বপ্রথম নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রনের কক্ষপথ সম্বন্ধে ধারণা দেন। তিনিই সর্বপ্রথম একটি গ্রহণযােগ্য পরমাণু মডেল প্রদান করলেও তার পরমাণু মডেলের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। সেগুলাে হলাে: (a) এই মডেল ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার (ব্যাসার্ধ) ও আকৃতি সম্বন্ধে কোনাে ধারণা দিতে পারেনি। (b) সৌরজগতের সূর্য ও গ্রহগুলাের সামগ্রিকভাবে কোনাে আধান বা চার্জ নেই কিন্তু পরমাণুতে ইলেকট্রন এবং নিউক্লিয়াসের …

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করো। Read More »

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলটি বর্ণনা দাও।

1911 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড পরমাণুর গঠন সম্পর্কে একটি মডেল প্রদান করেন। মডেলটি নিম্নরূপ : (a) পরমাণুর একটি কেন্দ্র আছে। এই কেন্দ্রের নাম নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের ভেতরে প্রােটন এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে ইলেকট্রন অবস্থান করে। যেহেতু আপেক্ষিকভাবে ইলেকট্রনের ভর শূন্য ধরা হয় কাজেই নিউক্লিয়াসের ভেতরে অবস্থিত প্রােটন এবং নিউট্রনের ভরই পরমাণুর ভর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। (b) নিউক্লিয়াস …

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলটি বর্ণনা দাও। Read More »

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল কী?

1911 খ্রিষ্টাব্দে আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি  করে রাদারফোর্ড  পরমাণুর গঠন সম্পর্কে যে মতবাদ প্রদান করেন তাকে  রাদারফোর্ডের  পরমাণু মডেল (সৌর মডেল) বলে ।

পরমাণু মডেল কী ? পরমাণু মডেল কাকে বলে ?

পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন সময় যে মতামত প্রদান করেন সেগুলোকে পরমাণু মডেল বলে । যেমন, রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল, বাের পরমাণু মডেল ইত্যাদি।

নিম্নলিখিত মৌলগুলাের পারমাণবিক সংখ্যা, ভর সংখ্যা, ইলেক্ট্রন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা বের করো ।

2814si,    3115p ,    178o,     3919k, 4020Ca++ মৌল/আয়নসমূহ পারমাণবিক সংখ্যা (z) ভর সংখ্যা(A) ইলেকট্রন সংখ্যা(z) সংখ্যা নিউট্রনসংখ্যাA-Z         2814 si,     3115p,      178 o,    3919k   4020Ca++ 141581920 2831173940 141581920-2=18 141692040-20=20

নিচের প্রতীক দ্বারা কী কী বোঝানাে হয়েছে? প্রতীকটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

এখানে X দ্বারা কোন একটি মৌলের প্রতীক বােঝানাে হয়েছে। A দ্বারা বােঝানাে হয়েছে মৌলটির ভর সংখ্যা । Z দ্বারা মৌলটির  পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ প্রােটন সংখ্যা বােঝানাে হয়েছে । +– m  দ্বারা  মৌলটি কয়টি ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণ করেছে তা বােঝানাে হয়েছে। যদি মৌলটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে তবে (- m) হয়, আর যদি মৌলটি ইলেকট্রন ত্যাগ …

নিচের প্রতীক দ্বারা কী কী বোঝানাে হয়েছে? প্রতীকটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। Read More »

পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা পার্থক্য নির্ণয় করো।

পারমাণবিক সংখ্যা  ভরসংখ্যা কোন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত মোট প্রোটন সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়। কোন পরমাণু নিউক্লিয়াসে অবস্থিত  প্রােটন ও নিউট্রনের মােট সংখ্যাকে  ভর  সংখ্যা  বলা  হয় । পারমাণবিক সংখ্যাকে ‘Z’ দ্বারা  প্রকাশ করা হয় ।  ভরসংখ্যাকে ‘’A’’  দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।  ভর সংখ্যা হতে নিউট্রন সংখ্যা বিয়োগ করলে  পারমাণবিক সংখ্যা পাওয়া যায় । …

পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা পার্থক্য নির্ণয় করো। Read More »

নিচের অক্সাইড আয়ন দ্বারা কী বুঝায়? ব্যাখ্যা করাে।

168 ০2- নিচে 168 ০2-এর তাৎপর্য উল্লেখ করা হলো: মৌলের প্রতীক হলাে =O মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা হলাে (Z) = 8 মৌলটির ইলেক্ট্রন সংখ্যা (Z) =  8 + 2= 10 পরমাণুটির ভরসংখ্যা হলাে (A) = 16 মৌলটির নিউট্রন সংখ্যা (A-Z) = 16-8 =8 আধানের পরিমাণ হচ্ছে =  2–

নিচের পটাসিয়াম আয়নটির তাৎপর্য লিখ।

3919K+ নিচে 3919K+  এর তাৎপর্য উল্লেখ করা হলো: মৌলের প্রতীক হলাে =K মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা হলাে (Z) = 19 মৌলটির ইলেক্ট্রন সংখ্যা (Z) =  19 – 1= 18  পরমাণুটির ভরসংখ্যা হলাে (A) = 39 মৌলটির নিউট্রন সংখ্যা (A-Z) = 39-19 =20 আধানের পরিমাণ হচ্ছে =  1+

নিচের পরমাণুটির মধ্যে 2 টি ইলেকট্রন ও 2টি নিউট্রন যুক্ত হলে কী পরিবর্তন ঘটবে?

