তড়িৎদ্বার (Electrode) কাকে বলে? তড়িৎদ্বার বলতে কী বোঝ? Electrode কী?

তড়িৎদ্বার (Electrode): তড়িৎ রাসায়নিক কোষে বিগলিত বা দ্রবীভূত তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যে যে দুটি ইলেকট্রনীয় পরিবাহী অর্থাৎ ধাতব দণ্ড বা গ্রাফাইট দন্ড প্রবেশ করানাে হয় তাদেরকে তড়িৎদ্বার বলা হয়।

তড়িৎ অবিশ্লেষ্য কাকে বলে? তড়িৎ অবিশ্লেষ্য বলতে কী বোঝ?

তড়িৎ অবিশ্লেষ্য: যেসব পদার্থ কঠিন, গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।যেমন-চিনি, গ্লুকোজ ।

মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Weak Electrolyte) বলতে কী বোঝ? মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য কী?

মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Weak Electrolyte): যে সকল তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে খুব অল্প পরিমাণে আয়নিত অবস্থায় থাকে তাদেরকে মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। যেমন: পানি (H2O), ইথানয়িক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি।

তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলতে কী বুঝো ? তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য কাকে বলে?

তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Strong Electrolyte): যে সকল তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে আয়নিত অবস্থায় থাকে তাদেরকে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। যেমন—সােডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO4), সালফিউরিক এসিড (H2SO4) ইত্যাদি।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের উদাহরণ। কয়েকটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের নাম লেখো।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের উদাহরণ: আয়নিক যৌগ এবং কিছু পােলার সমযােজী যৌগ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সােডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO4), সালফিউরিক এসিড (H2SO4), পানি (H2O), ইথানয়িক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কত প্রকার ও কী কী ? তড়িৎ বিশ্লেষ্যপদার্থের প্রকারভেদ।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের প্রকেরভেদ: তড়িৎ তড়িৎ বিশ্লেষ্য দুই প্রকার। যথা (i) তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Strong Electrolyte) (ii) মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Weak Electrolyte)

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন ?

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করার কারণ: বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য প্রয়ােজন বিচ্ছিন্ন ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আয়ন। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় আয়নিত অবস্থায়(বিচ্ছিন্ন ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন হিসেবে অবস্থান করে) থাকে। এই আয়নের মাধ্যমে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবহন করে। 

তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Electrolyte)কাকে বলে? তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলতে কী বোঝ?

তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Electrolyte): যেসব পদার্থ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কিন্তু গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং বিদ্যুৎ পরিবহনের সাথে সাথে ঐ পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।

ধাতব পরিবাহী বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন ?

ধাতব পরিবাহী বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বিদ্যুৎ পরিবহন কারণ: ধাতুর মধ্যে ধাতব বন্ধন বিদ্যমান। এখানে প্রচুর পরিমাণে মুক্ত ইলেকট্রন থাকে। গ্রাফাইটেও মুক্ত ইলেকট্রন থাকে। এজন্য এ সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। সকল পরিবাহীকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে। 

ধাতব পরিবাহী বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী (Electronic conductor)কাকে বলে ?

ধাতব পরিবাহী বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী (Electronic conductor): যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয় এবং এই সময় কোনোরূপ রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটেনা,সেসব পরিবাহীকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে। যেমন- লােহা (Fe), কপার  (Cu), নিকেল (Ni) ইত্যাদি  সকল  ধাতু ও গ্রাফাইট  ইলেকট্রনীয় পরিবাহী।

বিদ্যুৎ পরিবাহী কত প্রকার ও কী কী ? বিদ্যুৎ পরিবাহী প্রকেরভেদ

বিদ্যুৎ পরিবাহী প্রকেরভেদ: বিদ্যুৎ পরিবহনের কৌশলের উপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ পরিবাহী দুই প্রকার হতে পারে। যথা: (i) ইলেকট্রনীয় পরিবাহী এবং (ii) তড়িৎ বিশ্লেষ্য।

বিদ্যুৎ পরিবাহী(CONDUCTOR) কাকে বলে ? বিদ্যুৎ পরিবাহী বলতে কী বোঝ?

যে সকল পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে তাদেরকে বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ বলে। যেমন- ধাতু, গ্রাফাইট, গলিত লবণ, লবণের দ্রবণ, এসিড ও ক্ষারের দ্রবণ প্রভৃতি বিদ্যুৎ পরিবাহীর উদাহরণ।

তড়িৎ রাসায়নিক কোষের সংগঠন বর্ণনা করো ।

তড়িৎ রাসায়নিক কোষের সংগঠন: যে যন্ত্রের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে রাসায়নিক শক্তিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে অথবা বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানাে হয় তাকে তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বলে। তড়িৎ রাসায়নিক কোষে একই বা দুইটি ভিন্ন তড়িৎ বিশ্লেষ্যের দ্রবণে দুইটি ধাতব দণ্ড বা গ্রাফাইট দণ্ডই আংশিক ডুবানাে থাকে। অতঃপর দণ্ড দুটিকে একটি ধাতব তার দিয়ে …

তড়িৎ রাসায়নিক কোষের সংগঠন বর্ণনা করো । Read More »

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ কাকে বলে ? তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ বলতে কী বোঝ?

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ (Electrolytic cell): যে কোষে বাইরের কোনাে উৎস থেকে তড়িৎ প্রবাহিত করে কোষের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানাে যায় সেই কোষকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ বলে।

তড়িৎ রাসায়নিক কোষ কাকে বলে? তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বলতে কী বোঝ?

যে যন্ত্রের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে রাসায়নিক শক্তিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে অথবা বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানাে হয় তাকে তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বলে।

রাসায়নিক শক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব আলোচনা করো ।

রাসায়নিক শক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব: আমরা শক্তি পাবার জন্য জ্বালানি পােড়াচ্ছি। মূলত আমরা জ্বালানির মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে ব্যবহার করছি। যদিও বর্তমান বিশ্বে সৌরশক্তি, নিউক্লিয়ার শক্তি, বাতাসের শক্তি, স্রোতের শক্তিকেও কাজে লাগানাে হচ্ছে, তবু জীবাশ্ম জ্বালানিই আমাদের প্রয়ােজনীয় শক্তির সিংহভাগ জোগান দেয়। প্রতিবছর জ্বালানি পুড়িয়ে 21.3 বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি করা হচ্ছে। গাছ সালােক সংশ্লেষণ …

রাসায়নিক শক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব আলোচনা করো । Read More »

ইথানল কী ? এর ব্যবহার ও গুরুত্ব সমন্ধে আলোচনা করো ।

ইথানল এর ব্যবহার ও গুরুত্ব: ইথানলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ইথানল, যার অপর নাম ইথাইল অ্যালকোহল। এর রাসায়নিক সংকেত CH3-CH2-OH ।এটি একটি দাহ্য তরল রাসায়নিক পদার্থ। খনিজ জ্বালানি যেমন— কেরােসিন, পেট্রোল, ডিজেল প্রভৃতির মতাে ইথানলকে পােড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। তাহলে খনিজ জ্বালানির মতাে ইথানলকে তাপ ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে কলকারখানা, গাড়ি, বিমান, জাহাজ প্রভৃতি চালানাে …

ইথানল কী ? এর ব্যবহার ও গুরুত্ব সমন্ধে আলোচনা করো । Read More »

ইথানলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার অথবা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন ?

ইথানল-এর অপর নাম ইথাইল অ্যালকোহল। এর রাসায়নিক সংকেত CH3-CH2-OH। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কেরােসিন, ডিজেল, পেট্রল প্রভৃতির মতাে ইথানলকে পােড়ালেও তাপ উৎপন্ন হয়। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির মতাে ইথানলকেও তাপ ইঞ্জিনে ব্যবহার করে কলকারখানা, গাড়ি, বিমান, জাহাজ প্রভৃতি চালানাে যেতে পারে। উত্তর আমেরিকাসহ অনেক দেশে জীবাশ্ম জ্বালানির সাথে ইথানলকে মিশিয়ে তাপ ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সব …

ইথানলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার অথবা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন ? Read More »

ফটোক্যামিক্যাল ধোঁয়া(photochemical smog) কী?

যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়ায় কার্বন মনােক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড ও অব্যবহৃত জ্বালানি সূর্যের আলাের উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মাধ্যমে যে বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়া সৃষ্টি করে তাকে ফটোক্যামিক্যাল ধোঁয়া বলে।

নিচের টেবিল এর বন্ধন এবং বন্ধন শক্তি বলতে কী বোঝো ?

C-H এর বন্ধন শক্তি 414 কিলােজুল/মােল। এ তথ্য থেকে বােঝা যায় 1 মােল C-H বন্ধনকে ভাঙতে 414 কিলােজুল তাপ দিতে হয়। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, 1 মােল C-H বন্ধন তৈরি হতে 414 কিলােজুল তাপ নির্গত হয়।

রাসায়নিক শক্তির যথাযথ ব্যবহার করা উচিত কেন?

রাসায়নিক শক্তির যথাযথ ব্যবহার করা উচিত: পেট্রোলিয়াম, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস এগুলােকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। এসব জ্বালানির মাঝে রাসায়নিক শক্তি জমা থাকে। এসব জ্বালানির দহন ঘটিয়ে বা জ্বালানিকে অক্সিজেনে পােড়ালে জ্বালানির মধ্যে বিদ্যমান রাসায়নিক শক্তি থেকে আমরা তাপশক্তি পাই। এই তাপশক্তি ব্যবহার করে আমরা রান্না, গাড়ি চালানাে, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা ধরনের কাজ করছি। এসব জীবাশ্ম জ্বালানি …

রাসায়নিক শক্তির যথাযথ ব্যবহার করা উচিত কেন? Read More »

জ্বালানির বিশুদ্ধতার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো । জ্বালানির বিশুদ্ধতার প্রয়জোনীয়তা।

রাসায়নিক শক্তির আধার হিসেবে আমরা নানা ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করি। বিশেষ করে কাঠ, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে যাচ্ছি। এ সমস্ত জ্বালানি বিশুদ্ধ হওয়া একান্ত জরুরি। স্বল্প বায়ুর উপস্থিতিতে এসব জ্বালানি পােড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইডের সাথে কার্বন মনােক্সাইড উৎপন্ন হয়, যেটি বিষাক্ত একটি গ্যাস। এগুলাে আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রকৃতিতে যে জ্বালানি …

জ্বালানির বিশুদ্ধতার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো । জ্বালানির বিশুদ্ধতার প্রয়জোনীয়তা। Read More »

রাসায়নিক শক্তি এবং রাসায়নিক শক্তি থেকে পাওয়া বিভিন্ন শক্তির ব্যবহার সমন্ধে আলোচনা করো ।

রাসায়নিক শক্তি এবং রাসায়নিক শক্তি থেকে পাওয়া বিভিন্ন শক্তির ব্যবহার: পদার্থের অণু-পরমাণুর মধ্যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে। একটি পদার্থ যখন আরেকটি পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে তখন রাসায়নিক শক্তি পাওয়া যায়। এ শক্তিকে পরবর্তীতে বিভিন্ন শক্তিতে রূপান্তর করে আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগাই। পৃথিবীতে সকল প্রকার শক্তির মাঝে রাসায়নিক শক্তি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। রান্নার কাজে আমরা …

রাসায়নিক শক্তি এবং রাসায়নিক শক্তি থেকে পাওয়া বিভিন্ন শক্তির ব্যবহার সমন্ধে আলোচনা করো । Read More »

ডেনিয়েল সেলে কীভাবে শক্তির রূপান্তর ঘটে ?

ডেনিয়েল সেলে শক্তির রূপান্তর: আমরা বাসে, ট্রাকে যে ব্যাটারি দেখে থাকি তা মূলত ডেনিয়েল সেল। জিংক সালফেট লবণের দ্রবণের মধ্যে জিংক ধাতুর দণ্ড এবং কপার সালফেট লবণের দ্রবণের মধ্যে কপার ধাতুর দণ্ড ব্যবহার করে ডেনিয়েল সেল তৈরি করা হয়। এতে নিচের বিক্রিয়া ঘটে: Zn(s) + CuSO4 (aq) → ZnSO4 (aq) + Cu(s) এ বিক্রিয়ার মাধ্যমে …

ডেনিয়েল সেলে কীভাবে শক্তির রূপান্তর ঘটে ? Read More »

ড্রাই সেলে কীভাবে শক্তির রূপান্তর ঘটে ?

ড্রাই সেলে কীভাবে শক্তির রূপান্তর: ড্রাই সেলের মধ্যে যে সকল রাসায়নিক পদার্থ থাকে তাদের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে রাসায়নিক শক্তি রূপান্তরিত হয়ে বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয়। অর্থাৎ রাসায়নিক শক্তি → বিদ্যুৎ শক্তি

আতশবাজিতে কীভাবে শক্তির রূপান্তর ঘটে ?

আতশবাজিতে কীভাবে শক্তির রূপান্তর: আতশবাজি থেকে আলাে, শব্দ ও যান্ত্রিক শক্তি (গতিশক্তি) পাওয়া যায়। আতশবাজির মাঝে যে রাসায়নিক পদার্থগুলাে থাকে তাদের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে আর রাসায়নিক শক্তি থেকে আলাে, শব্দ ও যান্ত্রিক শক্তি পাওয়া যায়। অর্থাৎ আতশবাজি (রাসায়নিক শক্তি)→আলাে +  শব্দ + যান্ত্রিক শক্তি 

জ্বালানি পােড়ানাে হলে মূলত কী ঘটে ? দহন বা পােড়ানাে কী ? মিথেনে দহন করলে কী ঘটে ?

কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, কাঠ ইত্যাদি পােড়ালে তাপ ও আলােক শক্তি পাওয়া যায়। এ শক্তি মূলত এ পদার্থগুলাের মধ্যে বিদ্যমান রাসায়নিক শক্তি থেকে পাওয়া যায়। দহন বা পােড়ানাে হলাে কোনাে পদার্থকে বায়ুর অক্সিজেন এর সাথে বিক্রিয়া করানো। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলাে মিথেন (CH4)। মিথেনে যখন দহন ঘটে অর্থাৎ মিথেনকে যখন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া ঘটানাে হয় …

জ্বালানি পােড়ানাে হলে মূলত কী ঘটে ? দহন বা পােড়ানাে কী ? মিথেনে দহন করলে কী ঘটে ? Read More »

CH4 + Cl2 → CH3Cl + HCl বিক্রিয়ার বিক্রিয়া তাপের পরিবর্তন H হিসাব করাে। দেওয়া আছে, C-H বন্ধন শক্তি 414 কিলােজুল/মােল, C-Cl বন্ধন শক্তি 326 কিলােজুল/মােল, Cl-Cl বন্ধন শক্তি 244 কিলােজুল/মােল, H-Cl বন্ধন শক্তি 431 কিলােজুল/মােল।

সমাধান:  CH4 + Cl2 → CH3Cl + HCl       H                             H        |                               |                        H- …

CH4 + Cl2 → CH3Cl + HCl বিক্রিয়ার বিক্রিয়া তাপের পরিবর্তন H হিসাব করাে। দেওয়া আছে, C-H বন্ধন শক্তি 414 কিলােজুল/মােল, C-Cl বন্ধন শক্তি 326 কিলােজুল/মােল, Cl-Cl বন্ধন শক্তি 244 কিলােজুল/মােল, H-Cl বন্ধন শক্তি 431 কিলােজুল/মােল। Read More »

O=O এর বন্ধন শক্তি 498 কিলােজুল/মােল বলতে কী বোঝো ?

O=O এর বন্ধন শক্তি 498 কিলােজুল/মােল। এ তথ্য থেকে বােঝা যায় 1 মােল O=O বন্ধনকে ভাঙতে 498 কিলােজুল তাপ দিতে হয়। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, 1 মােল O=O বন্ধন তৈরি হতে 498 কিলােজুল তাপ নির্গত হয়।

বন্ধন শক্তি ব্যবহার করে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন ΔHএর মান কীভাবে নির্ণয় করবে?

বন্ধন শক্তি ব্যবহার করে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন ডেলটা ΔH এর মান নির্ণয়: রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সময় বিক্রিয়কগুলাের মধ্যে যে বন্ধনগুলাে আছে সেই বন্ধনগুলাে ভেঙে যায় এবং উৎপাদগুলাের মধ্যে নতুন নতুন বন্ধন তৈরি হয়। বিক্রিয়কগুলাের বন্ধন ভাঙ্গার জন্য শক্তি দিতে হয় এবং উৎপাদগুলাের বন্ধন তৈরি হতে শক্তি নির্গত হয়। যেকোনাে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কগুলাের মােট …

বন্ধন শক্তি ব্যবহার করে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন ΔHএর মান কীভাবে নির্ণয় করবে? Read More »

রাসায়নিক বিক্রিয়া(CHEMICAL REACTION) সম্পন্ন হওয়ার সময় আসলে কী ঘটে ?

রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সময় বিক্রিয়কগুলাের মধ্যে যে বন্ধনগুলাে আছে সেই বন্ধনগুলাে ভেঙে যায় এবং উৎপাদগুলাের মধ্যে নতুন নতুন বন্ধন তৈরি হয়। বিক্রিয়কগুলাের বন্ধন ভাঙ্গার জন্য শক্তি দিতে হয় এবং উৎপাদগুলাের বন্ধন তৈরি হতে শক্তি নির্গত হয়।

C2H5OH + CH3COOH⇄CH3COOC2H5 + H2O বিক্রিয়াটিকে উভমুখী বিক্রিয়া বলা হয় কেন তা ব্যাখ্যা করো।

যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থ বিক্রিয়া করে উৎপাদে পরিণত হয় আবার উৎপাদ পদার্থগুলাে বিক্রিয়া করে পুনরায় বিক্রিয়ক পদার্থে পরিণত হয় তাকে উভমুখী বিক্রিয়া বলে। উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক হতে উৎপাদে পরিণত হওয়ার বিক্রিয়াকে সম্মুখমুখী বিক্রিয়া বলে । আবার  উৎপাদ হতে বিক্রিয়কে পরিণত হওয়ার বিক্রিয়াকে পশ্চাৎমুখী বা বিপরীতমুখী বিক্রিয়া বলা হয়। উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদের মধ্যে …

C2H5OH + CH3COOH⇄CH3COOC2H5 + H2O বিক্রিয়াটিকে উভমুখী বিক্রিয়া বলা হয় কেন তা ব্যাখ্যা করো। Read More »

সব বিক্রিয়াই উভমুখী হলেও কিছু বিক্রিয়াকে একমুখী মনে হয় কেন ?

উপযুক্ত শর্তে সব বিক্রিয়াই উভমুখী, তবে কিছু বিক্রিয়ার বেলায় সম্মুখমুখী বিক্রিয়ার তুলনায় বিপরীতমুখী বিক্রিয়ার পরিমাণ এত কম থাকে যে বিক্রিয়াকে একমুখী মনে হয়।  

পশ্চাৎমুখী বা বিপরীতমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে?

পশ্চাৎমুখী বা বিপরীতমুখী বিক্রিয়া: উভমুখী বিক্রিয়ায় উৎপাদ হতে বিক্রিয়কে পরিণত হওয়ার বিক্রিয়াকে পশ্চাৎমুখী বা বিপরীতমুখী বিক্রিয়া বলা হয়।

সম্মুখমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে ? সম্মুখমুখী বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

সম্মুখমুখী বিক্রিয়া: উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক হতে উৎপাদে পরিণত হওয়ার বিক্রিয়াকে সম্মুখমুখী বিক্রিয়া বলে ।

উভমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী? উভমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণ

উভমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থ বিক্রিয়া করে উৎপাদে পরিণত হয় আবার উৎপাদ পদার্থগুলাে বিক্রিয়া করে পুনরায় বিক্রিয়ক পদার্থে পরিণত হয় তাকে উভমুখী বিক্রিয়া বলে। উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদের মধ্যে বিপরীতমুখী দুটি অর্ধ তীর চিহ্ন (⇋) ব্যবহার করে সমীকরণ উপস্থাপন করা হয়। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিডের উপস্থিতিতে ইথানল ও ইথানয়িক এসিড …

উভমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী? উভমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণ Read More »

উভমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে? উভমুখী বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? উভমুখী বিক্রিয়া কী?

যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থ বিক্রিয়া করে উৎপাদে পরিণত হয় আবার উৎপাদ পদার্থগুলাে বিক্রিয়া করে পুনরায় বিক্রিয়ক পদার্থে পরিণত হয় তাকে উভমুখী বিক্রিয়া বলে।  যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিডের উপস্থিতিতে ইথানল ও ইথানয়িক এসিড পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে ইথাইল ইথানয়েট এস্টার ও পানি উৎপন্ন করে। অপরদিকে, উৎপন্ন ইথাইল ইথানয়েট এস্টার ও পানি পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে ইথানল …

উভমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে? উভমুখী বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? উভমুখী বিক্রিয়া কী? Read More »

একমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী?

একমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের মধ্যে একটি ডানমুখী তীর চিহ্ন (→) ব্যবহার করা হয়। যেমন:খোলা পাত্রে  ক্যালসিয়াম কার্বনেটকে উত্তপ্ত করলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ভেঙে গিয়ে কঠিন চুন ও গ্যাসীয় কার্বন ডাই-অক্সাইডে পরিণত হয়।  CaCO3 (s) → CaO (s) + CO2(g) গ্যাসীয় কার্বন ডাই-অক্সাইড বিক্রিয়া পাত্র থেকে অপসারিত হয় এ অবস্থায় কঠিন চুন পুনরায় ক্যালসিয়াম কার্বনেটে …

একমুখী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী? Read More »

একমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে ? একমুখী বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? একমুখী বিক্রিয়া কী?

যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থগুলাে উৎপাদে পরিণত হয়, কিন্তু উৎপাদ পদার্থগুলাে পুনরায় বিক্রিয়কে পরিণত হয় না তাকে একমুখী বিক্রিয়া বলা হয়।  খোলা পাত্রে  ক্যালসিয়াম কার্বনেটকে উত্তপ্ত করলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ভেঙে গিয়ে কঠিন চুন ও গ্যাসীয় কার্বন ডাই-অক্সাইডে পরিণত হয়।  CaCO3 (s) → CaO (s) + CO2(g) গ্যাসীয় কার্বন ডাই-অক্সাইড বিক্রিয়া পাত্র থেকে অপসারিত হয়। এ …

একমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে ? একমুখী বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? একমুখী বিক্রিয়া কী? Read More »

বিক্রিয়ার দিকের উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

বিক্রিয়ার দিকের উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক বিক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ: বিক্রিয়ার দিকের উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: একমুখী বিক্রিয়া ও উভমুখী বিক্রিয়া।

ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন এর মধ্যে পার্থক্য লেখ ।

ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন এর মধ্যে পার্থক্য: ভৌত পরিবর্তন রাসায়নিক পরিবর্তন যে পরিবর্তনের ফলে কোনাে পদার্থের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক গঠনের কোনাে পরিবর্তন না ঘটে শুধু বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তাকে ভৌত পরিবর্তন (Physical change) বলে।  যে পরিবর্তনের ফলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।  বস্তুর শুধু বাহ্যিক অবস্থার অর্থাৎ ভৌত …

ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন এর মধ্যে পার্থক্য লেখ । Read More »

ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া কোন ধরণের পরিবর্তন এবং কোনো তা ব্যাখ্যা করো

ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও  হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া  রাসায়নিক  পরিবর্তন। রাসায়নিক  পরিবর্তনের সংজ্ঞা থেকে আমরা জানি, যে পরিবর্তনের ফলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। ক্যালসিয়াম কার্বনেট হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করে। এটিও রাসায়নিক পরিবর্তন। CaCO3(s) + 2HCl(aq) → CaCl2(aq) + CO2(g) + H2O(l) …

ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া কোন ধরণের পরিবর্তন এবং কোনো তা ব্যাখ্যা করো Read More »

মিথেনের দহন কোন ধরণের পরিবর্তন এবং কোনো তা ব্যাখ্যা করো।

মিথেনের দহন একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। কারণ রাসায়নিক পরিবর্তনের সংজ্ঞা থেকে আমরা জানি, যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে সাথে সাথে অণুর গঠনেরও পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় তাকে  রাসায়নিক পরিবর্তন(Chemical Change) বলে। মিথেন(CH4) গ্যাসকে অক্সিজেনে পােড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস, জলীয় বাষ্প এবং তাপ শক্তি উৎপন্ন  হয়।  CH4(g) + O2(g) …

মিথেনের দহন কোন ধরণের পরিবর্তন এবং কোনো তা ব্যাখ্যা করো। Read More »

রাসায়নিক পরিবর্তন (Chemical Change) কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।

যে পরিবর্তনের ফলে কোনো পদার্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। অথবা যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে সাথে সাথে অণুর গঠনেরও পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় তাকে  রাসায়নিক পরিবর্তন(Chemical Change) বলে। যেমন- মিথেন(CH4) গ্যাসকে অক্সিজেনে পােড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস, জলীয় বাষ্প এবং তাপ …

রাসায়নিক পরিবর্তন (Chemical Change) কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো । Read More »

ভৌত পরিবর্তন (Physical change) কাকে বলে ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো । কঠিন বরফকে তাপ দিলে জলীয় বাষ্প বা জলীয় বাষ্পকে ঠান্ডা করলে কঠিন বরফে পরিণত হওয়া কী ধরণের পরিবর্তন তা ব্যাখ্যা করো।

যে পরিবর্তনের ফলে কোনাে পদার্থের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক গঠনের কোনাে পরিবর্তন না ঘটে শুধু বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তাকে ভৌত পরিবর্তন (Physical change) বলে। অথবা যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের শুধু বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে, অণুর গঠনের কোনো পরিবর্তন ঘটে না অর্থাৎ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন কোনো পদার্থের সৃষ্টি হয় না তাকে  ভৌত পরিবর্তন (Physical change) বলে। …

ভৌত পরিবর্তন (Physical change) কাকে বলে ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো । কঠিন বরফকে তাপ দিলে জলীয় বাষ্প বা জলীয় বাষ্পকে ঠান্ডা করলে কঠিন বরফে পরিণত হওয়া কী ধরণের পরিবর্তন তা ব্যাখ্যা করো। Read More »

লােহায় মরিচা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করো। মরিচা কীভাবে সৃষ্টি হয়?

লােহায় মরিচা পড়ার কারণ: লােহার (আয়রন বা Fe) তৈরি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন: ছুরি, কাঁচি, বঁটি, দা ইত্যাদি ব্যবহার করি। এসব যন্ত্রপাতি বাতাসে মুক্ত অবস্থায় রেখে দিলে এদের পৃষ্ঠে মরিচা পড়ে। এখানে আয়রন বাতাসের অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে আর্দ্র ফেরিক অক্সাইড বা মরিচা তৈরি করে। এতে ধাতুর পৃষ্ঠতল ক্ষয় হয়। মরিচা ঝাঁঝরা জাতীয় …

লােহায় মরিচা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করো। মরিচা কীভাবে সৃষ্টি হয়? Read More »

মরিচা কি

মরিচা কী? মরিচা কাকে বলে? মরিচা বলতে কী বোঝ?

