SSC CHEMISTRY CHAPTER-1

প্রথম অধ্যায়ঃ রসায়নের ধারণা

রসায়ন পরিচিতি (Introduction to chemistry), রসায়নের পরিধি বা ক্ষেত্রসমূহ (The Scopes of chemistry), রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক (Relationship Between Chemistry and Other Branches of Science), রসায়ন পাঠের গুরুত্ব(The Importance of Studying Chemistry), রসায়নে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রক্রিয়া(The Process of Research in Chemistry), রসায়ন পরীক্ষাগার ব্যবহারে ও পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে সতর্কতা গ্রহণ (safety Measures in Chemistry Laboratory and in Use of Chemicals)

মরিচার সংকেত কি

মরিচার সংকেত কি । মরিচার রাসায়নিক সংকেত কি

মরিচার সংকেত কি? বা লোহার মরিচার সংকেত কী? এটা একটি কমন প্রশ্ন। এছাড়া আপনি হয়তো জানতে চান মরিচা কি? মরিচার সংকেত, মরিচা সংকেত, লোহার মরিচার সংকেত, মরিচার রাসায়নিক সংকেত কি,মরিচার রাসায়নিক নাম ও সংকেত ইত্যাদি । এই অংশে আমি মরিচ কি অথবা মরিচ কাকে বলে অথবা লোহায় মরিচা পড়ে কেন ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করবো । …

মরিচার সংকেত কি । মরিচার রাসায়নিক সংকেত কি Read More »

লােহায় মরিচা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করো। মরিচা কীভাবে সৃষ্টি হয়?

লােহায় মরিচা পড়ার কারণ: লােহার (আয়রন বা Fe) তৈরি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন: ছুরি, কাঁচি, বঁটি, দা ইত্যাদি ব্যবহার করি। এসব যন্ত্রপাতি বাতাসে মুক্ত অবস্থায় রেখে দিলে এদের পৃষ্ঠে মরিচা পড়ে। এখানে আয়রন বাতাসের অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে আর্দ্র ফেরিক অক্সাইড বা মরিচা তৈরি করে। এতে ধাতুর পৃষ্ঠতল ক্ষয় হয়। মরিচা ঝাঁঝরা জাতীয় …

লােহায় মরিচা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করো। মরিচা কীভাবে সৃষ্টি হয়? Read More »

মরিচা কি

মরিচা কী? মরিচা কাকে বলে? মরিচা বলতে কী বোঝ?

মরিচা: মরিচা হলো আর্দ্র ফেরিক অক্সাইড অর্থাৎ আর্দ্র ফেরিক অক্সাইডকে মরিচা বলে। মরিচায় পানির অণুর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সুতরাং মরিচার রাসায়নিক সংকেত Fe2O3. nH2O  এখানে n এর মান 1, 2, 3 ইত্যাদি যেকোনাে পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে। মরিচ কি তা আমরা অন্যভাবে বলতে পারি:  সাধারণত লোহা জাতীয় পর্দাথ বাহিরে মুক্ত বাতাসে অনেক দিন ফেলে রাখলে …

মরিচা কী? মরিচা কাকে বলে? মরিচা বলতে কী বোঝ? Read More »

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের উদাহরণ ।

সাংকেতিক চিহ্ন সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের উদাহরণ বিস্ফোরক পদার্থ (Explosive substance) টিএনটি(ট্রাই নাইট্রো টলুইন),জৈব পার-অক্সাইড, নাইট্রোগ্লিসারিন ইত্যাদি এ ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ। দাহ্য পদার্থ(Flammable substance) অ্যালকোহল, ইথার ইত্যাদি দাহ্য পদার্থ।  বিষাক্ত পদার্থ (Toxic substance) বেনজিন, ক্লোরােবেনজিন, মিথানল এ ধরনের পদার্থ।  উত্তেজক পদার্থ (Irritant substance) সিমেন্ট ডাস্ট, লঘু এসিড, ক্ষার, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি উত্তেজক পদার্থ  স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ …

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের উদাহরণ । Read More »

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের ঝুঁকি ও তার মাত্রা, সাবধানতা উদাহরণসহ সংক্রান্ত বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করো।

