রাসায়নিক ক্ষেত্রে :
ব্যাপনের কারণে কোন দ্রাবক দ্রবে দ্রবীভূত হয়। ব্যাপনের হার যত বেশি , দ্রবণের দ্রাব্যতাও তত বেশি হয় । উদাহরণস্বরূপ, পানিতে এক ফোটা নীল ফেললে তা দ্রুত সমস্ত পানিতে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ও সমস্ত পানি নীল হয় ।
দৈনন্দিন জীবনেঃ
ব্যাপনের ফলেই আমরা আতর, সেন্ট ইত্যাদির সুগন্ধ পাই । ব্যাপনের জন্যই আমরা চিনির শরবত তৈরি করতে পারি । আবার ব্যাপনের জন্যেই অগ্নিকুন্ডের আশ পাশ ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে ও মানুষ কার্বন মনােঅক্সাইডে আক্রান্ত হয়।
উদ্ভিদ জগতে :
১. বায়ুমন্ডল হতে CO2 ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পাতায় প্রবেশ করে। সবুজ পাতায় CO2 গ্রহণ ফটোসিনথেটিক প্রক্রিয়ার জন্য আবশ্যক।
২. শ্বসনের জন্য প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বায়ু থেকে কোষাভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
৩. উদ্ভিদদেহের অভ্যন্তরে পানি ও খনিজ লবণের বিভিন্ন অংশে যাতায়াত ব্যাপন প্রক্রিয়ার বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
৪. কোষ ঝিলির মাধ্যমে উদ্ভিদদেহের সর্বত্র তরল পদার্থ ও গ্যাসীয় পদার্থের বিনিময় ব্যাপনের মাধমে ঘটে ।
প্রাণি জগতে :
১. প্রাণিদেহের পরিপাকতন্ত্র থেকে খাদ্যবস্তু ব্যাপন প্রক্রিয়ায় শােষিত হয় ।
২. কোষের ভিতর -বাহির বিভিন্ন পদার্থ যাতায়াত করে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় ।
৩. এছাড়া প্রাণিদেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন পদার্থ বিনিময় ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে । উপােরােক্ত আলােচনা থেকে বােঝা যায় যে , আমাদের জীবনে ব্যাপনের গুরুত্ব অপরিসীম।