   168O 168O পরমাণুটির মধ্যে 2 টি ইলেকট্রন যুক্ত হলে ঋণাত্মক আধানের সৃষ্টি হয় অর্থাৎ  168O2- আয়নে পরিণত হয়। আবার  168O পরমাণুটির মধ্যে 2টি নিউট্রন যুক্ত হলে এর ভরসংখ্যা আগের তুলনায় 2 বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ পরমাণুটি  168O থেকে  188Oঅবস্থা প্রাপ্ত হয়।

নিচের পরমাণু দু’টির ভর সংখ্যার ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা দাও।

11H, 21H আমরা জানি, যে সকল পরমাণুর প্রােটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসােটোপ বলে। প্রদত্ত পরমাণু দুটি  11H এবং 21H হলাে পরস্পরের আইসােটোপ। কারণ 11H এবং 21H উভয়টিতে প্রােটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন। উভয় মৌলতে একটি করে প্রােটন বিদ্যমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন । দ্বিতীয়টিতে অর্থাৎ 21H …

নিচের পরমাণু দু’টির ভর সংখ্যার ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা দাও। Read More »

নিচের পরমাণু দুইটির ভর সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন-ব্যাখ্যা কর।

 6429 A এবং 6430B কোনাে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান নিউট্রন ও প্রােটন সংখ্যার যােগফলকে ঐ পরমাণুর নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা ভর সংখ্যা বলে। নিউক্লিয়ন সংখ্যা থেকে প্রােটন সংখ্যা বিয়ােগ করলে ঐ পরমাণুর নিউট্রনের সংখ্যা নির্ণয় করা যায়। 6429A পরমাণুর নিউক্লিয়ন সংখ্যা = 64 এবং প্রােটন সংখ্যা = 29 অতএব, A এর নিউট্রন সংখ্যা = 64 – 29 …

নিচের পরমাণু দুইটির ভর সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন-ব্যাখ্যা কর। Read More »

নিউক্লিয়ন সংখ্যা কী? ভরসংখ্যা কাকে বলে? পরমাণুর ভরসংখ্যা কাকে বলে?

মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রােটন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যার যােগফলকে ভর সংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলা হয়। ভর সংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যাকে A দিয়ে প্রকাশ করা হয়। 

কোনো পরমাণুতে পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা কীভাবে লেখা হয়?

কোনাে পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা পরমাণুর প্রতীকের নিচে বাম পাশে লেখা হয়, পরমাণুর ভরসংখ্যা প্রতীকের বাম পাশে উপরের দিকে লেখা হয়। যেমন- সােডিয়াম পরমাণুর প্রতীক Na এর পারমাণবিক সংখ্যা 11 এবং ভরসংখ্যা 23। এটাকে নিম্নরূপে  প্রকাশ করা যায়:

কীভাবে কোনো পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় করা হয়?

মৌলের নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয়: আমরা জানি, কোনাে মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রােটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়। অর্থাৎ প্রােটন সংখ্যা= পারমাণবিক সংখ্যা প্রােটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যাকে Z দিয়ে প্রকাশ করা হয়।  আবার, কোনাে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে  অবস্থিত প্রােটন ও নিউট্রন সংখ্যার যােগফলকে ঐ পরমাণুর ভরসংখ্যা বলে।  অর্থাৎ  ভরসংখ্যা = প্রােটন সংখ্যা +  …

কীভাবে কোনো পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় করা হয়? Read More »

ভরসংখ্যা কাকে বলে?

কোনাে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে  অবস্থিত প্রােটন ও নিউট্রন সংখ্যার যােগফলকে ঐ পরমাণুর ভরসংখ্যা বলে। যেমন-সোডিয়াম পরমাণুতে ১১ টি প্রোটন এবং ১২ টি নিউট্রন আছে। অতএব সোডিয়ামের ভরসংখ্যা২৩। ভরসংখ্যাকে A দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

পরমাণুতে প্রোটন ও ইলেক্ট্রন সমান -কীভাবে প্রমাণ করবে ?

যেহেতু প্রত্যেকটা পরমাণুই চার্জ নিরপেক্ষ অর্থাৎ মােট চার্জ বা আধান শূন্য তাই পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যে কয়টি প্রােটন থাকে নিউক্লিয়াসের বাইরে ঠিক সেই কয়টি ইলেকট্রন থাকে।

পরমাণু চার্জ নিরপেক্ষ কেন?

ইলেকট্রন, প্রােটন ও নিউট্রন হচ্ছে পরমাণুর তিনটি স্থায়ী মৌলিক কণিকা। পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াসে প্রােটন ও নিউট্রন থাকে। প্রােটন ধনাত্মক চার্জযুক্ত কিন্তু নিউট্রন চার্জ নিরপেক্ষ। অপরদিকে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাইরে বিভিন্ন কক্ষপথে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন থাকে। নিউক্লিয়াসে যতটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রােটন থাকে নিউক্লিয়াসের বাইরে বিভিন্ন কক্ষপথে ঠিক ততটি ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন থাকে । যেহেতু প্রােটন এবং ইলেকট্রনের …

পরমাণু চার্জ নিরপেক্ষ কেন? Read More »

কোনো পরমাণুকে চেনার উপায় কী? কোনো পরমাণুকে কীভাবে চেনা যায়?