সাংকেতিক চিহ্ন পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা সাবধানতা  উদাহরণ   যে সকল পদার্থ অস্থিতিশীল এবং নিজে নিজেই বিক্রিয়া করতে পারে তাদেরকে বিস্ফোরক পদার্থ বলে। বিস্ফোরক পদার্থ চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থ থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। এসব পদার্থ ব্যবহারের সময় মনে রাখতে হবে এসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন লাগলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং …

সাংকেতিক চিহ্ন ও সাংকেতিক চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থের ঝুঁকি ও তার মাত্রা, সাবধানতা উদাহরণসহ সংক্রান্ত বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করো। Read More »

পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বােঝনাের জন্য সর্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বােঝনাের জন্য সর্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন:  যেকোনাে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের সেই রাসায়নিক দ্রব্যটির প্রকৃতি অর্থাৎ সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয় তা জেনে নিতে হবে। সেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেবেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সর্বজনীন নিয়ম (Globally Harmonized …

পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বােঝনাের জন্য সর্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন কীভাবে নির্ধারণ করা হয়? Read More »

GLOBALLY HARMONIZED SYSTEM বা G.H.S কী?

GLOBALLY HARMONIZED SYSTEM বা G.H.S: যেকোনাে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের সেই রাসায়নিক দ্রব্যটির প্রকৃতি অর্থাৎ সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয় তা জেনে নিতে হবে। সেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেবেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সর্বজনীন নিয়ম (Globally Harmonized system) চালু আছে । এই …

GLOBALLY HARMONIZED SYSTEM বা G.H.S কী? Read More »

রসায়ন পরীক্ষাগারে আমরা কীভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারি?

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা: রসায়ন পরীক্ষাগারে ঢোকা থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অসতর্ক হলেই যেকোনাে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শরীরকে রক্ষা করতে আমাদের  পরতে হবে নিরাপদ পােশাক বা অ্যাপ্রােন (apron)। রসায়ন গবেষণাগারে ব্যবহৃত অ্যাপ্রােনের হাতা হবে হাতের কবজি পর্যন্ত আর লম্বায় হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। এটি হয় সাদা …

রসায়ন পরীক্ষাগারে আমরা কীভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারি? Read More »

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে কেন?

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা: রসায়নের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গবেষণা করা হয় তাকে রসায়ন পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার (Chemistry Laboratory) বলে। রসায়ন গবেষণাগারে থাকবে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। প্রায় প্রত্যেকটি রাসায়নিক দ্রব্যই আমাদের জন্য অথবা পরিবেশের জন্য কম-বেশি ক্ষতিকর। কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয়, কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য দাহ্য (সহজেই যাতে আগুন ধরে যায়), কোনােটি আমাদের শরীরের সরাসরি ক্ষতি …

রসায়ন পরীক্ষাগারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে কেন? Read More »

রসায়ন গবেষণাগার (CHEMISTRY LABORATORY)কাকে বলে? রসায়ন গবেষণাগার কী ?

রসায়ন গবেষণাগার(CHEMISTRY LABORATORY): যেখানে রসায়নের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গবেষণা করা হয় তাকে রসায়ন পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার (Chemistry Laboratory) বলে।

গবেষণাগার (LABORATORY)কাকে বলে? গবেষণাগার কী? গবেষণাগার বলতে কী বোঝ?

গবেষণাগার (LABORATORY): যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার  (Laboratory) বলে।

রসায়নে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো ব্যাখ্যা করো।

রসায়নে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ: বিজ্ঞানের লক্ষ্য হলাে মানবজাতির কল্যাণসাধন করা। এ উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পদ্ধতিগতভাবে যে সুসংবদ্ধ জ্ঞান অর্জন হয় সেই জ্ঞানই হলাে বিজ্ঞান। আর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে কিছু জানার চেষ্টাই হচ্ছে গবেষণা। যিনি এই গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে কিছু জানার …

রসায়নে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো ব্যাখ্যা করো। Read More »

বিজ্ঞানী কাকে বলে? বিজ্ঞানী কারা? কাদেরকে বিজ্ঞানী বলা হয়?