মরিচা: মরিচা হলো আর্দ্র ফেরিক অক্সাইড অর্থাৎ আর্দ্র ফেরিক অক্সাইডকে মরিচা বলে। মরিচায় পানির অণুর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সুতরাং মরিচার রাসায়নিক সংকেত Fe2O3. nH2O  এখানে n এর মান 1, 2, 3 ইত্যাদি যেকোনাে পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে। মরিচ কি তা আমরা অন্যভাবে বলতে পারি:  সাধারণত লোহা জাতীয় পর্দাথ বাহিরে মুক্ত বাতাসে অনেক দিন ফেলে রাখলে …

মরিচা কী? মরিচা কাকে বলে? মরিচা বলতে কী বোঝ? Read More »

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের উদাহরণ ।

সাংকেতিক চিহ্ন সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের উদাহরণ বিস্ফোরক পদার্থ (Explosive substance) টিএনটি(ট্রাই নাইট্রো টলুইন),জৈব পার-অক্সাইড, নাইট্রোগ্লিসারিন ইত্যাদি এ ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ। দাহ্য পদার্থ(Flammable substance) অ্যালকোহল, ইথার ইত্যাদি দাহ্য পদার্থ।  বিষাক্ত পদার্থ (Toxic substance) বেনজিন, ক্লোরােবেনজিন, মিথানল এ ধরনের পদার্থ।  উত্তেজক পদার্থ (Irritant substance) সিমেন্ট ডাস্ট, লঘু এসিড, ক্ষার, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি উত্তেজক পদার্থ  স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ …

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের উদাহরণ । Read More »

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের ঝুঁকি ও তার মাত্রা, সাবধানতা উদাহরণসহ সংক্রান্ত বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করো।

সাংকেতিক চিহ্ন পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা সাবধানতা  উদাহরণ   যে সকল পদার্থ অস্থিতিশীল এবং নিজে নিজেই বিক্রিয়া করতে পারে তাদেরকে বিস্ফোরক পদার্থ বলে। বিস্ফোরক পদার্থ চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থ থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। এসব পদার্থ ব্যবহারের সময় মনে রাখতে হবে এসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন লাগলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং …

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের ঝুঁকি ও তার মাত্রা, সাবধানতা উদাহরণসহ সংক্রান্ত বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করো। Read More »

পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বােঝনাের জন্য সর্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বােঝনাের জন্য সর্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন:  যেকোনাে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের সেই রাসায়নিক দ্রব্যটির প্রকৃতি অর্থাৎ সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয় তা জেনে নিতে হবে। সেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেবেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সর্বজনীন নিয়ম (Globally Harmonized …

পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বােঝনাের জন্য সর্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন কীভাবে নির্ধারণ করা হয়? Read More »

GLOBALLY HARMONIZED SYSTEM বা G.H.S কী?

GLOBALLY HARMONIZED SYSTEM বা G.H.S: যেকোনাে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের সেই রাসায়নিক দ্রব্যটির প্রকৃতি অর্থাৎ সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয় তা জেনে নিতে হবে। সেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেবেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সর্বজনীন নিয়ম (Globally Harmonized system) চালু আছে । এই …

GLOBALLY HARMONIZED SYSTEM বা G.H.S কী? Read More »

রসায়ন পরীক্ষাগারে আমরা কীভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারি?

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা: রসায়ন পরীক্ষাগারে ঢোকা থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অসতর্ক হলেই যেকোনাে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শরীরকে রক্ষা করতে আমাদের  পরতে হবে নিরাপদ পােশাক বা অ্যাপ্রােন (apron)। রসায়ন গবেষণাগারে ব্যবহৃত অ্যাপ্রােনের হাতা হবে হাতের কবজি পর্যন্ত আর লম্বায় হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। এটি হয় সাদা …

রসায়ন পরীক্ষাগারে আমরা কীভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারি? Read More »

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে কেন?

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা: রসায়নের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গবেষণা করা হয় তাকে রসায়ন পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার (Chemistry Laboratory) বলে। রসায়ন গবেষণাগারে থাকবে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। প্রায় প্রত্যেকটি রাসায়নিক দ্রব্যই আমাদের জন্য অথবা পরিবেশের জন্য কম-বেশি ক্ষতিকর। কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয়, কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য দাহ্য (সহজেই যাতে আগুন ধরে যায়), কোনােটি আমাদের শরীরের সরাসরি ক্ষতি …

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে কেন? Read More »

রসায়ন গবেষণাগার (CHEMISTRY LABORATORY)কাকে বলে? রসায়ন গবেষণাগার কী ?

রসায়ন গবেষণাগার(CHEMISTRY LABORATORY): যেখানে রসায়নের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গবেষণা করা হয় তাকে রসায়ন পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার (Chemistry Laboratory) বলে।

গবেষণাগার (LABORATORY)কাকে বলে? গবেষণাগার কী? গবেষণাগার বলতে কী বোঝ?

গবেষণাগার (LABORATORY): যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার  (Laboratory) বলে।

রসায়নে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো ব্যাখ্যা করো।

রসায়নে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ: বিজ্ঞানের লক্ষ্য হলাে মানবজাতির কল্যাণসাধন করা। এ উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পদ্ধতিগতভাবে যে সুসংবদ্ধ জ্ঞান অর্জন হয় সেই জ্ঞানই হলাে বিজ্ঞান। আর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে কিছু জানার চেষ্টাই হচ্ছে গবেষণা। যিনি এই গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে কিছু জানার …

রসায়নে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো ব্যাখ্যা করো। Read More »

বিজ্ঞানী কাকে বলে? বিজ্ঞানী কারা? কাদেরকে বিজ্ঞানী বলা হয়?

বিজ্ঞানী: যিনি এই গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। যেমন :আমরা অনেক মহান মনীষীর ও বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারি। আইনস্টাইন, নিউটন, আর্কিমিডিস, ল্যাভয়সিয়ে, গ্যালিলিও। 

রাসায়নিক বর্জ্য কীভাবে আমাদের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে?

শিল্পকারখানা, যানবাহন, মানুষের ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক বর্জ্য  আমাদের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে। এর মাঝে রয়েছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনােক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, বিভিন্ন এসিড, বিভিন্ন ভারী ধাতু (যেমন- পারদ, লেড, আর্সেনিক, কোবাল্ট ইত্যাদি) সহ আরও অনেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। এগুলাে বায়ুর সাথে মিশে বায়ুদূষণ, পানির সাথে মিশে পানিদূষণ এবং অন্যান্য উপায়ে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করেই …

রাসায়নিক বর্জ্য কীভাবে আমাদের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে? Read More »

প্রিজারভেটিভস কী? প্রিজারভেটিভস কাকে বলে? প্রিজারভেটিভস বলতে কী বোঝ?

প্রিজারভেটিভস: যেসব রাসায়নিক দ্রব্য খাদ্যসামগ্রীতে দিলে খাদ্যসামগ্রীতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না, দুর্গন্ধ হয়, পচন হয় না  অর্থাৎ খাদ্যসামগ্রীকে  অনেকদিন  সংরক্ষণ  করা যায় সেসব রাসায়নিক দ্রব্যকে ফুড প্রিজারভেটিভ বলে।

রসায়ন পাঠের গুরুত্ব । আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব: আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম । আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশে একটু পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজি। তারপর বই নিয়ে পড়তে বসে পড়ার সময় চা আর বিস্কুট খাই । বাথরুমটা একটু নােংরা হলে টয়লেট ক্লিনার দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করি। গােসল করার সময় আমরা ব্যবহার করি সুগন্ধি সাবান আর শ্যাম্পু। …

রসায়ন পাঠের গুরুত্ব । আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। Read More »

রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক: বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রয়েছে। যেমন- রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, পরিবেশবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব ইত্যাদি। বিজ্ঞানের একটি শাখার সাথে অন্য একটি শাখার গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা যেমন রসায়নের উপর নির্ভরশীল, রসায়নও তেমনি অন্যান্য শাখার উপর নির্ভরশীল। নিচে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সাথে রসায়নের সম্পর্ক কয়েকটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হলাে: জীববিজ্ঞানের …

রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো। Read More »

জীব যে খাবার গ্রহণ করে তা থেকে কীভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়?

জীব যে খাবার গ্রহণ করে তা থেকে বিপাকীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়। আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় যে বায়ু গ্রহণ করি সেই বায়ুর অক্সিজেন শরীরের ভেতরে খাদ্য উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে শক্তি উৎপন্ন করে।  C6H12O6    + 6O2  → 6CO2  + 6H2O + শক্তি এভাবে জীবদেহে খাবার থেকে  শক্তি উৎপন্ন হয় ।

সার কাকে বলে? সার কী? সার বলতে কী বোঝ? সার এর সংজ্ঞা দাও

সার: যে সকল রাসায়নিক পদার্থ কার্বন, ফসফরাস, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত এবং যা উদ্ভিদের প্রয়ােজনীয় পুষ্টি প্রদান করে তাদেরকে সার বলে।

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা কর।

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ক্ষতিকর প্রভাব: তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ আমাদের  অনেক উপকারে আসে সে কথা সত্যি কিন্তু এটি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থেকে সে আলফা, বেটা ও গামা রশ্মি নির্গত হয় তা কোষের জিনগত পরিবর্তন ঘটাতে পারে যার ফলাফল হিসেবে ক্যান্সারের মতাে রোগ হতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ …

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা কর। Read More »

তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ ও তাদের ব্যবহার।তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ব্যবহার।

তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ: কিছু কিছু আইসােটোপ রয়েছে যাদের নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে (নিজে নিজেই) ভেঙ্গে আলফা রশ্মি (𝞪), বিটা রশ্মি,(𝜷) গামা রশ্মি (ɣ) ইত্যাদি নির্গত করে তাদেরকে তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ বলে। তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ-এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার দিয়ে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে যেটি অন্যভাবে করা দুঃসাধ্য ছিল। বর্তমানে তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ চিকিৎসাক্ষেত্রে, কৃষিক্ষেত্রে, খাদ্য ও বীজ সংরক্ষণে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে, কোনাে কিছুর …

তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ ও তাদের ব্যবহার।তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ব্যবহার। Read More »

অ্যামােনিয়ার (NH3)আণবিক ভর নির্ণয় করাে। অ্যামােনিয়ার (NH3) আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয়

অ্যামােনিয়ার (NH3)আণবিক ভর নির্ণয়: কোনাে মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে যে পরমাণুগুলাে থাকে  তাদের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নিজ নিজ পরমাণু সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যােগ করলে প্রাপ্ত যােগফলই হলাে ঐ অণুর আপেক্ষিক আণবিক ভর। অ্যামােনিয়ার (NH3) এর একটি অণুতে রয়েছে একটি N পরমাণু ও তিনটি H পরমাণু। N এর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর= 14 H এর …

অ্যামােনিয়ার (NH3)আণবিক ভর নির্ণয় করাে। অ্যামােনিয়ার (NH3) আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয় Read More »

সালফিউরিক এসিডের(H2SO4) আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয় কর।

সালফিউরিক এসিডের(H2SO4) আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয়: কোনাে মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে যে পরমাণুগুলাে থাকে  তাদের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নিজ নিজ পরমাণু সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যােগ করলে প্রাপ্ত যােগফলই হলাে ঐ অণুর আপেক্ষিক আণবিক ভর। H2SO4 এর একটি অণুতে রয়েছে দুইটি H পরমাণু , একটি S পরমাণু  এবং 4টি S পরমাণু। আমরা জানি,  H …

সালফিউরিক এসিডের(H2SO4) আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয় কর। Read More »

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয়

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয়: কোনাে মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে যে পরমাণুগুলাে থাকে  তাদের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নিজ নিজ পরমাণু সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যােগ করলে প্রাপ্ত যােগফলই হলাে ঐ অণুর আপেক্ষিক আণবিক ভর। আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরকে পারমাণবিক ভর এবং আপেক্ষিক আণবিক ভরকে সাধারণভাবে আণবিক ভর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন- …

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয় Read More »

A নামক একটি মৌলের দুটি আইসােটোপ xAএবং yA এবং এদের প্রকৃতিতে পর্যাপ্ততার শতকরা পরিমাণ যথাক্রমে c% এবং d% ।মৌলটির আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত?

আমরা জানি, কোনাে মৌলের প্রত্যেকটি আইসােটোপের ভর সংখ্যা এবং প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ঐ আইসােটোপের শতকরা পরিমাণ গুণ দিয়ে প্রাপ্ত গুণফলগুলােকে যােগ করে  100 দ্বারা ভাগ করলেই ঐ মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর পাওয়া যাবে।  গড় আপেক্ষিক পরমাণবিক ভর  = = অর্থাৎ গড় আপেক্ষিক পরমাণবিক ভর =

গড় আপেক্ষিক পরমাণবিক ভর ও শতকরা পরিমাণ নির্ণয় সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান।

গড় আপেক্ষিক পরমাণবিক ভর নির্ণয় কর।  প্রকৃতিতে প্রাপ্ত আইসোটোপের শতকরা পরিমাণ নির্ণয় । 1)  10  পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট মৌলের তিনটি আইসোটোপের ভরসংখ্যা যথাক্রমে 20, 21 ও 22। এদের প্রকৃতিতে প্রাচুর্যতার শতকরা পরিমাণ যথাক্রমে 90.92%, 0.25% ও 8.82%। মৌলটির গড় পারমাণবিক ভর কত? উঃ 20.18 2) হাইড্রোজেনের দুটি আইসোটোপ 11H ও  12H এর প্রকৃতিতে প্রাচুর্যতার শতকরা …

গড় আপেক্ষিক পরমাণবিক ভর ও শতকরা পরিমাণ নির্ণয় সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান। Read More »

গড় আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে কীভাবে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত আইসোটোপের শতকরা পরিমাণ বের করা যায়?

