আমরা জানি, যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের মধ্যে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে অর্থাৎ একটি বিক্রিয়ক ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং অপর বিক্রিয়কটি সেই ইলেকট্রনকে গ্রহণ করে তাকে রেডক্স বিক্রিয়া বলে । প্রদত্ত বিক্রিয়াটি
2FeCl2(aq) + Cl2(g) → 2FeCl3(aq)
উপরিউক্ত বিক্রিয়ায় ফেরাস ক্লোরাইডের সাথে ক্লোরিন যুক্ত হয়ে ফেরিক ক্লোরাইড উৎপন্ন করে।
বিক্রিয়াটির আয়নিক রূপ:
2Fe2+Cl21- (aq) + Cl20(g) → Fe3+Cl3-1 (aq)
এখানে ফেরাস আয়ন একটি ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে ফেরিক আয়নে পরিণত হয়েছে |
Fe2+ – e– = Fe3+ (জারণ বিক্রিয়া )
অপরদিকে ক্লোরিন অণুতে অবস্থিত ক্লোরিন পরমাণু সেই ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে ক্লোরাইড আয়নে পরিণত হয়েছে ।
Cl + e– =Cl–(বিজারণ বিক্রিয়া )
সুতরাং উপরের বিক্রিয়া থেকে বলা যায় যে , প্রদত্ত বিক্রিয়াটি একটি জারণ -বিজারণ বা রেডক্স বিক্রিয়া ।
( আমরা জানি, যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের জারণ সংখ্যার হ্রাস -বৃদ্ধি ঘটে তাকে জারণ -বিজারণ বা রেডক্স বিক্রিয়া বলে। প্রদত্ত বিক্রিয়াটি 2FeCl2(aq) + Cl2(g) → FeCl3(aq)
উপরিউক্ত বিক্রিয়ায ফেরাস ক্লোরাইডের সাথে ক্লোরিন যুক্ত হয়ে ফেরিক ক্লোরাইড উৎপন্ন করে।
বিক্রিয়াটির আয়নিক রূপ:
2Fe+2Cl2-1 (aq) + Cl20(g) → Fe+3Cl3-1 (aq)
বিক্রিয়কে আয়রনের জারণ সংখ্যা +2 আবার উৎপাদে আয়রনের জারণ সংখ্যা +3 আবার বিক্রিয়কে ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা শূন্য এবং উৎপাদে ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1 । এই বিক্রিয়ায় আয়রনের জারণ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে । সুতরাং বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কে উপস্থিত মৌলসমূহের মধ্যে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে ফলে জারণ সংখ্যা হ্রাস- বৃদ্ধি তথা পরিবর্তন ঘটেছে । সুতরাং , প্রদত্ত বিক্রিয়াটি একটি জারণ -বিজারণ বা রেডক্স বিক্রিয়া । )