দুই মুখ খোলা একটি লম্বা কাচনল নিই । দুই খণ্ড তুলা নিই । এক খণ্ড তুলাকে ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) দ্রবণে এবং অপর খণ্ড তুলা অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH4OH) দ্রবণে ভিজাই । এবার ঐ লম্বা কাচনলটির এক মুখে হাইড্রোক্লোরিক এসিড দ্রবণে সিক্ত তুলা এবং অপর মুখে অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণে সিক্ত তুলা দিয়ে বন্ধ করি । এখানে হাইড্রোক্লোরিক এসিড দ্রবণ থেকে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস এবং অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ থেকে অ্যামােনিয়া (NH3) গ্যাস ব্যাপিত হবে।
(হাইড্রোক্লোরিক এসিড দ্রবণ) HCl ➔HCl(g)
NH4OH➔NH3+H2O
চিত্র: দুটি গ্যাসের ব্যাপন।
কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে কাচনলের ভিতরে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস ও অ্যামােনিয়া গ্যাস পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে অ্যামােনিয়াম ক্লোরাইডের (NH4Cl) সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি করেছে।
NH3+HCl = NH4Cl
সাদা ধোঁয়ার অবস্থান কাচনলের ঠিক মাঝামাঝি হবে না। এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড দ্রবণের কাছে এবং অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ থেকে দূরে অবস্থান করবে। অর্থাৎ একই সময়ে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস কম দূরত্ব এবং অ্যামােনিয়া গ্যাস বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এ পরীক্ষা থেকে বােঝা যায় যে, অ্যামােনিয়া গ্যাস হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করছে অর্থাৎ অ্যামােনিয়া গ্যাসের ব্যাপন হার হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের ব্যাপন হারের চেয়ে বেশি।