কোনাে পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা দ্বারা ঐ পরমাণুকে চেনা যায়। যেমন-পারমাণবিক সংখ্যা 1 হলে ঐ পরমাণুটি হাইড্রোজেন, পারমাণবিক সংখ্যা 2 হলে ঐ পরমাণুটি হিলিয়াম। পারমাণবিক সংখ্যা 9 হলে ঐ পরমাণুটি ফ্লোরিন। অর্থাৎ পারমাণবিক সংখ্যাই কোনাে পরমাণুর আসল পরিচয়।

পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে? ব্যাখ্যা করো।

কোনাে মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রােটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়।প্রােটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যাকে Z দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন- হিলিয়াম (He) এর একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে দুটি প্রােটন থাকে। তাই হিলিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা হলাে ২ । আবার, অক্সিজেন (O) পরমাণুর নিউক্লিয়াসে আটটি প্রােটন থাকে। তাই অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা হলাে ৮ ।

পরমাণু প্রধান তিনটি কণিকার বর্ণনা করো।

পরমাণু প্রধান তিনটি কণিকা  হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রােটন এবং নিউট্রন। ইলেকট্রন: ইলেকট্রন হলাে পরমাণুর একটি মূল কণিকা যার আধান বা চার্জ ঋণাত্মক বা নেগেটিভ। এ আধানের পরিমাণ -1.60 x 10-19 কুলম্ব। একে e প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি ইলেকট্রনের ভর 9.11 x 10-28 g। ইলেকট্রনের আপেক্ষিক আধান -1 ধরা হয় এবং এর ভর প্রােটন ও …

পরমাণু প্রধান তিনটি কণিকার বর্ণনা করো। Read More »

সংকেত কাকে বলে?

মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণু প্রতীকের সাহায্যে যেভাবে প্রকাশ করা হয় তাকে সংকেত বা আণবিক সংকেত বলে। অর্থাৎ মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুর সংক্ষিপ্ত রূপকে সংকেত বা আণবিক সংকেত বলে। যেমন- নাইট্রোজেনের সংকেত  N2 , পানির সংকেত H2O ।

মৌলের প্রতীক লেখার নিয়মাবলী বর্ণনা করো।

প্রত্যেকটি মৌলকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে তাদের আলাদা আলাদা প্রতীক ব্যবহার করা হয়। মৌলের প্রতীক লিখতে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। নিয়মগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো । (a) মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রতীক লেখা হয় এবং তা ইংরেজি বর্ণমালার বড় হাতের অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন- মৌল ইংরেজি নাম প্রতীক হাইড্রোজেন Hydrogen H …

মৌলের প্রতীক লেখার নিয়মাবলী বর্ণনা করো। Read More »

মৌলের প্রতীক কাকে বলে? রাসায়নিক প্রতীক বলতে কী বোঝ?

মৌলের প্রতীক বা রাসায়নিক প্রতীক বা প্রতীক: কোনাে মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন পূর্ণনামের সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতীক বলে। যেমন – হাইড্রোজেন এর প্রতীক H, অক্সিজেন এর প্রতীক O, নাইট্রোজেন এর প্রতীক N ইত্যাদি ।

পরমাণু ও অণু এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।

পরমাণু  অণু ১. মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ।  ১. মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ।  ২. সাধারণত পরমাণু স্বাধীনভাবে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে না, তবে কোনো কোনো মৌলিক পদার্থের পরমাণু স্বাধীনভাবে থাকতে পারে। যেমন—হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন ইত্যাদি। ২. অণু স্বাধীনভাবে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে। ৩.  পরমাণু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ।  ৩. অণু …

পরমাণু ও অণু এর মধ্যে পার্থক্য লেখো। Read More »

যৌগের অণু কাকে বলে?

ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু পরস্পর যুক্ত হয়ে যে অণু গঠন করে তাকে যৌগের অণু বলে। যেমন- একটি কার্বন পরমাণু (C) দুটি অক্সিজেন পরমাণুর (O) সাথে যুক্ত হয়ে একটি কার্বন ডাই-অক্সাইড অণু (CO2) গঠন করে।

মৌলের অণু কাকে বলে?

একই মৌলের একাধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে অণু গঠন করে তাকে মৌলের অণু বলে। যেমন-দুটি অক্সিজেন পরমাণু (O) পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন অণু (O2) গঠন করে ।

অণু কাকে বলে?

মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ঐ পদার্থের ধর্মাবলী অক্ষুন্ন রেখে স্বাধীনভাবে অবস্থান করতে পারে তাকে অণু বলে। দুই বা ততোধিক  পরমাণু পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধন-এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে  অণু গঠন করে । যেমন-দুটি অক্সিজেন পরমাণু (O) পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন অণু (O2) গঠন করে । আবার, একটি কার্বন পরমাণু (C) দুটি অক্সিজেন পরমাণুর …

অণু কাকে বলে? Read More »

পরমাণু কাকে বলে?

মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ অক্ষুন্ন  থাকে তাকে পরমাণু বলে । (কোন মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ যার মধ্যে ঐ মৌলের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন থাকে, যা স্বাধীনভাবে অবস্থান করতে পারে না কিন্তু রাসায়নিক বিক্রায়ায় অংশগ্রহন করতে পারে তাকে ঐ মৌলের পরমানু বলে।)  যেমন- N, O ইত্যাদি ।  নাইট্রোজেনের পরমাণুতে নাইট্রোজেনের ধর্ম বিদ্যমান আর অক্সিজেনের …

পরমাণু কাকে বলে? Read More »

মৌলসমূহের ধর্ম থেকে যৌগের ধর্ম সম্পূর্ণ আলাদা-ব্যাখ্যা করো।

মৌলসমূহের ধর্ম থেকে যৌগের ধর্ম  সম্পূর্ণ আলাদা । যেমন— হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মৌলিক পদার্থ । সাধারণ তাপমাত্রায় এরা উভয়ই  গ্যাসীয় কিন্তু এদের থেকে উৎপন্ন যৌগ পানি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল। H2 (g) + O2 (g) = 2H2O(l)

যৌগের মধ্যে মৌলসমূহের সংখ্যার অনুপাত কেমন থাকে ?

যৌগের মধ্যে মৌলসমূহের সংখ্যার অনুপাত সব সময় একই থাকে। যেমন-যে কোনো উৎস থেকেই পানির নমুনা সংগ্রহ করা হােক না কেন রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে পানিতে সব সময় দুই ভাগ হাইড্রোজেন এবং এক ভাগ অক্সিজেন পাওয়া যাবে অর্থাৎ পানিতে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের পরমাণুর সংখ্যার অনুপাত 2:1

চককে যৌগিক পদার্থ বলা হয় কেন?

যে সকল পদার্থকে ভাঙলে দুই বা দুইয়ের অধিক ভিন্ন ভিন্ন মৌল পাওয়া যায় তাদেরকে যৌগিক পদার্থ বলে। চককে(CaCO3) ভাঙলে( অর্থাৎ রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে ) ক্যালসিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন এ তিনটি মৌল পাওয়া যাবে। সুতরাং চককে যৌগিক পদার্থ বলা হয় । অর্থাৎ চক একটি যৌগিক পদার্থ ।

যৌগিক পদার্থ কাকে বলে ?

যে সকল পদার্থকে ভাঙলে দুই বা দুইয়ের অধিক ভিন্ন ভিন্ন মৌল পাওয়া যায় তাদেরকে যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন-পানিকে যদি ভাঙা হয় (অর্থাৎ রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়) তবে কিন্তু দুটি ভিন্ন মৌল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পাওয়া যায়।a

মৌলিক পদার্থ বা মৌল কাকে বলে ?

যে পদার্থকে ভাঙলে সেই পদার্থ ছাড়া অন্য কোনাে পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বা মৌল বলে।  যেমন-নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কার্বন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, ক্যালসিয়াম, আর্গন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ইত্যাদি।

দ্রবণ কাকে বলে? দ্রবণ কী ? দ্রবণ বলতে কী বোঝো ?

দ্রব ও দ্রাবকের সমসত্ব মিশ্রণকে দ্রবণ বলে । অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রব + দ্রাবক । লবণ পানিতে মিশ্রিত করলে লবণ ও পানির সমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন হয় । সুতরাং লবণ ও পানির মিশ্রণ একটি দ্রবণ।  

দ্রাবক কাকে বলে? দ্রাবক কী? দ্রাবক বলতে কী বুঝো ?

দ্রবকে যে সকল পদার্থে দ্রবীভূত করে দ্রবণ প্রস্তুত করা হয় তাদেরকে দ্রাবক বলে। যেমন : লবণ ও পানির মিশ্রণ একটি দ্রবণ। এই দ্রবণে লবণ পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাই এখানে পানি হচ্ছে দ্রাবক ।

দ্রব কাকে বলে? । দ্রব কী ? । দ্রব বলতে কী বুঝো ?

যে সকল পদার্থ কোনো দ্রাবকে দ্রবীভূত করে দ্রবণ প্রস্তুত করা হয় তাদেরকে দ্রব বলে। যেমন : লবণ ও পানির মিশ্রণ একটি দ্রবণ। এই দ্রবণে লবণ পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাই এখানে লবণ হচ্ছে দ্রব।

মোলারিটি কাকে বলে? মোলারিটি কী? মোলারিটি বলতে কী বোঝায়?

মোলারিটি কাকে বলে? মোলারিটি কী? মোলারিটি বলতে কী বোঝায়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর করার সময় ‘কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ‘এবং ‘1 লিটার দ্রবণের মধ্যে ‘ এই দুটি শর্ত উল্লেখ করতে হবে। মোলারিটি সংজ্ঞা: কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণের মধ্যে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলারিটি বলে । মোলারিটিকে M দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।   যেমন:  …

মোলারিটি কাকে বলে? মোলারিটি কী? মোলারিটি বলতে কী বোঝায়? Read More »

ডেসি মােলার দ্রবণ কাকে বলে ? 0.1M দ্রবণ কাকে বলে ?

একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণের মধ্যে যদি 0.1 মােল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তবে ঐ দ্রবণকে ডেসি মােলার দ্রবণ বা 0.1M দ্রবণ বলে। ডেসি মোলার দ্রবণের ঘনমাত্রাকে 0.1M দ্বারা প্রকাশ করা হয় । এর একক  0.1 মোল / লিটার । যেমন: NaCl এর আণবিক ভর 23 + 35.5 =58.5  সুতরাং 1 মােল NaCl = 58.5 …

ডেসি মােলার দ্রবণ কাকে বলে ? 0.1M দ্রবণ কাকে বলে ? Read More »

সেমি মােলার দ্রবণ কাকে বলে ? 0.5M দ্রবণ কাকে বলে ?

একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণের মধ্যে যদি 0.5 মােল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তবে ঐ দ্রবণকে সেমি মােলার দ্রবণ বা 0.5M দ্রবণ বলে। সেমি মোলার দ্রবণের ঘনমাত্রাকে 0.5M দ্বারা প্রকাশ করা হয় । এর একক  0.5মোল / লিটার । যেমন: NaCl এর আণবিক ভর 23 + 35.5 =58.5  সুতরাং 1 মােল NaCl = 58.5 g …

সেমি মােলার দ্রবণ কাকে বলে ? 0.5M দ্রবণ কাকে বলে ? Read More »

মােলার দ্রবণ কাকে বলে? এক মোলার দ্রবণ কাকে বলে? 1M দ্রবণ কাকে বলে?

মােলার দ্রবণ কাকে বলে? এক মোলার দ্রবণ কাকে বলে? 1M দ্রবণ কাকে বলে? এই প্রশ্নগুলো খুবই কমন এবং গুরুত্বপূর্ণ । প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখার সময় ২ টি শর্ত অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ১. একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ২. 1 লিটার দ্রবণের মধ্যে   মােলার দ্রবণ সংজ্ঞা:    একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণের মধ্যে যদি এক মােল …

মােলার দ্রবণ কাকে বলে? এক মোলার দ্রবণ কাকে বলে? 1M দ্রবণ কাকে বলে? Read More »

আণবিক সংকেত থেকে কী কী তথ্য পাওয়া যায় ? H2O সংকেতটির তাৎপর্য ব্যাখা করো ।

সংকেতের তাৎপর্য: সংকেতের দুই ধরনের তাৎপর্য আছে : (১) গুণগত তাৎপর্য/ আঙ্গিক তাৎপর্য  (২) পরিমাণগত তাৎপর্য/ মাত্রিক তাৎপর্য গুণগত তাৎপর্য: (ক) কোনাে সংকেত দ্বারা একটি নির্দিষ্ট বস্তু বুঝায়। যেমন: H2O সংকেতটি সংকেত দ্বারা একটি নির্দিষ্ট বস্তু  পানিকে বুঝায়।  (খ) সংকেত দ্বারা বস্তুটি কী কী মৌল দ্বারা গঠিত, তা বুঝায়। যেমন: H2O সংকেতটি দ্বারা বুঝা যায় …

আণবিক সংকেত থেকে কী কী তথ্য পাওয়া যায় ? H2O সংকেতটির তাৎপর্য ব্যাখা করো । Read More »

মােল এবং আণবিক সংকেত এর মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো ।

মােল এবং আণবিক সংকেতের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। কোনাে পদার্থের আণবিক সংকেত থেকে প্রাপ্ত আণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশিত করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় সেই পরিমাণকে ঐ পদার্থের 1 মােল বলা হয়। যেমন: পানির আণবিক সংকেত H2O । সুতরাং পানির আণবিক ভর = 1 X2 + 16 = 18  । অতএব, 1৪ গ্রাম পানিকে 1 গ্রাম …

মােল এবং আণবিক সংকেত এর মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো । Read More »

মোল সংখ্যা বের করার সূত্রসমূহ লেখো?

মোল সংখ্যাকে n দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।                  এখানে,  n = মোল সংখ্যা,                     W = গ্রাম এককে ভর,                     V = লিটার এককে আয়তন,                     N = অণুর সংখ্যা এবং                     M = আণবিক ভর হয় 

প্রমাণ অবস্থায় কার্বন ডাই অক্সাইড এর মােলার আয়তন 22.4 লিটার বলতে কী বুঝায় ?

এক  মােল গ্যাসীয় পদার্থ যে আয়তন দখল করে তাকে ঐ প্যাসের মােলার আয়তন বলে। এক মোল কার্বন ডাই অক্সাইড বলতে 44g কার্বন ডাই অক্সাইডকে বুঝায় । সুতরাং 44g কার্বন ডাই অক্সাইড যে আয়তন দখল করে তাকে কার্বন ডাই অক্সাইড এর  মােলার আয়তন বলে। প্রমাণ অবস্থায় কার্বন ডাই অক্সাইড এর মোলার  আয়তন 22.4 লিটার বলতে বুঝায় …

প্রমাণ অবস্থায় কার্বন ডাই অক্সাইড এর মােলার আয়তন 22.4 লিটার বলতে কী বুঝায় ? Read More »

প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ বা আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপ বা আদর্শ অবস্থা বা প্রমাণ অবস্থা কাকে বলে ?

0° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এবং 1 বায়ুমণ্ডল (1 atm) চাপকে একত্রে প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ বা আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপ বা সংক্ষেপে আদর্শ বা প্রমাণ অবস্থা বলা হয়। প্রমাণ অবস্থায় 1 মােল গ্যাসের আয়তন হয় 22.4 লিটার।

মােলার আয়তন কাকে বলে ? মােলার আয়তন কী?

মােলার আয়তন: এক  মােল গ্যাসীয় পদার্থ যে আয়তন দখল করে তাকে ঐ প্যাসের মােলার আয়তন বলে। যেমন: এক মোল কার্বন ডাই অক্সাইড বলতে 44g কার্বন ডাই অক্সাইডকে বুঝায় । সুতরাং 44g কার্বন ডাই অক্সাইড যে আয়তন দখল করে তাকে কার্বন ডাই অক্সাইড এর  মােলার আয়তন বলে।

গ্রাম আণবিক ভর কাকে বলে? । এক গ্রাম আণবিক ভর বলতে কী বোঝায় ?