প্রকৃতিতে প্রাপ্ত আইসোটোপের শতকরা পরিমাণ: প্রকৃতিতে যদি কোনাে মৌলের দুটি আইসােটোপ থাকে তাহলে সেই মৌলের গড় আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে ঐ মৌলের বিভিন্ন আইসোটোপের প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা পরিমাণ বের করা যায়।যেমন: প্রকৃতিতে কপারের দুটি আইসােটোপ আছে 63Cu এবং 65Cu । কপারের গড় পারমাণবিক আপেক্ষিক ভর 63.5। ধরা যাক, প্রকৃতিতে প্রাপ্ত 63Cu এর শতকরা পরিমাণ x% …

গড় আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে কীভাবে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত আইসোটোপের শতকরা পরিমাণ বের করা যায়? Read More »

আইসােটোপের শতকরা হার থেকে কীভাবে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর নির্ণয়?

আইসােটোপের শতকরা হার থেকে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর নির্ণয়ঃ প্রকৃতিতে বেশির ভাগ মৌলেরই একাধিক আইসােটোপ রয়েছে। তাই যে মৌলের একাধিক আইসােটোপ আছে সেই মৌলের সকল আইসােটোপের প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা হার থেকে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর এর মান নিচের ধাপগুলাে অনুসরণ করে হিসাব করা হয়। ধাপ 1: প্রথমে কোনাে মৌলের প্রত্যেকটি আইসােটোপের ভর সংখ্যা এবং প্রকৃতিতে …

আইসােটোপের শতকরা হার থেকে কীভাবে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর নির্ণয়? Read More »

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর সংক্রান্ত গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান

গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান(আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর): 1) 17 পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট মৌলের একটি পরমাণুর ভর 5.8863×10-23g হলে এর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত? উঃ 35.4595(প্রায় ) 2) Cl এর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 35.4595 হলে একটি পরমাণুর ভর কত? উঃ 5.8863×10-23 g  3) Na এর একটি পরমাণুর ভর 3.82×10-23 g হলে এর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত? উঃ …

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর সংক্রান্ত গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান Read More »

পরমাণুর ভর ও পারমাণবিক ভর ভিন্ন -ব্যাখ্যা করে।

পরমাণুর ভর ও পারমাণবিক ভর ভিন্ন: কোনো পরমাণুর ভর বলতে 1 টি পরমাণুর প্রকৃত ভরকে বুঝায়। যেমন: 1 টি হাইড্রোজেন পরমাণুর ভর 1.673×10-24g। কিন্তু কোনো পরমাণুর পারমাণবিক ভর বলতে ঐ মৌলের একটি পরমাণুর ভর, একটি কার্বন 12 আইসােটোপের পারমাণবিক ভরেরঅংশের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাকে বুঝায়। যেমন:হাইড্রোজেনের পারমাণবিক ভর বা আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর===1008 পরমাণুর ভরের …

পরমাণুর ভর ও পারমাণবিক ভর ভিন্ন -ব্যাখ্যা করে। Read More »

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ব্যাখ্যা করাে।

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের ব্যাখ্যা: কোনাে মৌলের একটি পরমাণুর ভর, একটি কার্বন 12 আইসােটোপের পারমাণবিক ভরেরঅংশের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাকে সংশ্লিষ্ট মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে। অথবা কোনাে মৌলের একটি পরমাণুর ভর ও একটি কার্বন 12 আইসােটোপের পারমাণবিক ভরেরঅংশের অনুপাতকে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে।                মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর= …

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ব্যাখ্যা করাে। Read More »

S (সালফার) এর পারমাণবিক ভর 32 এর অর্থ কী? ব্যাখ্যা করো।

S (সালফার) এর পারমাণবিক ভর 32: কোনাে মৌলের একটি পরমাণু, কার্বন 12 পরমাণুর ভরের অংশের তুলনায় যতগুণ ভারী তাকে ঐ মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে। সালফারের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 32 বলতে বােঝায় যে, সালফারের একটি পরমাণু কার্বন 12 আইসােটপের ভরের 12অংশের তুলনায় 32 গুণ ভারী।

পরমাণুর ভর ও পারমাণবিক ভরের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

পরমাণুর ভর ও পারমাণবিক ভরের মধ্যে পার্থক্য: পরমাণুর ভর পারমাণবিক ভর পরমাণুর ভর বলতে কোনাে মৌলের একটি পরমাণুর ভরকে বােঝায়। পারমাণবিক ভর বলতে যেকোনাে মৌলের একটি পরমাণুর ভর এবং 1 টি কার্বন-12 আইসােটোপের ভরের অংশের অনুপাতকে বােঝায়। একটি  পরমাণুর ভর = পারমাণবিক ভর = পরমাণুর  ভরের  একক g । পারমাণবিক  ভরের  কোনাে একক নেই। অ্যাভােগেড্রো …

পরমাণুর ভর ও পারমাণবিক ভরের মধ্যে পার্থক্য লেখ। Read More »

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের একক থাকে না কেন? পারমাণবিক ভরের একক নেই কেন?

দুটি একই রকম রাশি অনুপাত আকারে থাকলে তার কোনাে একক থাকে না। আমরা জানি,  কোনাে মৌলের একটি পরমাণু , কার্বন-12 আইসােটোপের ভরেরঅংশের তুলনায় যতগুণ ভারি তাকে ঐ মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে।                মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর = যেহেতু কোনাে মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর হলাে দুটি ভরের অনুপাত, সেজন্য …

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের একক থাকে না কেন? পারমাণবিক ভরের একক নেই কেন? Read More »

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বের করা বা নির্ণয় করার নিয়ম কী?

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বের করা বা নির্ণয় করার নিয়ম: কোনাে মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ভর জানা থাকলে আমরা নিম্নলিখিতভাবে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বের করতে পারি। এক্ষেত্রে ঐ মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ভরকে একটি কার্বন 12 আইসােটোপের ভরের অংশ  অথবা 1.66 x 10-24 গ্রাম দ্বারা ভাগ করে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বের করা যায়  যেমন: Al এর …

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বের করা বা নির্ণয় করার নিয়ম কী? Read More »

কীসের সাপেক্ষে পরমাণুর ভর মাপা হয়? 1 a.m.u

একটি কার্বন 12 আইসােটোপের ভরের  অংশকে একক হিসেবে ধরে তার সাপেক্ষে পরমাণুর ভর মাপা হয়। একটি কার্বন 12 আইসােটোপের ভরের  অংশকে 1 a.m.u বলে। 1 a.m.u=1.66Χ1024g বা 1.66Χ1027kg  a.m.u এর পূর্ণরূপ হলো Atomic Mass Unit 

খর পানিতে সাবান ঘষলে সহজে ফেনা উৎপাদন করে না কেন? খর পানিতে সাবান ফেনা তৈরি করে না কেন?

সাবান হলাে উচ্চতর জৈব এসিডের সােডিয়াম বা পটাসিয়াম লবণ ।যেমন: সােডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COOa)। খর পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি লবণ দ্রবীভূত থাকার কারণে সাবান খর পানিতে ফেনা তৈরি করতে পারে না। খর পানিতে সাবান যােগ করলে তা পানিতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম আয়ন ও ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি আয়নের সাথে বিক্রিয়ায় অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম স্টিয়ারেট ও ম্যাগনেসিয়াম  স্টিয়ারেট ইত্যাদি উৎপন্ন …

খর পানিতে সাবান ঘষলে সহজে ফেনা উৎপাদন করে না কেন? খর পানিতে সাবান ফেনা তৈরি করে না কেন? Read More »

পানির পাইপ বা কলকারখানাতে বয়লারের ভিতরে খর পানি ব্যবহার করলে কী ঘটে ?

পানির পাইপ বা কলকারখানাতে বয়লারের ভিতরে খর পানি ব্যবহার করলে খর পানিতে বিদ্যমান বিভিন্ন খনিজ লবণ পাইপের গায়ে জমা হয়। ফলে পাইপের গায়ে মােটা আস্তরণ পড়ে। এতে পানির পাইপে পানি প্রবাহে বাধা পায়। বয়লারে তাপের অপচয় ঘটে এমনকি বয়লার ফেটে বিস্ফোরণ পর্যন্ত ঘটতে পারে।

কোন ধরনের পানিতে সাবান অপচয় হয় এবং কেন?

খর পানিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের লবণ দ্রবীভূত থাকে। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আয়ন সাবানের সাথে বিক্রিয়ায় অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সাবান উৎপন্ন করে যা পানির উপর পাতলা সরের মত ভাসতে থাকে । ফলে ময়লা কাপড় পরিষ্কার হয়না। তাই খর পানিতে সাবানের অপচয় হয়।

খর পানি কাকে বলে? খর পানি কী? খর পানি কাকে বলে? খর পানির সংজ্ঞা দাও

পানিতে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের ক্লোরাইড, সালফেট, কার্বনেট , বাইকার্বনেট ইত্যাদি লবণ দ্রবীভূত থাকলে উক্ত পানি সাবানের সাথে সহজে ফেনা উৎপন্ন করে না। এ ধরনের পানিকে খর পানি বলে। যেমন : সমুদ্রের পানি, গভীর নলকূপের পানি, ঝরনার পানি ইত্যাদি।

মৃদু পানি কাকে বলে? মৃদু পানি কী? মৃদু পানি বলতে কী বোঝ? সংজ্ঞা: মৃদু পানি

যে পানি সহজে সাবানের সাথে ফেনা উৎপন্ন করে তাকে মৃদু পানি বলে। যেমন : রাসায়নিকভাবে বিশুদ্ধ পানি, বৃষ্টির পানি ইত্যাদি।

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাসগুলাে কী কী? এদের মধ্যে কোন কোন বিক্রিয়া ঘটে?

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাসগুলাে হলাে SO2 , SO3 ,  CO2 ,  NO2।  কারণ এসব গ্যাস রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে সব এসিড তৈরি করে সে গুলাে বৃষ্টির সাথে মিশে এসিড বৃষ্টিরূপে পতিত হয়। সংঘটিত বিক্রিয়া সমূহ: SO2 + H2O → H2SO3 SO3 + H2O →  H2SO4 2NO2 + H2O → HNO3 + HNO2 CO2 …

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাসগুলাে কী কী? এদের মধ্যে কোন কোন বিক্রিয়া ঘটে? Read More »

কীভাবে এসিড বৃষ্টির উদ্ভব হয়?

বায়ুর CO2, NO2 এবং SO2 জলীয়বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে যথাক্রমে H2CO3, HNO3, ও H2SO4 গঠন করে। SO2+ H2O → H2SO3 SO3 + H2O → H2SO4 2NO2 + H2O → HNO3 + HNO2 CO2 + H2O → H2CO3 গঠিত এসিডগুলাে বৃষ্টিপাতের সময় বৃষ্টির সাথে মিশে এসিড বৃষ্টি রূপে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়।

SO2 গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ-ব্যাখ্যা কর।

SO2 বায়ুর সাথে বিক্রিয়ার মাধ্যমে SO3 (সালফার ট্রাইঅক্সাইড) গ্যাস উৎপন্ন করে। SO2 ও SO3 গ্যাস বায়ুমন্ডলের পানির সাথে বিক্রিয়ায় যথাক্রমে H2SO3 (সালফিউরাস এসিড) ও H2SO4 (সালফিউরিক এসিড) উৎপন্ন করে যা বৃষ্টির সাথে ভূ-পৃষ্ঠে এসিড বৃষ্টিরূপে পতিত হয়। SO2 + H2O → H2SO3 SO3 + H2O → H2SO4 তাই বলা যায় SO2 গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম …

SO2 গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ-ব্যাখ্যা কর। Read More »

এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধের উপায় বর্ণনা করো। কীভাবে এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধ করা হয়?

এসিড বৃষ্টি পরিবেশের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে এসিড বৃষ্টি প্রতিরােধ করা সম্ভব বলে মনে হয় । -যে সকল গ্যাস এসিড বৃষ্টির জন্য দ্বায়ী তাদের  নিঃসরণ সহনীয় পর্যায়ে আনা ।  – নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফুয়েল সেল ব্যবহার করতে হবে । -নবায়নযােগ্য জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি করা । -সালফার মুক্ত …

এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধের উপায় বর্ণনা করো। কীভাবে এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধ করা হয়? Read More »

.পরিবেশের উপর এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা করো । এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

এসিড বৃষ্টির ফলে মাটির pH এর মান কমে যায়। ফলে ফসল বা গাছপালার বিরাট ক্ষতি হয়। জলাশয়ের পানির pH এর মান কমে যায় অর্থাৎ মাটি ও পানি এসিডিক হয়ে যায়। এতে জীববৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বনভূমি ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যায়। মৎস্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। এমনকি বহু জীব …

.পরিবেশের উপর এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা করো । এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা কর। Read More »

পানির খরতার কারণ ব্যাখ্যা করাে। কীভাবে পানির খরতার সৃষ্টি হয়?