বিজ্ঞানী: যিনি এই গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। যেমন :আমরা অনেক মহান মনীষীর ও বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারি। আইনস্টাইন, নিউটন, আর্কিমিডিস, ল্যাভয়সিয়ে, গ্যালিলিও। 

রাসায়নিক বর্জ্য কীভাবে আমাদের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে?

শিল্পকারখানা, যানবাহন, মানুষের ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক বর্জ্য  আমাদের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে। এর মাঝে রয়েছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনােক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, বিভিন্ন এসিড, বিভিন্ন ভারী ধাতু (যেমন- পারদ, লেড, আর্সেনিক, কোবাল্ট ইত্যাদি) সহ আরও অনেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। এগুলাে বায়ুর সাথে মিশে বায়ুদূষণ, পানির সাথে মিশে পানিদূষণ এবং অন্যান্য উপায়ে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করেই …

রাসায়নিক বর্জ্য কীভাবে আমাদের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে? Read More »

প্রিজারভেটিভস কী? প্রিজারভেটিভস কাকে বলে? প্রিজারভেটিভস বলতে কী বোঝ?

প্রিজারভেটিভস: যেসব রাসায়নিক দ্রব্য খাদ্যসামগ্রীতে দিলে খাদ্যসামগ্রীতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না, দুর্গন্ধ হয়, পচন হয় না  অর্থাৎ খাদ্যসামগ্রীকে  অনেকদিন  সংরক্ষণ  করা যায় সেসব রাসায়নিক দ্রব্যকে ফুড প্রিজারভেটিভ বলে।

রসায়ন পাঠের গুরুত্ব । আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব: আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম । আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশে একটু পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজি। তারপর বই নিয়ে পড়তে বসে পড়ার সময় চা আর বিস্কুট খাই । বাথরুমটা একটু নােংরা হলে টয়লেট ক্লিনার দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করি। গােসল করার সময় আমরা ব্যবহার করি সুগন্ধি সাবান আর শ্যাম্পু। …

রসায়ন পাঠের গুরুত্ব । আমাদের জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। Read More »

রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক: বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রয়েছে। যেমন- রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, পরিবেশবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব ইত্যাদি। বিজ্ঞানের একটি শাখার সাথে অন্য একটি শাখার গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা যেমন রসায়নের উপর নির্ভরশীল, রসায়নও তেমনি অন্যান্য শাখার উপর নির্ভরশীল। নিচে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সাথে রসায়নের সম্পর্ক কয়েকটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হলাে: জীববিজ্ঞানের …

রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো। Read More »

জীব যে খাবার গ্রহণ করে তা থেকে কীভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়?

জীব যে খাবার গ্রহণ করে তা থেকে বিপাকীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়। আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় যে বায়ু গ্রহণ করি সেই বায়ুর অক্সিজেন শরীরের ভেতরে খাদ্য উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে শক্তি উৎপন্ন করে।  C6H12O6    + 6O2  → 6CO2  + 6H2O + শক্তি এভাবে জীবদেহে খাবার থেকে  শক্তি উৎপন্ন হয় ।

সার কাকে বলে? সার কী? সার বলতে কী বোঝ? সার এর সংজ্ঞা দাও

সার: যে সকল রাসায়নিক পদার্থ কার্বন, ফসফরাস, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত এবং যা উদ্ভিদের প্রয়ােজনীয় পুষ্টি প্রদান করে তাদেরকে সার বলে।

আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত রাসায়নিক পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। ব্যাখ্যা করো ।

যেখানে পদার্থ আছে সেখানেই রসায়ন আছে। বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ থাকে। বায়ুমণ্ডলে কিছু না কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন অনবরত ঘটছে। আমরা যে মাটির উপরে বসবাস করছি সে মাটিতেও প্রতি মুহূর্তে ঘটে যাচ্ছে অসংখ্য পরিবর্তন। শুধু বর্তমান সময় কেন, সুদূর অতীতেও এই পরিবর্তন ঘটেছে। যখন এ পৃথিবীর প্রথম জন্ম হলাে তখন পৃথিবী এমন ছিল না, পৃথিবী ছিল …

আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত রাসায়নিক পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। ব্যাখ্যা করো । Read More »

পেটের এসিডিটির জন্য এন্টাসিড ওষুধ খাওয়া হয় কেন ?