কোনাে পদার্থের আণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ পদার্থের গ্রাম আণবিক ভর বা এক গ্রাম আণবিক ভর  বলে। আবার, একে এক মোল ও বলা হয় । যেমন : CO2 এর আণবিক ভর = 12+16×2=12 + 32 =44 CO2 এর গ্রাম আণবিক ভর = 44 গ্রাম সুতরাং 1 মােল CO2  …

গ্রাম আণবিক ভর কাকে বলে? । এক গ্রাম আণবিক ভর বলতে কী বোঝায় ? Read More »

গ্রাম পারমাণবিক ভর কাকে বলে? এক মােল পরমাণু কাকে বলে?

কোনাে মৌলের পারমাণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ মৌলের গ্রাম পারমাণবিক ভর বা এক মােল পরমাণু বলা হয় । যেমন : অক্সিজেনের পারমাণবিক ভর = 16  , অক্সিজেনের গ্রাম পারমাণবিক ভর = 16 গ্রাম সুতরাং 16 গ্রাম  অক্সিজেন= 1 মােল অক্সিজেন পরমাণু = 6.023×1023. টি অক্সিজেন পরমাণু

কীভাবে কোনো অণুর আণবিক ভর বের করা হয় ? আণবিক ভর হিসাব

অণুর আণবিক ভর বের করার পদ্ধতি: কোনাে অণুতে বিদ্যমান সকল পরমাণুর পারমাণবিক ভর যােগ করলে ঐ অণুর আণবিক ভর পাওয়া যায়। যেমন: Cl2 অণুতে Cl পরমাণু আছে 2টি।         অতএব, Cl2 এর আণবিক ভর = 2 x Cl এর পারমাণবিক ভর = 2 x 35.5 = 7 আবার, NaCl অণুতে Na পরমাণু আছে 1টি এবং Cl …

কীভাবে কোনো অণুর আণবিক ভর বের করা হয় ? আণবিক ভর হিসাব Read More »

অ্যাভােগেড্রোর সংখ্যা কী? অ্যাভােগেড্রোর ধ্ৰুবক কাকে বলে? সংখ্যাটির মান কত?

অ্যাভােগেড্রোর সংখ্যা কী ? অ্যাভােগেড্রোর সংখ্যা: কোন পদার্থের এক মোলে (গ্রাম আণবিক ভরে) যতসংখ্যক অণু বা কোন মৌলের এক  মোল পরমাণুতে(গ্রাম পারমাণবিক ভরে) যতটি পরমাণু থাকে বা এক মোল আয়নে যতটি আয়ন থাকে তাকে  অ্যাভোগেড্রো সংখ্যা বলে।   এই সংখ্যাকে অ্যাভােগেড্রোর ধ্ৰুবক  ও  বলা  হয় । একে N বা NA দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর …

অ্যাভােগেড্রোর সংখ্যা কী? অ্যাভােগেড্রোর ধ্ৰুবক কাকে বলে? সংখ্যাটির মান কত? Read More »

মােল কাকে বলে ? মােল বলতে কী বোঝ? মোলের সংজ্ঞা দাও।

মােল কাকে বলে ? মােল বলতে কী বোঝ? মোলের সংজ্ঞা দাও অথবা মোল কী? এই ধরণের প্রশ্ন তোমাদের মনে আসতেই পারে। রসায়নে এই মােল শব্দটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মােল কী? কোনাে পদার্থের যে পরিমাণের মধ্যে 6.023 x 1023 টি পরমাণু, অণু বা আয়ন থাকে সেই পরিমাণকে ঐ পদার্থের মােল বলা হয়।   যেমন: 12 গ্রাম C এর …

মােল কাকে বলে ? মােল বলতে কী বোঝ? মোলের সংজ্ঞা দাও। Read More »

পরিমাণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি কী? পরিমাণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে/ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কোনাে পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করা হয় তাকে পরিমাণগত বিশ্লেষণ/ পরিমাণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি বলে।

গুণগত বিশ্লেষণ? গুণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি কাকে বলে? গুণগত বিশ্লেষণ কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে / বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কোনাে পদার্থকে এবং তার বিভিন্ন ধর্মকে শনাক্ত করা হয় তাকে গুণগত বিশ্লেষণ/গুণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি  বলে ।

ড্রাই আইস [CO2(s)] কে তাপ প্রদানে বক্ররেখা কেমন পাওয়া যাবে ? বিশ্লেষণ করো ।

যে সকল কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় এবং বাম্পকে ঠাণ্ডা করলে সরাসরি কঠিনে পরিণত হয় তাদেরকে উর্ধ্বপাতিত পদার্থ বলে। ড্রাই আইস একটি উর্ধ্বপাতিত পদার্থ। তাই এর কোনাে তরল অবস্থা নেই। কঠিন ড্রাই আইসকে উত্তপ্ত করলে তা তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাম্পে পরিণত হয়। অর্থাৎ তাপীয় বক্ররেখায় দুইটি মাত্র অবস্থা( কঠিন ও …

ড্রাই আইস [CO2(s)] কে তাপ প্রদানে বক্ররেখা কেমন পাওয়া যাবে ? বিশ্লেষণ করো । Read More »

বালি এবং গ্লুকোজের মিশ্রণে তাপ দিয়ে উপাদানগুলোকে আলাদা করা যায়না কেন ?