পানিতে বিভিন্ন ধাতু যেমন ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন ধাতুর কার্বনেট, সালফেট ও ক্লোরাইড লবণ দ্রবীভূত থাকলে তাকেই পানির খরতা বলে। পানির খরতার কারণ হলাে পানি চক্রের একটি উল্লেখযােগ্য অংশে পানি পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহ চলাকালে পানি মাটিতে উপস্থিত বিভিন্ন খনিজ লবণের সংস্পর্শে আসে এবং পানিতে লবণ দ্রবীভূত হয়। এ ছাড়া বৃষ্টির …

পানির খরতার কারণ ব্যাখ্যা করাে। কীভাবে পানির খরতার সৃষ্টি হয়? Read More »

শিল্প এলাকায় বৃষ্টির শুরুতে বৃষ্টির পানি পানের উপযােগী নয় কেন?

শিল্প এলাকায় বৃষ্টির শুরুতে বৃষ্টির পানি পানে উপযােগী নয়। কারণ শিল্প কারখানা হতে বায়ুমণ্ডলে SO2 , NO2 ,  CO2 ও ধূলাবালি ইত্যাদি নির্গত হয়। ফলে বৃষ্টির পানির সাথে এ সকল গ্যাসের বিক্রিয়ায় এসিড উৎপন্ন করে। তাই বৃষ্টির পানি এসিডিক হয়ে যায় । কিন্তু শিল্প কারখানা হতে নির্গত সমস্ত দূষণ বৃষ্টির পানির সাথে সম্পূর্ণরূপে বিক্রিয়া করার …

শিল্প এলাকায় বৃষ্টির শুরুতে বৃষ্টির পানি পানের উপযােগী নয় কেন? Read More »

অণু ও পরমাণুর আপেক্ষিক ভর বা তুলনামূলক ভর ব্যবহার করা হয় কেন?

সবচেয়ে হালকা মৌল হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভর 1.67 x 10-24g । প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে ভারী মৌল ইউরেনিয়ামের একটি পরমাণুর ভর 3.95 x 10-22g । পানির একটি অণুর ভর হচ্ছে 2.99 x 10-23g । অণু বা পরমাণুসমূহের এত ক্ষুদ্র ভর মনে রাখা এবং কার্যক্ষেত্র বিভিন্ন হিসাবে ব্যবহার করা অসুবিধাজনক। তাই বিজ্ঞানীরা অণু ও পরমাণুর আপেক্ষিক বা …

অণু ও পরমাণুর আপেক্ষিক ভর বা তুলনামূলক ভর ব্যবহার করা হয় কেন? Read More »

অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 বলতে কী বুঝায়?

কোনাে মৌলের একটি পরমাণু, কার্বন-12 পরমাণুর ভরের 1/12অংশের তুলনায় যতগুণ ভারী তাকে ঐ মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে। অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 বলতে বােঝায় যে,  অক্সিজেনের একটি পরমাণু কার্বন-12 আইসােটপের ভরের 1/12অংশের তুলনায় 16 গুণ ভারী।

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কাকে বলে? আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলতে কী বোঝ?

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর: কোনাে মৌলের একটি পরমাণু, কার্বন-12 পরমাণুর ভরের অংশের তুলনায় যতগুণ ভারী তাকে ঐ মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে। মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর =

ইলেকট্রন বিন্যাস (১থেকে ১১৮ টি মৌলের)।ব্যতিক্রম ইলেকট্রন বিন্যাসসহ সকল মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস

ইলেকট্রন বিন্যাস (১থেকে ১১৮ টি মৌলের): ELECTRON CONFIGURATION OF ELEMENTS  যে সকল মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাসে সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে, তাদের হলুদ রং দিয়ে চিহ্নিত করা আছে । যেমন: ক্রোমিয়াম, কপার ইত্যাদি । বোর মডেল অনুসারে পরমাণুর গঠন  চিত্র বা ডায়াগ্রামের সাহায্যে পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস   মৌলের নাম  মৌলের প্রতীক ও পারমাণবিক সংখ্যা ইলেক্ট্রন বিন্যাস হাইড্রোজেন  …

ইলেকট্রন বিন্যাস (১থেকে ১১৮ টি মৌলের)।ব্যতিক্রম ইলেকট্রন বিন্যাসসহ সকল মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস Read More »

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো। এসিড বৃষ্টি কিভাবে সৃষ্টি হয়? অম্ল বৃষ্টির কারণ গুলি কি কি?

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ: অধাতুর অক্সাইডগুলাে পানির সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন এসিড উৎপন্ন করে। বিশুদ্ধ বায়ুতে কিছু পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইড থাকে। প্রাণী শ্বাস ক্রিয়ার সময় বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। আবার, যে স্থানে বজ্রপাত হয় সেই স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা 3000°C সৃষ্টি হয়। এ তাপমাত্রায় বায়ুতে উপস্থিত N2 ও O2 বিক্রিয়া করে …

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো। এসিড বৃষ্টি কিভাবে সৃষ্টি হয়? অম্ল বৃষ্টির কারণ গুলি কি কি? Read More »

এসিড বৃষ্টি কী? এসিড বৃষ্টি কাকে বলে? এসিড বৃষ্টি বলতে কী বোঝ? এসিড বৃষ্টির সংজ্ঞা দাও।

এসিড বৃষ্টি: বৃষ্টির পানির সাথে বিভিন্ন এসিড (যেমনঃ H2SO4, HNO3, H2CO3 ইত্যাদি) মিশ্রিত থাকলে বষ্টির পানি অম্লীয় হয়ে পড়ে। এই এসিড মিশ্রিত বৃষ্টিকে এসিড বৃষ্টি বলে।

K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। K2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয়: সবল বা শক্তিশালী ক্ষারক বা ক্ষার এবং দূর্বল এসিডের বিক্রিয়ার ফলে যে সকল লবণ উৎপন্ন হয়, তারা জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরী করে। K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির। কারণ এটি দূর্বল এসিড  H2CO3 এবং সবল বা বা শক্তিশালী ক্ষারক KOH এর বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন লবণ। আয়নিক …

K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। K2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। Read More »

CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। CuSO4 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়: যে সকল লবণ দূর্বল / মৃদু ক্ষারক বা ক্ষার ও সবল/ তীব্র/ শক্তিশালী এসিড বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হয়, তারা জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে অম্লীয় দ্রবণ তৈরী করে। CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয় । কারণ এটি দুর্বল ক্ষারক Cu(OH)2 এবং সবল এসিড H2SO4 এর লবণ । আয়নিক যৌগ CuSO4 জলীয় …

CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। CuSO4 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। Read More »

FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়।ব্যাখ্যা কর। FeCl3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়: সবল বা তীব্র বা শক্তিশালী এসিড ও মৃদু বা দুর্বল ক্ষার বা ক্ষারকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ অম্লীয় প্রকৃতির হয়।প্রদত্ত লবণটি  মৃদু  ক্ষারক Fe(OH)3 এবং তীব্র এসিড  HCl এর  প্রশমন বিক্রিয়ার ফলে FeCl3 লবণ উৎপন্ন হয়। Fe(OH)3 + 3HCl → FeCl3 + 3H2O আয়নিক যৌগ  FeCl3  জলীয় দ্রবণে আর্দ্র …

FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়।ব্যাখ্যা কর। FeCl3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। Read More »

বন্ধন শক্তি কাকে বলে? বন্ধন শক্তি কী? বন্ধন শক্তি কাকে বলে? বন্ধন শক্তি বলতে কী বোঝ?

বন্ধন শক্তি: কোনাে যৌগের যেকোনাে দুইটি পরমাণুর মধ্যকার বন্ধন ভেঙে পরমাণু দুটিকে আলাদা করতে যে শক্তি দিতে হয় অথবা কোনাে যৌগের যেকোনো দুইটি পরমাণুর মধ্যে বন্ধন তৈরি হতে যে শক্তি নির্গত হয় তাকে বন্ধন শক্তি বলে।

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন ΔH এর মান কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন ΔH এর মান দুইভাবে হিসাব করা হয়। যদি অভ্যন্তরীণ শক্তি ব্যবহার করি তবে উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি থেকে বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি বাদ দিয়ে ΔH এর মান হিসাব করা হয়। যেমন-যেকোনাে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তিকে E1 দ্বারা এবং উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তিকে E2 দ্বারা চিহ্নিত করা হলে ঐ বিক্রিয়ার তাপ …

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন ΔH এর মান কীভাবে নির্ণয় করা হয়? Read More »

তাপহারী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী?

তাপহারী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম: তাপহারী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার সময় বিক্রিয়কের  সাথে যোগ চিহ্ন দ্বারা তাপ লেখা যেতে পারে কিংবা তাপকে ΔH দিয়ে প্রকাশ করা হলে ΔH এর মান ধনাত্মক লেখতে হবে। যেমন-গ্রামে শামুক বা  ঝিনুকের খােলস থেকে চুন তৈরি করা হয়। অনেকগুলাে শামুক ঝিনুকের খােলস একসাথে জড়াে করে জ্বালানি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সেগুলােকে উত্তপ্ত …

তাপহারী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী? Read More »

তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে? তাপহারী বিক্রিয়া কী? তাপহারী বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

তাপহারী বিক্রিয়া: তাপ প্রদান করে যে বিক্রিয়া ঘটানাে হয় সেই বিক্রিয়াকে তাপহারী বিক্রিয়া বলা হয়। অথবা যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।

তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী?

তাপোৎপাদী  বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার সময় বিক্রিয়ার ডান পাশে উৎপাদের সাথে যোগ চিহ্ন দ্বারা তাপ লেখা যেতে পারে কিংবা তাপকে ΔH দিয়ে প্রকাশ করা হলে ΔH এর মান ঋণাত্মক লেখতে হবে। যেমন-রান্নার গ্যাসের প্রধান উপাদান হলাে মিথেন (CH4)। এ গ্যাস পােড়ালে প্রতি 1 মােল মিথেন গ্যাস বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড আর পানি উৎপন্ন …

তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখার নিয়ম কী? Read More »

তাপোৎপাদী বিক্রিয়া কাকে বলে? তাপোৎপাদী বিক্রিয়া কী? তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

তাপোৎপাদী বিক্রিয়া: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলা হয়। অর্থাৎ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহ বিক্রিয়া করে উৎপাদ গঠন করে এবং সাথে তাপও উৎপন্ন করে তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে।

তাপহারী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH এর মান ধণাত্মক হয় কেন?

তাপহারী  বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH এর মান ধণাত্মক হয়: তাপহারী বিক্রিয়ায় ক্ষেত্রে বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি E1 , উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি E2 থেকে কম। কাজেই এ বিক্রিয়াতে বিক্রিয়ায় তাপ শক্তির পরিবর্তন ΔH = E2– E1 এর মান ধণাত্মক। যেমন: কোনাে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি 70 kJ/mol এবং উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি ৪0 kJ/mo1 হলে …

তাপহারী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH এর মান ধণাত্মক হয় কেন? Read More »

তাপােৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH এর মান ঋণাত্মক হয় কেন ?

তাপােৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে H এর মান ঋণাত্মক হয় : তাপােৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি E1 উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি E2 থেকে বেশি। কাজেই এ বিক্রিয়াতে বিক্রিয়ায় তাপ শক্তির পরিবর্তন ΔH = E2 -E1 এর মান ঋণাত্মক। যেমন: কোনাে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি 50 kJ/mol এবং উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি 20 kJ/mol হলে …

তাপােৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH এর মান ঋণাত্মক হয় কেন ? Read More »

অভ্যন্তরীণ শক্তির ক্ষেত্রে কীভাবে ΔH এর মান বের করা হয়? ΔH এর মান নির্ণয়।

অভ্যন্তরীণ শক্তির ক্ষেত্রে কীভাবে H এর মান: যেকোনাে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তিকে E1 দ্বারা এবং উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তিকে E2 দ্বারা চিহ্নিত করা হলে ঐ বিক্রিয়ার তাপ শক্তির পরিবর্তন। ΔH = উৎপাদসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি (E2) – বিক্রিয়কসমূহের মােট অভ্যন্তরীণ শক্তি (E1) 

অভ্যন্তরীণ শক্তি কাকে বলে? অভ্যন্তরীণ শক্তি কী? অভ্যন্তরীণ শক্তি বলতে কী বোঝ?

অভ্যন্তরীণ শক্তি: কোনাে একটি পদার্থ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি ধারণ করে। এই শক্তিকে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে।

তাপােৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে H এর মান এর চিহ্ন কীরূপ হয়?

তাপােৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে H এর মান ঋণাত্মক (negative) এবং তাপহারী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে H এর মান ধনাত্মক (positive)।

তাপের পরিবর্তনের ভিত্তিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া কত ধরনের/ প্রকার ও কী কী ?

তাপের পরিবর্তনের ভিত্তিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া দুই ধরনের। যথা- (i) তাপােৎপাদী বিক্রিয়া (ii) তাপহারী বিক্রিয়া।

1 জুল বলতে কী বোঝ? 1 জুল কী? 1 জুল কাকে বলে? জুল কী?

1 জুল: কোনাে বস্তুর উপর 1 নিউটন বল প্রয়ােগ করলে যদি বলের দিকে 1 মিটার সরণ ঘটে তবে তার জন্য প্রয়ােজনীয় কাজকে 1 জুল বলে। একে সংক্ষেপে J দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

1 কিলােক্যালরি বলতে কী বোঝ? 1 কিলােক্যালরি কী? কিলােক্যালরি কাকে বলে?