খাদ্য হজম করতে পাকস্থলীতে হাইড্রাক্লোরিক এসিড নিঃসৃত হয়। পাকস্থলীতে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড জমা হলে পেটে এসিডিটির সমস্যা হয়। এন্টাসিডে থাকে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড । এরা ক্ষারজাতীয় পদার্থ। তাই পেটের অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিডকে এরা প্রশমিত করে। তাই পেটের এসিডিটির জন্য অথবা পেটের জ্বালা পোড়া সমস্যা সমাধানের জন্য এন্টাসিড ওষুধ খাওয়া হয় । Al(OH)3 + …

পেটের এসিডিটির জন্য এন্টাসিড ওষুধ খাওয়া হয় কেন ? Read More »

কেরােসিন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও মােমের দহন ব্যাখ্যা করো ।

কেরােসিন, প্রাকৃতিক গ্যাস, মােম এগুলাের মূল উপাদান হাইড্রোকার্বন। হাইড্রোকার্বন হচ্ছে শুধুমাত্র কার্বন আর হাইড্রোজেনের যৌগ। তাই যখন এগুলাের দহন ঘটে তখন বাতাসের অক্সিজেনের সাথে এগুলাের বিক্রিয়া হয় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, আলাে আর তাপশক্তির সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস(CH4) + O2 → CO2 + H2O(g) + আলাে + তাপশক্তি প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন …

কেরােসিন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও মােমের দহন ব্যাখ্যা করো । Read More »

হাইড্রোকার্বন কাকে বলে? হাইড্রোকার্বন কী? হাইড্রোকার্বন বলতে কী বোঝ?

হাইড্রোকার্বন: শুধুমাত্র কার্বন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত জৈব যৌগসমূহকে হাইড্রোকার্বন বলে । যেমন-কেরােসিন, প্রাকৃতিক গ্যাস, মােম এগুলাের মূল উপাদান হাইড্রোকার্বন| অন্যভাবে বলা যায়, যে সকল জৈব যৌগসমূহ  শুধুমাত্র  কার্বন ও হাইড্রোজেন এর সমন্বয়ে গঠিত হয়, তাদেরকে হাইড্রোকার্বন বলে। আবার আর একভাবে বলা যায়,  হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত জৈব যৌগকে হাইড্রোকার্বন বলে।যেমন: মিথেন …

হাইড্রোকার্বন কাকে বলে? হাইড্রোকার্বন কী? হাইড্রোকার্বন বলতে কী বোঝ? Read More »

কাঁচা আম টক কিন্তু পাকা আম মিষ্টি লাগে কেন ?

আমরা জানি, এসিড  টক স্বাদযুক্ত । কাঁচা আমে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে যেমন; সাক্সিনিক এসিড (C4H6O4), ম্যালেয়িক এসিড(C4H4O4) প্রভৃতি থাকে, ফলে কাঁচা আম টক। কিন্তু আম যখন পাকে তখন এই এসিডগুলাের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে গ্লুকোজ(C6H12O6) ও ফুক্টোজের(C6H12O6) সৃষ্টি হয়। আর গ্লুকোজ ও ফুক্টোজ মিষ্টি স্বাদ যুক্ত। তাই পাকা আম মিষ্টি।

কাকে আধুনিক রসায়নের জনক বলা হয়?

অ্যান্টনিকে ল্যাভয়সিয়ে আধুনিক রসায়নের জনক বলা হয়।   অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে সমন্ধে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে ।

রসায়নের প্রকৃত রহস্য উদ্ভাবন করে রসায়ন চর্চা প্রথম শুরু করেন কারা ?

রসায়নের প্রকৃত রহস্য উদ্ভাবন করে রসায়ন চর্চা প্রথম শুরু করেন অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে, রবার্ট বয়েল, স্যার ফ্রান্সিস বেকন এবং জন ডাল্টনসহ অন্যান্য বিজ্ঞানী।   বিজ্ঞানীদের সমন্ধে বিস্তারিত জানতে নামের উপর ক্লিক করুন । অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে রবার্ট বয়েল স্যার ফ্রান্সিস বেকন জন ডাল্টন

রসায়নের প্রকৃত রহস্যগুলাে জাবির ইবনে-হাইয়ান এর কাছে পরিষ্কার ছিল না কেন ?

