জারণ সংখ্যা কীভাবে নির্ণয়:
কোনাে অণু বা আয়নে সংশ্লিষ্ট পরমাণুর জারণ সংখ্যা নিচের পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায় :
- যৌগ বা আয়নে অবস্থিত যে পরমাণুটির জারণ সংখ্যা বের করতে হবে ধরে নেই তার জারণ সংখ্যা x।
- যৌগ বা আয়নের সকল মৌলের জারণ সংখ্যাকে তাদের নিজ নিজ পরমাণু সংখ্যা দ্বারা গুণ করে তাদের সমষ্টি করি ।
- জারণ সংখ্যার সমষ্টি হবে অণুর ক্ষেত্রে শূন্য (0) এবং আয়নের ক্ষেত্রে তার চিহ্নসহ চার্জ সংখ্যার সমান। এখান থেকে পরমাণুর জারণ সংখ্যা x বের করা যায় ।
যেমন: KMnO4 অণুতে কেন্দ্রীয় পরমাণু Mn এর জারণ মান বের করতে হবে।
ধরি, KMnO4 অণুতে Mn এর জারণ মান =x,
K এর জারণ মান= +1
O এর জারণ মান = -2
এখন KMnO4 অণুতে সকল মৌলের জারণ সংখাকে তাদের পরমাণু সংখ্যা দ্বারা গুণ করে যােগ করি । উক্ত যােগফল হবে KMnO4 এর জারণ সংখ্যার সমান। যেহেতু KMnO4 একটি আধান নিরপেক্ষ অণু সুতরাং এর আধান শূন্য, কাজেই
(+1)×1 + x×1 + (-2)×4 = 0
বা x = 7
অর্থাৎ Mn এর জারণ সংখ্যা +7
- সাধারণত হাইড্রাইড (যেমন:LiH, LiAlH4) ব্যতীত সকল ক্ষেত্রে H এর জারণ সংখ্যা +1)
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড (H2O2), সােডিয়াম পার-অক্সাইড (Na2O2) এ অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -1, সুপার-অক্সাইড যেমন: সােডিয়াম সুপার-অক্সাইড (KO2), পটাশিয়াম সুপার-অক্সাইড (KO2) এ অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা – 1/2 হয়। এছাড়া সকল ক্ষেত্রে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা – 2।