1 কিলােগ্রাম পানির তাপমাত্রা 1°C বাড়াতে যে পরিমাণ তাপশক্তি প্রদান করতে হয় তাকে এক কিলোক্যালরি (সংক্ষেপে KCal) বলে।

কত ক্যালরিকে 1 কিলােক্যালরি বলে ? 1 কিলােক্যালরি বলতে কী বোঝ? 1 কিলােক্যালরি কী

1 কিলাে ক্যালরি: 1 হাজার ক্যালরিকে 1 কিলাে ক্যালরি বলে। কিলাে ক্যালরিকে সংক্ষেপে kCal দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

এক ক্যালরি (সংক্ষেপে Cal) বলতে কী বোঝ? এক ক্যালরি কী? এক ক্যালরি বলতে কী বোঝ?

এক ক্যালরি (সংক্ষেপে Cal): 1 গ্রাম পানির তাপমাত্রা 1°C বাড়াতে যে পরিমাণ তাপশক্তি প্রদান করতে হয় তাকে এক ক্যালরি (সংক্ষেপে Cal) বলে।  

শক্তি পরিমাপের একক কী? শক্তির একক কী? শক্তি পরিমাপের একক কাকে বলে?

শক্তি পরিমাপের একক: পূর্বে শক্তি মাপার জন্য ক্যালরি (Calorie) বা কিলাে ক্যালরি (kilo calorie) একক ব্যবহার করা হতাে। বর্তমানে সকল ধরনের শক্তির একক হিসেবে জুল (Joule) কে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর ব্যাখ্যা করো। শক্তির রূপান্তর

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর: প্রত্যেক পদার্থের মধ্যে কিছু শক্তি বিদ্যমান থাকে। সাধারণত কোনাে কোনাে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের শক্তি দিয়ে বিক্রিয়া ঘটাতে হয় অথবা কোনাে কোনাে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার ফলে শক্তি উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর ঘটে। বিক্রিয়া ঘটাতে যে শক্তি দিতে হয় বা বিক্রিয়া ঘটার ফলে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তার বিভিন্ন রূপ …

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর ব্যাখ্যা করো। শক্তির রূপান্তর Read More »

এসিড ক্ষার নির্ধারণের pH মানের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে।

এসিড ক্ষার নির্ধারণের pH মানের ভূমিকা: কোনো যৌগ এসিড না ক্ষার তা নির্ধারণের pH  এর মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দ্রবণে pH মানের সীমা হচ্ছে ( 0-14) এর মধ্যে। দ্রবণে pH মান 7 এর কম হলে দ্রবণটি অম্লীয় অর্থাৎ এসিড হবে । আর pH মান 7 এর বেশি হলে তা ক্ষারীয় অর্থাৎ ক্ষার হবে। তবে pH …

এসিড ক্ষার নির্ধারণের pH মানের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে। Read More »

কোন ধরণের সমযোজী অণুসমূহের আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি?

একই পরমাণু দিয়ে উৎপন্ন সমযােজী অণুসমূহের (যেমন- H2) আন্তঃআণবিক শক্তির চেয়ে দুইটি ভিন্ন পরমাণু দিয়ে গঠিত অণুর (যেমন HCl) আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি হয়।

আয়নিক যৌগসমূহ সাধারণত কক্ষ তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে আর সমযােজী যৌগসমূহ সাধারণত কক্ষ তাপমাত্রায় তরল বা বায়বীয় অবস্থায় থাকে কেন ?

আয়নিক যৌগে আয়নসমূহের মধ্যে যে আকর্ষণ শক্তি থাকে ঐ আকর্ষণ শক্তি সমযােজী অণুর আন্তঃআণবিক শক্তির চেয়ে বেশি। এজন্য আয়নিক যৌগসমূহ সাধারণত কক্ষ তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে আর সমযােজী যৌগসমূহ সাধারণত কক্ষ তাপমাত্রায় তরল বা বায়বীয় অবস্থায় থাকে। তবে অনেক সমযােজী যৌগ আছে। যেগুলাে কক্ষ তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে। যেমন: ন্যাপথলিন (C10H8)।

আয়নিক পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক সমযােজী পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি কেন ?

আয়নিক পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: সমযােজী পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: আয়নিক যৌগে আয়নসমূহের মধ্যে যে আকর্ষণ শক্তি থাকে ঐ আকর্ষণ শক্তি সমযােজী অণুর আন্তঃআণবিক শক্তির চেয়ে বেশি। এজন্য আয়নিক পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক সমযােজী পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি।

আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে? আন্তঃআণবিক শক্তি কী? আন্তঃআণবিক শক্তি বলতে কী বোঝ?

আন্তঃআণবিক শক্তি: সমযােজী যৌগের অণুসমূহ একে অপরের সাথে যে আকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাকে আন্তঃআণবিক শক্তি (Intermolecular Energy) বলা হয়। যেমন; পানি একটি সমযােজী যৌগ। একটি পানির অণুর সাথে আশপাশের অন্যান্য পানির অণুসমূহ আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে যুক্ত থাকে।

বন্ধন শক্তি কাকে বলে? ব্যাখ্যা করো। বন্ধন শক্তি কী? বন্ধন শক্তি বলতে কী বোঝ?

বন্ধন শক্তি: বন্ধনে আবদ্ধ একটি পরমাণুর সাথে আরেকটি পরমাণু যে আকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাকে বন্ধন শক্তি বলে।  যেমন-সােডিয়াম ক্লোরাইডে সােডিয়াম আয়ন ও ক্লোরাইড আয়নের মধ্যে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান। কার্বন ডাই-অক্সাইড অণুতে কার্বন ও অক্সিজেনের মধ্যে সমযােজী বন্ধন বিদ্যমান। আবার, লােহার মধ্যে একটি আয়রন পরমাণুর সাথে অন্য আয়রন পরমাণুসমূহের মধ্যে ধাতব বন্ধন বিদ্যমান। এ …

বন্ধন শক্তি কাকে বলে? ব্যাখ্যা করো। বন্ধন শক্তি কী? বন্ধন শক্তি বলতে কী বোঝ? Read More »

রাসায়নিক শক্তির কাকে বলে? রাসায়নিক শক্তি? রাসায়নিক শক্তি বলতে কী বোঝ?

রাসায়নিক শক্তি: কোনো পদার্থের মধ্যে একটি পরমাণু আরেকটি পরমাণুর সাথে যে আকর্ষণ শক্তির (বন্ধন শক্তি) মাধ্যমে যুক্ত থাকে অথবা একটি অণু অন্য অণুর সাথে যে আকর্ষণ শক্তির (আন্তঃআণবিক শক্তি) সাহায্যে যুক্ত থাকে তাকে রাসায়নিক শক্তি বলে।

Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো।

Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয়: সবল বা শক্তিশালী ক্ষারক বা ক্ষার এবং দূর্বল এসিডের বিক্রিয়ার ফলে যে সকল লবণ উৎপন্ন হয়, তারা জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরী করে। Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির। কারণ এটি দূর্বল এসিড  H2CO3 এবং সবল বা  শক্তিশালী ক্ষারক NaOH এর বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন লবণ । আয়নিক …

Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো। Read More »

লবণের জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো।

তীব্র এসিড ও তীব্র ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ নিরপেক্ষ প্রকৃতির। যেমন- NaCl, Na2SO4 ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ নিরপেক্ষ। তীব্র এসিড ও মৃদু ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ অম্লীয় প্রকৃতির। যেমন- FeCl3, Zn(NO3)2 ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ অম্লীয়। তীব্র ক্ষার ও মৃদু এসিডের জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির, যেমন– Na2CO3 , CH3COONa (সােডিয়াম ইথানয়েট) ইত্যাদির জলীয় …

লবণের জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো। Read More »

ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণ কাকে বলে? ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ কাকে বলে?

তীব্র ক্ষার ও মৃদু এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণকে ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণ বলে। তীব্র ক্ষার ও মৃদু এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণকে ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ বলে। যেমন– Na2CO3 , CH3COONa (সােডিয়াম ইথানয়েট) ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির।

অম্লীয় প্রকৃতির লবণ কাকে বলে? অম্লীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ কাকে বলে?

তীব্র এসিড ও মৃদু ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণকে অম্লীয় প্রকৃতির লবণ বলে। তীব্র এসিড ও মৃদু ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ অম্লীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ বলে। যেমন- FeCl3, Zn(NO3)2 ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ অম্লীয়।

নিরপেক্ষ লবণ বা নিরপেক্ষ প্রকৃতির লবণের দ্রবণ কাকে বলে?

নিরপেক্ষ লবণ: তীব্র এসিড ও তীব্র ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণকে নিরপেক্ষ লবণ বলে? নিরপেক্ষ প্রকৃতির লবণের দ্রবণ: তীব্র এসিড ও তীব্র ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণকে নিরপেক্ষ প্রকৃতির লবণ দ্রবণ বলে। HCl(aq) + NaOH(aq) →NaCl(aq) + H2O(l) H2SO4(aq) + NaOH(aq) →Na2SO4(aq) + H2O(l)

লবণ কাকে বলে? লবণ কী ? লবণ বলতে কী বোঝ? লবণ কী তা ব্যাখ্যা করো ।

এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ার ফলে যে নিরপেক্ষ ধর্মী পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলা হয়। যেমন: সােডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। NaOH      +    HCl →     NaCl   +      H2O কোনাে এসিডের অণুস্থিত প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণুকে কোনাে ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল ধনাত্বক যৌগমূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত করে যে …

লবণ কাকে বলে? লবণ কী ? লবণ বলতে কী বোঝ? লবণ কী তা ব্যাখ্যা করো । Read More »

বেকিং সােডার মধ্যে লেবুর রস ঢাললে কী ঘটবে? ব্যাখ্যা করাে।

বেকিং সােডার রাসায়নিক নাম হলো সােডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। এর সংকেত হলাে NaHCO3 । লেবুর রসে থাকে সাইট্রিক এসিড(C6H8O7) । বেকিং সােডা লেবুর রসে বিদ্যমান এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে সােডিয়াম সাইট্রেট লবণ, পানি ও কার্বন-ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। এ সময় দ্রবণ থেকে তাপ শােষিত হয় বলে দ্রবণটি ঠাণ্ডা হয়ে যায়। NaHCO3(aq) + H+(aq) (সাইট্রিক এসিড) + …

বেকিং সােডার মধ্যে লেবুর রস ঢাললে কী ঘটবে? ব্যাখ্যা করাে। Read More »

কোমল পানীয় কীভাবে খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে?

কোমল পানীয়: কোমল পানীয় হলাে পানিতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের (CO2)দ্রবণ। এতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি দ্রবীভূত থাকে। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে কার্বনিক এসিডে পরিণত হয়। CO2  + H2O → H2CO3(aq) যা এনজাইমের  ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে পরিপাকে সহায়তা করে।

ধনাত্মক আয়নকে ক্ষারীয় মূলক (Basic radical) বলা হয় কেন ? ক্ষারীয় মূলক কী?

প্রশমন বিক্রিয়ায় এসিডের সাথে ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন হয়। লবণের ধনাত্মক আয়নটি ক্ষার থেকে আসে। তাই ধনাত্মক আয়নকে ক্ষারীয় মূলক (Basic radical) বলে।

দৈনন্দিন জীবনে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

দৈনন্দিন জীবনে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা: পরিপাক: খাদ্য হজম করতে পাকস্থলীতে হাইড্রাক্লোরিক এসিড নিঃসৃত হয়। কোনাে কারণে পাকস্থলীতে এই এসিডের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তখন পেটে অস্বস্তি বােধ হয়। সাধারণভাবে এটিকে এসিডিটি বলে। বেশিদিন এসিডিটি থাকলে পাকস্থলীতে ঘা হয়ে যেতে পারে। তাই এই এসিডকে প্রশমিত করতে এন্টাসিড নামক ওষুধ খেতে হয়। এন্টাসিডে Al(OH)3 ও Mg(OH)2 …

দৈনন্দিন জীবনে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। Read More »

তীব্র এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন এসিড বা ক্ষারের উপর নির্ভর করে না- ব্যাখ্যা কর।

একটি তীব্র এসিড এবং তীব্র ক্ষারকের দ্বারা প্রশমিত করলে প্রশমন তাপ প্রায় ধ্রুবক হয় এবং এর মান মােটামুটিভাবে 57.3kJ । সকল তীব্র এসিড ও ক্ষারক জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত অবস্থায় থাকে। তাই যেকোনাে তীব্র এসিড বা ক্ষার দেওয়া হােক না কেন প্রশমন বিক্রিয়ায় শুধু হাইড্রোজেন ও হাইড্রোক্সাইড আয়ন পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে পানি তৈরি করে। …

তীব্র এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন এসিড বা ক্ষারের উপর নির্ভর করে না- ব্যাখ্যা কর। Read More »

কোনাে নির্দিষ্ট এসিডের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অপর কোনাে নির্দিষ্ট ক্ষারের নির্দিষ্ট পরিমাণকে সম্পূর্ণরূপে প্রশমিত করে-প্রমাণ করো ।

এসিড জলীয় দ্রবণে H+ দান করে এবং ক্ষার জলীয় দ্রবণে OH– দান করে। তাই এসিড ও ক্ষার একত্রে মিশ্রিত করলে এসিডের H+ আয়ন এবং ক্ষারের OH–আয়ন বিক্রিয়া করে পানি উৎপন্ন করে। যেমন: HCl পানিতে H+ আয়ন এবং NaOH পানিতে OH– দান করে। এ দ্রবণ দুইটিকে এক সাথে মিশ্রিত করলে এসিডের H+ এবং ক্ষারের OH– বিক্রিয়া …

কোনাে নির্দিষ্ট এসিডের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অপর কোনাে নির্দিষ্ট ক্ষারের নির্দিষ্ট পরিমাণকে সম্পূর্ণরূপে প্রশমিত করে-প্রমাণ করো । Read More »

প্রশমন বিক্রিয়া কাকে বলে? প্রশমন বিক্রিয়া কী ?প্রশমন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

প্রশমন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় এসিড ও  ক্ষার  বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে  তাকে  প্রশমন বিক্রিয়া বলে।  

কোনাে এসিডের লিটমাস পরীক্ষা করার সময় পানির ভূমিকা কতটুকু?