জাবির ইবনে-হাইয়ান বিশ্বাস করতেন সকল পদার্থ মাটি, পানি, আগুন আর বাতাস দিয়ে তৈরি। তাই তিনি গবেষণা করলেও রসায়নের প্রকৃত রহস্যগুলাে তার কাছে পরিষ্কার ছিল না।   জাবির ইবনে-হাইয়ান সমন্ধে জানতে নিচের নামের উপর ক্লিক করুন । জাবির ইবনে-হাইয়ান

Chemistry বা রসায়ন শব্দের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করো

মধ্যযুগীয় আরবের রসায়ন চর্চাকে আলকেমি (Alchemy) বলা হতাে আর গবেষকদের বলা হতাে আলকেমিস্ট (Alchemist)। আলকেমি শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ আল-কিমিয়া থেকে। আল-কিমিয়া শব্দটি আবার এসেছে কিমি (Chemi বা Kimi) শব্দ থেকে। এই chemi শব্দ থেকেই chemistry শব্দের উৎপত্তি, যার বাংলা প্রতিশব্দ হলাে রসায়ন।

রসায়নের ইতিহাসে প্রথম পদ্ধতিগতভাবে রসায়নের চর্চা বা রসায়নের গবেষণা সমন্ধে আলোচনা করো ?

মধ্যযুগে আরবের মুসলিম দার্শনিকগণ কপার, টিন, সিসা এসব স্বল্পমূল্যের ধাতু থেকে সােনা তৈরি করতে চেষ্টা করেছিলেন। তাদের আরেকটি চেষ্টা ছিল এমন একটি মহৌষধ তৈরি করা, যা খেলে মানুষের আয়ু অনেক বেড়ে যাবে। তারা অবশ্য এগুলােতে সফল হননি। তবে তারা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলেন। ফলে সােনা বানাতে না পারলেও বিভিন্ন পদার্থ মিশিয়ে সােনার মতাে দেখতে এমন …

রসায়নের ইতিহাসে প্রথম পদ্ধতিগতভাবে রসায়নের চর্চা বা রসায়নের গবেষণা সমন্ধে আলোচনা করো ? Read More »

অ্যারিস্টটলসহ অন্য দার্শনিকেরা পদার্থের গঠন সমন্ধে কী মনে করতেন ?

 অ্যারিস্টটলসহ অন্য দার্শনিকেরা মনে করতেন সকল পদার্থ মাটি, আগুন, পানি ও বাতাস মিলে তৈরি হয়।  অ্যারিস্টটল সমন্ধে আরো জানতে নামের উপর ক্লিক করুন ।  

গ্রিক দার্শনিক ডেমােক্রিটাস পদার্থের গঠন সমন্ধে কী ঘােষণা করেন ?

খ্রিস্টপূর্ব 38০ অব্দের দিকে গ্রিক দার্শনিক ডেমােক্রিটাস ঘােষণা করেন যে, প্রত্যেক পদার্থকে ভাঙতে থাকলে শেষ পর্যায়ে এমন এক ক্ষুদ্র কণা পাওয়া যাবে যাকে আর ভাঙা যাবে না। তিনি এর নাম দেন অ্যাটম (Atom অর্থ indivisible বা অবিভাজ্য)। ডেমােক্রিটাস সম্পর্কে আরো তথ্য ।  

ব্রোঞ্জ কেন ব্যবহার করা হতো ?

খ্রিষ্টপূর্ব 3000 থেকে 1000 পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় ব্রোঞ্জ যুগ। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করতে ধাতুর চেয়ে সংকর ধাতু বেশি উপযােগী। ব্রোঞ্জ দিয়ে ভালাে মানের অস্ত্র তৈরি করা হতাে। তখনকার মানুষ পশু শিকার, ফসল ফলানাে, জ্বালানি হিসেবে কাঠ সংগ্রহসহ প্রয়ােজনীয় অনেক কাজে এ অস্ত্র ব্যবহার করত। এ ব্রোঞ্জ তখনকার মানবজাতির জন্য এক অতিপ্রয়ােজনীয় পদার্থে পরিণত হয়। …

ব্রোঞ্জ কেন ব্যবহার করা হতো ? Read More »

কখন ব্রোঞ্জ অবিষ্কার হয় ?