বালি এবং গ্লুকোজের মিশ্রণের মধ্যে কোনাে ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ নেই। কাজেই তাপ প্রয়ােগ করে বালি এবং গ্লুকোজকে মিশ্রণ থেকে  উপাদানগুলোকে আলাদা করা যায় না।

আয়ােডিন মিশ্রিত খাদ্য লবণ থেকে কীভাবে আয়ােডিন পৃথক করা যায় ?

আয়ােডিন মিশ্রিত খাদ্য লবণের মধ্যে আয়ােডিন একটি ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ। কাজেই ঐ আয়ােডিন মিশ্রিত খাদ্য লবণের মিশ্রণকে তাপ দিলে আয়ােডিন তরলে পরিণত না হয়ে সহজেই বাষ্পীভূত হয়। ঐ বাষ্পকে ঠাণ্ডা করে কঠিন আয়ােডিনে পরিণত করা যায়। এভাবে ঊর্ধ্বপাতন পদ্ধতিতে আয়ােডিন মিশ্রিত খাদ্য লবণ থেকে  আয়ােডিনকে  পৃথক করা যায়।

কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে উর্ধ্বপাতিত পদার্থকে কীভাবে পৃথক করবে ?

কোনাে কঠিন পদার্থের মিশ্রণের মধ্যে একটি উর্ধ্বপাতিত পদার্থ মিশ্রিত থাকলে ঐ ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থকে মিশ্রণ থেকে পৃথক করা যায়। কঠিন অবস্থায় ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থে তাপ প্রয়ােগ করতে থাকলে এটি  সহজেই বাষ্পীভূত হয়। যেমন: নিশাদল বা অ্যামােনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl) এর সাথে খাদ্য লবণ (NaCl) মিশ্রিত থাকলে ঊর্ধ্বপাতন পদ্ধতির মাধ্যমে নিশাদলকে পৃথক করা যাবে । মিশ্রণটিতে তাপ প্রয়ােগ করতে থাকলে …

কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে উর্ধ্বপাতিত পদার্থকে কীভাবে পৃথক করবে ? Read More »

একটি পরীক্ষার সাহায্য ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ বা উদ্বায়ী পদার্থ এর ঊর্ধ্বপাতন ব্যাখ্যা করো ।

একটি বিকারে কিছু পরিমাণ কঠিন অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (AlCl3) লবণ নিয়ে এর খােলা মুখ একটি কাচের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই । কাচের ঢাকনার উপর কিছু বরফ রাখি । এরপর ধীরে ধীরে বিকারটিতে তাপ প্রদান করি । তাপ প্রদানে দেখা যাবে কঠিন  AlCl3 গ্যাসীয় AlCl3 এ পরিণত হচ্ছে। সেটি উপরে উঠে ঢাকনায় গিয়ে শীতল হয়ে কঠিন AlCl3 …

একটি পরীক্ষার সাহায্য ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ বা উদ্বায়ী পদার্থ এর ঊর্ধ্বপাতন ব্যাখ্যা করো । Read More »

ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ কাকে বলে ? উদ্বায়ী পদার্থ কী ?

যেসব পদার্থকে তাপ প্রদান করলে সেগুলাে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাদেরকে ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ বলা হয়। যেমন- নিশাদল (NH4Cl), কর্পূর (C10H16O), ন্যাপথলিন (C10H8), কঠিন কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), আয়ােডিন (I2), অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (AlCl3)ইত্যাদি ।

ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে ? ঊর্ধ্বপাতন কী ? ঊর্ধ্বপাতন বলতে কী বুঝো ?

যে প্রক্রিয়ায় কোনাে কঠিন পদার্থকে তাপ প্রদান করা হলে সেগুলাে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাস্পে  পরিণত হয়, সেই প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপাতন বলে। যেমন-কঠিন ন্যাপথলিনকে তাপ দিলে সেটি তরল না হয়ে সরাসরি গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়।

পাতন কাকে বলে ? পাতন কী ? পাতন বলতে কী বুঝো ?

কোনাে তরলকে তাপ প্রদানে বাষ্পে পরিণত করে তাকে পুনরায় শীতলীকরণের মাধ্যমে তরলে পরিণত করার পদ্ধতিকে পাতন বলে। অর্থাৎ  পাতন = বাষ্পীভবন + ঘনীভবন (Distillation = Vaporization + Condensation)

বাষ্পীভবন কাকে বলে ? বাষ্পীভবন কী ? বাষ্পীভবন বলতে কী বুঝো ?

কোনাে তরলকে তাপ প্রদান করে ঐ তরল পদার্থকে বাষ্পে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে। যেমন— চায়ের কাপে গরম চা রাখলে ঐ গরম চা থেকে পানি বাষ্পাকারে উড়ে যায়। এটি বাষ্পীভবনের উদাহরণ।

পানির বাম্পকে নিয়ে শীতল করে প্রাপ্ত ডাটাগুলােকে একটি গ্রাফ পেপারের x অক্ষে সময় এবং Y অক্ষে তাপমাত্রা নিয়ে লেখচিত্র অঙ্কন করলে কী ঘটে তা বর্ণনা করো। অথবা জলীয় বাষ্পকে শীতলকরণের লেখচিত্রটি বর্ণনা করো ।