আমরা জানি, এসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাস পেপারকে লাল করে। কোনাে অনার্দ্র এসিডের ক্রিস্টালের উপর শুষ্ক নীল লিটমাস পেপার স্পর্শ করালে কোনাে পরিবর্তন ঘটে না। কারণ কোনাে অনার্দ্র এসিডের ক্রিস্টাল জলীয় দ্রবণে আয়নিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে  হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে। এ অবস্থায় নীল লিটমাস পেপার এসিডের সংস্পর্শে আনলে তা লাল বর্ণ ধারণ করবে। কাজেই এসিডের লিটমাস …

কোনাে এসিডের লিটমাস পরীক্ষা করার সময় পানির ভূমিকা কতটুকু? Read More »

নির্দেশক দ্বারা pH পরিমাপন ব্যাখ্যা কর।

pH মান জানার জন্য নির্দেশক হিসেবে লিটমাস পেপার ব্যবহার করা যায়। লিটমাস পেপার সস্তা ও সহজলভ্য ।কোনো দ্রবণের pH মান 7 এর কম হলে লিটমাস পেপার লাল এবং  7 এর বেশি হলে নীল বর্ণ ধারণ করে। ফুলের রঙিন পাপড়ি এবং রঙিন সবজি এসিড ও ক্ষার যােগে ভিন্ন বর্ণ দেখায়। এ পদার্থগুলাে বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এসিড …

নির্দেশক দ্বারা pH পরিমাপন ব্যাখ্যা কর। Read More »

pH এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

pH এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা: কৃষিক্ষেত্রে, জীবদেহে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায়,প্রসাধনী ব্যবহারে pH এর গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে এগুলাে ব্যাখ্যা করা হলাে:  কৃষিক্ষেত্রে: কৃষিতে pH এর গুরুত্ব অপরিসীম। উদ্ভিদ তার শরীরের পুষ্টির জন্য মাটি থেকে বিভিন্ন আয়ন, পানি শােষণ করে। এর জন্য মাটির pH এর মান 6.0 থেকে ৪.0 এর মধ্যে হলে সবচেয়ে ভালাে। আবার, মাটির pH …

pH এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। Read More »

নির্দেশক কাকে বলে? নির্দেশক কী ? নির্দেশক বলতে কী বোঝ?

নির্দেশক: যে সকল পদার্থ নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনাে একটি বস্তু এসিড বা ক্ষার বা নিরপেক্ষ তা নির্দেশ করে তাদেরকে নির্দেশক বৃলে। যেমন : লিটমাস পেপার, মিথাইল অরেঞ্জ, ইউনির্ভাসাল ইনন্ডিকেটর  ইত্যাদি।

PH নির্ধারণে ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

PH নির্ধারণে ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর এর ভূমিকা: বিভিন্ন এসিড ক্ষার নির্দেশকের মিশ্রণ হলাে ইউনিভার্সাল নির্দেশক (Universal Indicator)। ভিন্ন ভিন্ন pH মানের দ্রবণে ইউনিভার্সাল নির্দেশক ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ প্রদান করে। কোনাে দ্রবণের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক কোন বর্ণ ধারণ করবে তা বােঝার জন্য একটি চার্ট রয়েছে। এই চার্টকে ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট বলে। কোনাে দ্রবণে কয়েক ফোঁটা ইউনিভার্সাল …

PH নির্ধারণে ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। Read More »

pH মিটার কী? pH মিটার কাকে বলে? pH মিটার বলতে কী বোঝো?

pH মিটার: যে মিটারের সাহায্যে অজানা দ্রবণের pH নির্ণয় করা যায়, তাকে pH মিটার বলা হয়। pH মিটারের ইলেক্ট্রোডকে অজানা দ্রবণে ডুবিয়ে মিটারের ডিসপ্লে থেকে সরাসরি pH এর মান জানা যায়।

ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট বলে কাকে বলে?

ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট : কোনাে দ্রবণের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক কোন বর্ণ ধারণ করবে তা বােঝার জন্য একটি চার্ট রয়েছে। এই চার্টকে ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট বলে।    

ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর কী? ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর কাকে বলে ?

ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর: বিভিন্ন এসিড, ক্ষার নির্দেশকের মিশ্রণকে ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর বলে। অজানা দ্রবণের pH এর মান জানার জন্য কয়েক ফোটা ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয়।  

পরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে দ্রবণের pH কীভাবে পরিমাপ করা হয়?

pH এর মান পরিমাপের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক (Universal indicator), pH পেপার (pH paper), pH মিটার (pH meter) প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়। ইউনিভার্সাল নির্দেশক: বিভিন্ন এসিড ক্ষার নির্দেশকের মিশ্রণ হলাে ইউনিভার্সাল নির্দেশক (Universal Indicator)। ভিন্ন ভিন্ন pH মানের দ্রবণে ইউনিভার্সাল নির্দেশক ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ প্রদান করে। কোনাে দ্রবণের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক কোন বর্ণ ধারণ করবে তা …

পরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে দ্রবণের pH কীভাবে পরিমাপ করা হয়? Read More »

pH স্কেল কী? pH স্কেল কাকে বলে? pH স্কেল বলতে কী বোঝ?

কোনো দ্রবনের pH এর পরিমাপ করার জন্য যে স্কেল ব্যাবহার করা হয় তাকে pH স্কেল বলে । চিত্র : pH স্কেল (ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটরের বিভিন্ন pH এ বর্ণ) pH কেল: যদিও অংকের হিসাবে pH এর মান ঋণাত্মক থেকে শুরু করে যেকোনাে ধনাত্মক সংখ্যা হওয়া সম্ভব কিন্তু বাস্তব জীবনে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে pH এর মান 0 থেকে 14 …

pH স্কেল কী? pH স্কেল কাকে বলে? pH স্কেল বলতে কী বোঝ? Read More »

বিশুদ্ধ পানিতে পৃথক পৃথকভাবে এসিড ও ক্ষার যােগ করলে PH মান -এর কিরূপ পরিবর্তন ঘটবে?

আমরা জানি, বিশুদ্ধ পানি নিরপেক্ষ অর্থাৎ এটি এসিড বা ক্ষার কোনাে ধর্মই দেখায় না । তাই বিশুদ্ধ পানির PH মান 7 । বিশুদ্ধ পানিতে এসিড যােগ করলে H+ আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে দ্রবণের PH মান 7 থেকে কমে যায়। আবার বিশুদ্ধ পানিতে ক্ষার যােগ করলে দ্রবণে OH–আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে PH মান 7 …

বিশুদ্ধ পানিতে পৃথক পৃথকভাবে এসিড ও ক্ষার যােগ করলে PH মান -এর কিরূপ পরিবর্তন ঘটবে? Read More »

পানির PH এর মান 7 অপেক্ষা বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা কর। পানির PH এর মান 7

কোনাে দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের মােলার ঘনমাত্রার ঋণাত্বক লগারিদমকে PH বলে। কোনাে দ্রবণের PH মান 0 থেকে 14 এর মধ্যে হবে।কোনাে দ্রবণ অম্লীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর কম হবে এবং দ্রবণ ক্ষারীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর বেশি হবে। আবার কোনাে দ্রবণ নিরপেক্ষ হলে PH মান 7 হয় । যেহেতু পানি নিরপেক্ষ সেহেতু …

পানির PH এর মান 7 অপেক্ষা বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা কর। পানির PH এর মান 7 Read More »

NH3 এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 এর বেশি কেন?

পানি একটি নিরপেক্ষ পদার্থ, যার pH =7 । বিশুদ্ধ পানিতে NH3  যােগ করলে NH4OH উৎপন্ন হয় যা জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন প্রদান করে।  NH3 + H2O(l) = NH4OH(aq)  NH4OH(aq) + H2O(l) ⇌ NH4+(aq) + OH–(aq) ফলে  দ্রবণে OH– এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং  H+ এর ঘনমাত্রা হ্রাস পায় অথাৎ দ্রবণটি ক্ষারীয় হয়। ফলে …

NH3 এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 এর বেশি কেন? Read More »

চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা করো। CaO এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 অপেক্ষা কম না বেশী? ব্যাখ্যা কর।

চুন (CaO) পানির সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Ca(OH)2) নামক ক্ষার তৈরি করে। একে চুনের পানি বলা হয়। সুতরাং চুনের পানি ক্ষারীয়। কোনাে দ্রবণ অম্লীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর কম হবে এবং দ্রবণ ক্ষারীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর বেশি হবে। যেহেতু চুনের পানি ক্ষারীয়, সুতরাং চুনের পানির pH মান 7 এর …

চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা করো। CaO এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 অপেক্ষা কম না বেশী? ব্যাখ্যা কর। Read More »

বিশুদ্ধ পানির pH এর মান 7 কেন?

কোনাে দ্রবণে  উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম ঐ দ্রবণের pH বলা হয়। অর্থাৎ pH = -log[H+]   আমরা জানি,  1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল।                     বিশুদ্ধ পানির pH = -log[H+] = -log(10-7)                     অতএব, বিশুদ্ধ পানির pH = 7

দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা থেকে কীভাবে pH হিসাব করতে হয়?

কোনাে দ্রবণে  উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম ঐ দ্রবণের pH বলা হয়। অর্থাৎ pH = -log[H+]   [H+] দ্বারা H+ আয়নের মােলার ঘনমাত্রা অর্থাৎ 1 লিটার দ্রবণে কত মােল H+ আয়ন রয়েছে সেটা বােঝানাে হয়।                     1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল।                     বিশুদ্ধ পানির pH = -log[H+] = -log(10-7)                     অতএব, বিশুদ্ধ পানির …

দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা থেকে কীভাবে pH হিসাব করতে হয়? Read More »

বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে pH মান বাড়ে কেন ? অথবা বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে দ্রবনের প্রকৃতি কেমন হবে ?

কোনো দ্রবনের pH এর মান 7 হওয়ার অর্থ এটি ক্ষারও নয় আবার এসিডও নয়। এটি নিরপেক্ষ দ্রবণ। যদি কোনাে দ্রবণের pH এর মান 7 থেকে কম হয় তাহলে সেই দ্রবণটি এসিডিক দ্রবণ এবং যদি কোনাে দ্রবণের pH মান 7 থেকে বেশি হয় তবে সেই দ্রবণটি ক্ষারীয় দ্রবণ। যদি বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হয় …

বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে pH মান বাড়ে কেন ? অথবা বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে দ্রবনের প্রকৃতি কেমন হবে ? Read More »

H+ আয়নের ঘনমাত্রা যত বেশি হবে pH এর মান তত কমতে থাকবে কেন ?

আমরা জানি,   1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল। যদি বিশুদ্ধ পানিতে এসিড যােগ করা হয় এবং এসিড যােগের কারণে যদি H+ এর সংখ্যা 10 গুণ বেড়ে গিয়ে প্রতি লিটারে 10-6 মােল হয়, তাহলে দ্রবণের pH কমে যাবে। pH = -log[10-6] = 6 H+ আয়নের ঘনমাত্রা যত বেশি হবে pH এর মান …

H+ আয়নের ঘনমাত্রা যত বেশি হবে pH এর মান তত কমতে থাকবে কেন ? Read More »

বিশুদ্ধ পানির pH = 7 কেন ?

 1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল।                     বিশুদ্ধ পানির pH = -log[H+] = -log(10-7)                     অতএব, বিশুদ্ধ পানির pH = 7 তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে কোনাে আয়ন থাকলে মােলারিটি এককে সেই আয়নের ঘনমাত্রা বােঝানাে হয়।

pH কী? pH বলতে কী বোঝ? pH কাকে বলে?

কোনাে দ্রবণে  উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম ঐ দ্রবণের pH বলা হয়। অর্থাৎ pH = -log[H+]              (pH লেখার সময় p ছােট হাতের আর H বড় হাতের লেখা হয়)

NH4OH কে দুর্বল ক্ষার বলা হয় কেন?

 NH4OH কে দুর্বল ক্ষার: যে সকল ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে আয়নিত হয় তাদেরকে দুর্বল ক্ষার বলে। NH4OH জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে বিয়ােজিত হয়ে সামান্য পরিমাণে হাইড্রোক্সাইড আয়ন প্রদান করে। NH4OH + H2O ⟶ NH4+ + OH– তাই NH4OH কে দুর্বল ক্ষার বলা হয়।

CH3COOH অপেক্ষা H2SO4 এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন?

CH3COOH অপেক্ষা H2SO4 এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে : জলীয় দ্রবণের এসিড H+ আয়নের উপস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ পরিবহন করে। জলীয় দ্রবণে H+ আয়নের পরিমাণ যত বেশি হবে এসিড তত বেশি বিদ্যুৎ পরিবহন করবে। CH3COOH একটি মৃদু এসিড। এটি জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে বিয়ােজিত হয়ে কম পরিমাণ H+ আয়ন প্রদান করে। H2SO4 একটি তীব্র …

CH3COOH অপেক্ষা H2SO4 এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন? Read More »

NH4OH অপেক্ষা NaOH এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন?

