আমরা জানি, প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর n দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এই শক্তিস্তরগুলাে আবার উপশক্তিস্তরে বিভক্ত থাকে এবং এই উপশক্তিস্তরকে l দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। l এর মান হয় ০ থেকে n -1 পর্যন্ত। উপশক্তিস্তরগুলােকে অরবিটাল বলা হয়। এই উপশক্তিস্তর বা অরবিটালগুলােকে s, p, d, f ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়। বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের জন্য সম্ভাব্য l এর মান নিচে দেখানাে হলাে।
n = 1 হলে 1 = 0 অরবিটাল একটি: 1s
n = 2 হলে 1 = 0, 1 অরবিটাল দুটি: 2s, 2p
n = 3 হলে 1 = 0, 1, 2 অরবিটাল তিনটি: 3s, 3p, 3d
n = 4 হলে 1 = 0, 1, 2, 3 অরবিটাল চারটি: 4s, 4p, 4d, 4f
n = 5 হলে 1 = 0, 1, 2, 3, 4 অর্থাৎ এখানে অরবিটাল থাকবে পাঁচটি কিন্তু 4s, 4p, 4d, 4f এই প্রথম চারটি অরবিটালেই সবগুলাে ইলেকট্রনের বিন্যাস করা সম্ভব বলে পরবর্তী অরবিটালের আর প্রয়ােজন হয় না। n = 6, 7 এবং ৪ এর জন্যও এটি সত্যি।
প্রতিটি অরবিটালে ইলেকট্রন সংখ্যা হচ্ছে: 2(2l + 1), আমরা জানি, প্রতিটি পূর্ণ শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের সংখ্যা হচ্ছে 2n2 এবং দেখা যায়, সবগুলাে অরবিটালের ইলেকট্রনের সংখ্যা যােগ করে আমরা এই 2n2 পেয়ে যাই। নিচের ছকে সেটি দেখানাে হলাে:
টেবিল: শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস (n = 1 থেকে 4 পর্যন্ত)