পানির বাম্পকে নিয়ে শীতল করে প্রাপ্ত ডাটাগুলােকে একটি গ্রাফ পেপারের x অক্ষে সময় এবং Y অক্ষে তাপমাত্রা নিয়ে লেখচিত্র অঙ্কন করলে নিম্নরূপ রেখা পাওয়া যাবে: চিত্র: জলীয় বাষ্পকে শীতলকরণের লেখচিত্র। লেখচিত্র থেকে দেখা যায়, শুরুতে জলীয় বাষ্পের তাপমাত্রা 140°CI এই জলীয় বাষ্পকে শীতল বা ঠাণ্ডা করে যখন তাপমাত্রা 140°C থেকে কমিয়ে 100°C এ নিয়ে যাওয়া …

পানির বাম্পকে নিয়ে শীতল করে প্রাপ্ত ডাটাগুলােকে একটি গ্রাফ পেপারের x অক্ষে সময় এবং Y অক্ষে তাপমাত্রা নিয়ে লেখচিত্র অঙ্কন করলে কী ঘটে তা বর্ণনা করো। অথবা জলীয় বাষ্পকে শীতলকরণের লেখচিত্রটি বর্ণনা করো । Read More »

একটি কঠিন পদার্থকে তাপ দিয়ে প্রথমে তরল পরে তরলকে বাষ্পে পরিণত করলে কী ঘটবে তা একটি পরীক্ষার ও লেখচিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করো । অথবা বরফে তাপ প্রদানের লেখচিত্রটি বর্ণনা করো ।

একটি কঠিন পদার্থকে (বরফ ) তাপ দিয়ে প্রথমে তরল পরে তরলকে বাষ্পে পরিণত করলে যা ঘটে তা নিচে বর্ণনা করা হলো:  কয়েক টুকরা বরফকে একটি বিকারে নিয়ে সেটিতে ধীরে ধীরে তাপ প্রদান করি  এবং একটি থার্মোমিটারের সাহায্যে সারাক্ষণ এর তাপমাত্রা পরিমাপ করি । ধরি  , কঠিন বরফ খণ্ডগুলাের প্রাথমিক তাপমাত্রা ছিল –40°C। চিত্র: জলীয় বাষ্পকে …

একটি কঠিন পদার্থকে তাপ দিয়ে প্রথমে তরল পরে তরলকে বাষ্পে পরিণত করলে কী ঘটবে তা একটি পরীক্ষার ও লেখচিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করো । অথবা বরফে তাপ প্রদানের লেখচিত্রটি বর্ণনা করো । Read More »

গলন এবং স্ফুটনের সময় তাপ দেওয়া হলেও তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না কেন তা ব্যাখ্যা করো ।

গলন এবং স্ফুটনের সময় তাপ দেওয়া হলেও তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না কারণ – এই সময় যে তাপ দেওয়া হয় সেই তাপটুকু পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন করে অর্থাৎ কঠিন থেকে তরল কিংবা তরল থেকে গ্যাসে পরিবর্তন করে।

তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়ের পদ্ধতি বর্ণনা করো ।

যে তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয় করতে হবে ঐ তরল পদার্থ (যেমন— পানি) এর কিছু পরিমাণ একটি বিকারে নিই । এই বিকারের মধ্যে 1 টি থার্মোমিটার যুক্ত করি । এখন সতর্কতার সাথে বুনসেন বার্নার দিয়ে বিকারটিকে উত্তপ্ত করি । এক পর্যায়ে সমস্ত পানি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বাষ্পে পরিণত হতে শুরু করবে। এই তাপমাত্রাই পানির স্ফুটনাঙ্ক। যেমন- …

তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়ের পদ্ধতি বর্ণনা করো । Read More »

গলনাঙ্ক নির্ণয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনাে কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা কীভাবে নির্ণয় করা যায়।

অবিশুদ্ধ পদার্থের গলনাঙ্ক বিশুদ্ধ পদার্থ থেকে কম হয়। যেহেতু প্রত্যেক বিশুদ্ধ কঠিন পদার্থের একটি নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক থাকে সেহেতু কঠিন পদার্থ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গলে থাকে। যদি দেখা যায় কোনাে কঠিন পদার্থ তার গলনাঙ্ক ছাড়া অন্য কোনাে তাপমাত্রায় গলছে সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে কঠিন পদার্থটি বিশুদ্ধ নয়। আবার যদি দেখা যায় কঠিন পদার্থটি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার …

গলনাঙ্ক নির্ণয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনাে কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা কীভাবে নির্ণয় করা যায়। Read More »

একটি অবিশুদ্ধ পদার্থ (মােমের) গলনাঙ্ক নির্ণয় পদ্ধতি বর্ণনা করো

একটি অবিশুদ্ধ পদার্থ মােমের গলনাঙ্ক নির্ণয় পদ্ধতি নিচে বর্ণনা। মােম কিছু পদার্থের মিশ্রণ। মােমের গলনাঙ্ক নির্ণয় করতে হলে প্রথমে মােমকে চূর্ণ করে পাউডার বা গুঁড়ায় পরিণত করি । এরপর মােমের গুঁড়াকে একটি এক মুখ বন্ধ কাচনলে নিয়ে সেখানে একটি থার্মোমিটার রাখি । এবারে কাচনলটি বিকারের পানিতে এমনভাবে ডুবাই  যেন কাচনলের খােলা মুখে পানি প্রবেশ করতে …

একটি অবিশুদ্ধ পদার্থ (মােমের) গলনাঙ্ক নির্ণয় পদ্ধতি বর্ণনা করো Read More »

error: Content is protected !!