জলীয় দ্রবণের ক্ষার OH– আয়নের উপস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ পরিবহন করে। জলীয় দ্রবণে OH– আয়নের পরিমাণ যত বেশি হবে ক্ষার তত বেশি বিদ্যুৎ পরিবহন করবে। NH4OH একটি মৃদু ক্ষার। এটি জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে বিয়োজিত হয়ে কম পরিমান OH– আয়ন প্রদান করে। NaOH একটি তীব্র ক্ষার। এটি জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণভাবে বিয়ােজিত হয়ে বেশি পরিমানে OH– আয়ন প্রদান …

NH4OH অপেক্ষা NaOH এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন? Read More »

একটি পরীক্ষার সাহায্যে সবল ও দুর্বল এসিড অথবা সবল ও দুর্বল ক্ষার সনাক্ত করো।

কোন এসিডটি সবল এবং কোন এসিডটি দুর্বল তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। একটি বিকারে 50 mL লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিয়ে বিকারের মধ্য দুটি গ্রাফাইট দণ্ড এমনভাবে বসাই যাতে তারা একে অপরের সাথে স্পর্শ না করে। এবার একটি গ্রাফাইট দণ্ডকে ১টি তারের সাথে ব্যাটারির এক প্রান্তে এবং অপর গ্রাফাইট দণ্ডকে তারের সাথে বাল্বের মধ্যে দিয়ে …

একটি পরীক্ষার সাহায্যে সবল ও দুর্বল এসিড অথবা সবল ও দুর্বল ক্ষার সনাক্ত করো। Read More »

গাঢ় এসিড ও গাঢ় ক্ষারের ক্ষয়কারী ধর্ম ব্যাখ্যা করো।

গাঢ় এসিড এবং গাঢ় ক্ষার অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ। এগুলাে কাপড়-চোপড় এবং শরীরে লাগলে ত্বক ও কাপড়কে ক্ষয় করতে পারে। এগুলাে চোখে গেলে চোখ নষ্ট হয়। পানির মধ্যে গাঢ় এসিড বা গাঢ় ক্ষার অল্প অল্প করে যােগ করে তাকে দ্রবীভূত করে লঘু দ্রবণ তৈরি করা হয়। যদি অসাবধানতাবশত কোনাে গাঢ় এসিড বা গাঢ় ক্ষার শরীরে লেগে …

গাঢ় এসিড ও গাঢ় ক্ষারের ক্ষয়কারী ধর্ম ব্যাখ্যা করো। Read More »

CaO কোন ধরনের যৌগ? CaO একটি ক্ষারক। CaO ক্ষার নয় ব্যাখ্যা করো।

ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। CaO ক্ষারক, ক্ষার নয় কারণ CaO এ OH– মূলক নাই।  তাছাড়া ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড …

CaO কোন ধরনের যৌগ? CaO একটি ক্ষারক। CaO ক্ষার নয় ব্যাখ্যা করো। Read More »

অ্যামােনিয়া ও লঘু (HCl)হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়ায় সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন হয় কেন?

অ্যামােনিয়া ও লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া: অ্যামােনিয়া ও লঘু HCl এর মধ্যে বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামােনিয়াম ক্লোরাইড তৈরি হয়। NH4Cl হলাে একটি সাদা বর্ণের গ্যাসীয় পদার্থ। এই সাদা বর্ণের NH4Cl গ্যাসের জন্যই বিক্রিয়ায় সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। NH3 + HCl → NH4Cl (সাদা বর্ণের গ্যাস)

অ্যামােনিয়া গ্যাসের জলীয় দ্রবনের প্রকৃতি কেমন? অ্যামােনিয়া গ্যাসকে পানিতে দ্রবীভূত করা হলে কী ঘটে ?

অ্যামােনিয়া গ্যাস হচ্ছে অ্যামােনিয়া অণুর সমষ্টি। অ্যামােনিয়াকে পানিতে দ্রবীভূত করা হলে অ্যামােনিয়া গ্যাস ও পানির বিক্রিয়ায় অ্যামােনিয়াম আয়ন আর হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন হয়। তবে পানিতে অ্যামােনিয়ার সামান্য অংশই দ্রবীভূত হয় এবং খুব অল্প সংখ্যক হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন হয়। NH3 + H2O(l) = NH4OH(aq)  NH4OH(aq) + H2O(l) ⇌ NH4+(aq) + OH–(aq) সুতরাং, অ্যামােনিয়া দ্রবণে অ্যামােনিয়া অণু, …

অ্যামােনিয়া গ্যাসের জলীয় দ্রবনের প্রকৃতি কেমন? অ্যামােনিয়া গ্যাসকে পানিতে দ্রবীভূত করা হলে কী ঘটে ? Read More »

NaOH ও NH4OH এর মধ্যে কোনটি দুর্বলক্ষার এবং কেন? ব্যাখ্যা কর।

NaOH ও NH4OH এর মধ্যে কোনটি দুর্বলক্ষার এবং কেন? যে সকল ক্ষার জলীয়  দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয় তাদেকে সবল ক্ষার এবং যে সকল ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তাদেৱকে দুর্বল ক্ষার বলে। NaOH ও NH4OH এর মধ্যে NH4OH দুর্বল ক্ষার । কারণ, NaOH জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়ে সোডিয়াম আয়ন ও বেশি পরিমান হাইড্রোক্সাইড …

NaOH ও NH4OH এর মধ্যে কোনটি দুর্বলক্ষার এবং কেন? ব্যাখ্যা কর। Read More »

ক্ষারের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

ক্ষারের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা : ক্ষারসমূহে আয়ন উপস্থিত থাকে। তবে কঠিন অবস্থায় এই আয়ন মুক্ত থাকে না। ফলে এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না। ক্ষারকে পানিতে দ্রবীভূত করলে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়ে মুক্ত হাইড্রোক্সাইড আয়ন  (OH–) উৎপন্ন হয় এবং এই আয়ন  ভ্রাম্যমাণ থাকে। ফলে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। KOH(s) + …

ক্ষারের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। Read More »

কপার অক্সাইড ক্ষার নয় কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষার বলা হয় না কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষারক বলা হয় কেন?

কপার অক্সাইড ক্ষার নয়: আমরা জানি, ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে। এ সকল ক্ষারকের মধ্যে যেগুলাে পানিতে দ্রবীভূত হয় তাহাই ক্ষার। কপার অক্সাইড শুধুমাত্র এসিডকে প্রশমিত করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে কিন্তু ইহা পানিতে দ্রবীভূত হয় না। …

কপার অক্সাইড ক্ষার নয় কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষার বলা হয় না কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষারক বলা হয় কেন? Read More »

Al2O3 একটি উভধর্মী অক্সাইড – ব্যাখ্যা করাে।

আমরা জানি, ধাতুর যে সকল অক্সাইড এসিড বা ক্ষারক উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাদেরকে উভধর্মী অক্সাইড বলে।  Al2O3 এসিড ও ক্ষার উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। যেমন, Al2O3 ও H2SO4 বিক্রিয়া করে লবণ Al2(SO4)3 ও পানি উৎপন্ন করে।  Al2O3 + 3H2SO4 → Al2(SO4)3 + 3H2O আবার …

Al2O3 একটি উভধর্মী অক্সাইড – ব্যাখ্যা করাে। Read More »

অ্যামােনিয়া ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর। অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর

অ্যামােনিয়া ক্ষারধর্মী: আমরা জানি, ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় এবং বিয়ােজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH–) উৎপন্ন করে তাদেরকে ক্ষার বলে । অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী। কারণ, (i) অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করে যা লাল লিটমাসকে   নীল করে।। NH3 + H2O ⇌ NH4OH NH4OH ⇌ …

অ্যামােনিয়া ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর। অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর Read More »

অ্যামােনিয়া একটি বিজারক-ব্যাখ্যা কর। অ্যামােনিয়াকে বিজারক বলা হয় কেন? অ্যামােনিয়া বিজারক

অ্যামােনিয়া একটি বিজারক: যে বস্তু অন্য বস্তুকে বিজারিত করে এবং নিজে জারিত হয় তাকে বিজারক বলে । অ্যামােনিয়া উত্তপ্ত কপার (II) অক্সাইডকে বিজারিত করে ধাতব কপারে পরিণত করে এবং নিজে জারিত হয়ে নাইট্রোজেনে পরিণত হয়।  3CuO + NH3 = 3Cu + 3H2O + N2 সুতরাং, অ্যামােনিয়া একটি বিজারক।

অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

একটি পাত্রে অ্যামােনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl) নিয়ে এর মধ্যে ক্ষার (NaOH) যােগ করলে অ্যামােনিয়া গ্যাস (NH3) সােডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) লবণ এবং পানি (H2O) উৎপন্ন হয়। NH4Cl + NaOH → NH3 + NaCl + H2O অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বিক্রিয়া আছে। যেকোনাে অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষার বিক্রিয়া করে NH3 গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন: NH4Cl + …

অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা করো। Read More »

দ্রবণে Ca2+ আয়নের উপস্থিতি কীভাবে সনাক্ত করবে তা সমীকরণসহ বর্ণনা কর।

ক্যালসিয়াম লবণের জলীয় দ্রবণে সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ যােগ করলে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ পড়ে। অতঃপর অতিরিক্ত পরিমাণ সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ যােগ করলে অধঃক্ষেপের বর্ণের কোনাে পরিবর্তন হয় না। এ পরীক্ষা দ্রবণে ক্যালসিয়াম আয়নের উপস্থিতি প্রমাণ করে। CaSO4(aq) + 2NaOH(aq) → Ca(OH)2(s) + Na2SO4(aq) Ca(OH)2(s) + 2NaOH(aq) কোনাে পরিবর্তন হয় না ।

Zn(NO3) এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: দ্রবণে Zn2+ আয়নের উপস্থিতি কীভাবে সনাক্ত করবে?

একটি টেস্টটিউবে Zn(NO3)2 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে জিংক হাইড্রোক্সাইড [Zn(OH)2] এর সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং সােডিয়াম নাইট্রেট NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Zn(NO3)2 + 2NaOH → Zn(OH)2↓ + 2NaNO3 এই অধঃক্ষেপে অতিরিক্ত পরিমাণ সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ যােগ করলে সােডিয়াম জিংকেটের বর্ণহীন দ্রবণ উৎপন্ন …

Zn(NO3) এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: দ্রবণে Zn2+ আয়নের উপস্থিতি কীভাবে সনাক্ত করবে? Read More »

Cu(NO3)2 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: Cu ++ আয়ন সনাক্তকরণ

একটি টেস্টটিউবে Cu(NO3)2 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে কপার হাইড্রোক্সাইড [Cu(OH)2] এর হালকা নীল বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং সােডিয়াম নাইট্রেট NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Cu(NO3)2 + 2NaOH → Cu(OH)2↓ + 2NaNO3

ফেরাস নাইট্রেট Fe(NO3)2 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: (আয়রন (II) ও আয়রন (III) লবণের মধ্যে কিভাবে পার্থক্য কররে তা সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর।) ( কীভাবে কোনো দ্রবণে আয়রন আয়ন (Fe+2/Fe+3) সনাক্ত করা যায় )

একটি টেস্টটিউবে Fe(NO3)2 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে ফেরাস হাইড্রোক্সাইড [Fe(OH)2] এর সবুজ বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Fe(NO3)2 + 2NaOH → Fe(OH)2↓ + 2NaNO3 ফেরিক নাইট্রেট Fe(NO3)3 এর সাথে NaOH এর বিক্রিয়া: একটি টেস্টটিউবে Fe(NO3)3 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে …

ফেরাস নাইট্রেট Fe(NO3)2 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: (আয়রন (II) ও আয়রন (III) লবণের মধ্যে কিভাবে পার্থক্য কররে তা সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর।) ( কীভাবে কোনো দ্রবণে আয়রন আয়ন (Fe+2/Fe+3) সনাক্ত করা যায় ) Read More »

Al(NO3)3 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: ( কীভাবে কোনো দ্রবণে অ্যালুমিনিয়াম আয়ন ( Al+++) সনাক্ত করা যায় )

একটি টেস্টটিউবে Al(NO3)3 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Al(OH)3] এবং NaNO3 উৎপন্ন হয়। Al(OH)3 জেলীর ন্যায় সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ হিসেবে টেস্টটিউবের নিচে জমা হয় এবং সােডিয়াম নাইট্রেট NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এটি পানিতে কোনাে বর্ণ প্রদান করে না। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: 2Al(NO3)3 + 6NaOH → 2Al(OH)3↓ …

Al(NO3)3 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: ( কীভাবে কোনো দ্রবণে অ্যালুমিনিয়াম আয়ন ( Al+++) সনাক্ত করা যায় ) Read More »

গাঢ় এসিড ও ক্ষারের ক্ষয়কারী ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় এসিড অত্যন্ত বিপদজনক কারণ এগুলাে অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ। এগুলাে ধাতু, ত্বক এবং কাপড় ক্ষয় করতে পারে। এসিডের মতাে গাঢ় ক্ষারও ক্ষয়কারী এবং বিপদজনক। সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডকে প্রায়শই কস্টিক সােডা (কস্টিক মানে পােড়ানাে) বলা হয়। এসিডের তুলনায় ক্ষার ত্বক ও চোখের বেশি ক্ষতি করে।

error: Content is protected !!