পরমাণু প্রধান তিনটি কণিকা হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রােটন এবং নিউট্রন।
ইলেকট্রন: ইলেকট্রন হলাে পরমাণুর একটি মূল কণিকা যার আধান বা চার্জ ঋণাত্মক বা নেগেটিভ। এ আধানের পরিমাণ -1.60 x 10-19 কুলম্ব। একে e প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি ইলেকট্রনের ভর 9.11 x 10-28 g। ইলেকট্রনের আপেক্ষিক আধান -1 ধরা হয় এবং এর ভর প্রােটন ও নিউট্রনের তুলনায় 1840 গুণ কম। তাই আপেক্ষিক ভর শূন্য ধরা হয়। 1897 খ্রিষ্টাব্দে স্যার জে. জে. থমসন সর্বপ্রথম ইলেকট্রনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন।
প্রােটন: প্রােটন হলাে পরমাণুর একটি মূল কণিকা যার চার্জ বা আধান ধনাত্মক বা পজেটিভ। এ আধানের পরিমাণ +1.60 x 10-19 কুলম্ব। একে p প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি প্রােটনের ভর 1.673×10-24 g ৷ প্রােটনের আপেক্ষিক আধান +1 এবং আপেক্ষিক ভর 1 ধরা হয়।1911 খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড প্রোটনের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
নিউট্রন: নিউট্রন হলাে পরমাণুর আরেকটি মূল কণিকা যার কোনাে আধান বা চার্জ নেই। হাইড্রোজেন ছাড়া সকল মৌলের পরমাণুতেই নিউট্রন রয়েছে। একে n প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি নিউট্রনের ভর 1.675×10-24 g যা প্রােটনের ভরের চেয়ে সামান্য বেশি। নিউট্রনের আপেক্ষিক আধান ০ আর আপেক্ষিক ভর 1 ধরা হয়। 1932 সালে জেমস স্যাডউইক নিউট্রন আবিস্কার করেন।
*একটি পাথরের আসল ভর ৪০ কেজি এবং অন্য একটির ৮০ কেজি। প্রথম ভরকে প্রমাণ (standard) ভর ধরলে দ্বিতীয় পাথরের তুলনামূলক বা আপেক্ষিক ভর 2 হয়। আপেক্ষিক মানের কোনাে একক থাকে না। কারণ ভাগ করার সময় উপর ও নিচের একক কাটা যায়। ভাগফল হয় শুধু একটি সংখ্যা।
* আমরা জানি , পরমাণু অতিশয় ক্ষুদ্র। নিউক্লিয়াস পরমাণুর তুলনায় আরাে অনেক ক্ষুদ্র। একটি পরমাণুর ব্যাস 10-8 cm এবং একটি নিউক্লিয়াসের ব্যাস 10-15 m অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের ব্যাসার্ধ পরমাণুর ব্যাসার্ধের এক লক্ষ ভাগ ছােট।
মূল কণিকা:
মূল কণিকার নাম | প্রতীক | প্রকৃত আধান বা চার্জ | প্রকৃত ভর | আপেক্ষিক আধান | আপেক্ষিক ভর | অবস্থান | আবিস্কারক | আবিস্কারের সাল |
ইলেকট্রন | e | -1.60×10-19 কুলম্ব | 9.110×10-28 g | -1 | 0 | কক্ষপথ | জে.জে. থমসন | 1897 |
প্রােটন | p | +1.60×10-19 কুলম্ব। | 1.673×10-24 g | +1 | 1 | নিউক্লিয়াস | রাদারফোর্ড | 1911 |
নিউট্রন | n | 0 | 1.675×10-24 g | 0 | 1 | নিউক্লিয়াস | চ্যাডউইক | 1932 |