খ্রিস্টপূর্ব 3500 অব্দের দিকে কপার ও টিন ধাতুকে গলিয়ে তরলে পরিণত করে এবং এ দুটি তরলকে একত্র মিশিয়ে অতঃপর মিশ্রণকে ঠাণ্ডা করে কঠিন সংকর ধাতুতে (alloy) পরিণত করা হয়। এ সংকর ধাতুর নাম ব্রোঞ্জ।

ব্রোঞ্জ কী ? ব্রোঞ্জ কাকে বলে ?

কপার ও টিন ধাতুকে গলিয়ে তরলে পরিণত করে এবং এ দুটি তরলকে একত্র মিশিয়ে অতঃপর মিশ্রণকে ঠাণ্ডা করে কঠিন সংকর ধাতুতে (alloy) পরিণত করা হয়। এ সংকর ধাতুর নাম ব্রোঞ্জ। ব্রোঞ্জ এ Cu=90% ও Sn=10% থাকে ।

সংকর ধাতু কাকে বলে ? সংকর ধাতু কী ?

কতকগুলাে ধাতুকে একত্রে গলানাের পর গলিত মিশ্রণকে ঠাণ্ডা করলে যে ধাতু মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে সংকর ধাতু বলা হয়।  অথবা  কোনাে গরম গলিত ধাতুর মধ্যে অন্য কোনাে গরম গলিত ধাতু বা অধাতু মিশিয়ে সেই মিশ্রণকে ঠাণ্ডা করলে যে কঠিন পদার্থ পাওয়া যায় তাকে বলা হয় সংকর ধাতু।

প্রথম ব্যবহৃত ধাতু কী এবং প্রাচীনকাল থেকে মানুষ কী কী ধাতু ব্যবহার করছে ?

প্রথম ব্যবহৃত ধাতু হলাে সােনা। এছাড়া সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ তামা বা কপার, রুপা, টিন এসব ধাতু ব্যবহার করছে।

কখন থেকে রসায়নের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে ?

সম্ভবত প্রথম যেদিন দুটি পাথরকে ঘষে মানুষ আগুন জ্বালাতে শিখল সেসময় থেকেই এই রসায়নের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে।

প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের শাখাগুলো কী কী ?

প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের শাখাগুলো : প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পদার্থবিজ্ঞান (Physics), রসায়ন (Chemistry), উদ্ভিদবিদ্যা (Botany), প্রাণিবিদ্যা (Zoology), অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology), জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astronomy), মৃত্তিকাবিজ্ঞান (Soil Science) ইত্যাদি শাখা রয়েছে।

রসায়ন কাকে বলে? রসায়ন কী?

বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের গঠন, পদার্থের ধর্ম এবং পদার্থের পরিবর্তন নিয়ে আলােচনা করা হয় তাকে রসায়ন বলে। রসায়ন কাকে বলে? প্রশ্নটির উত্তর আমরা অন্যভাবেও দিতে পারি। যেমন: বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের গঠন (কাঠামো), উপাদান(কি কি মৌল দ্বারা পদার্থ গঠিত হয় হয়), ভৌত ধর্ম, রাসায়নিক ধর্ম, পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া ও বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন পদার্থ,উৎপন্ন তাপ বা শোষিত …

রসায়ন কাকে বলে? রসায়ন কী? Read More »

প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের কাজ কী ?

বিজ্ঞানের একটি শাখা হলাে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (Natural Science)। যুক্তি দিয়ে, পর্যবেক্ষণ করে অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাকৃতিক কোনাে বিষয় সম্বন্ধে বােঝা বা তার ব্যাখ্যা দেওয়া বা সে সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করাই হলাে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের কাজ।

প্রাকৃতিক বিজ্ঞান কাকে বলে ?

বিজ্ঞানের যে  শাখায় যুক্তি দিয়ে, পর্যবেক্ষণ করে অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাকৃতিক কোনাে বিষয় সম্বন্ধে বােঝা বা তার ব্যাখ্যা দেওয়া বা সে সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় তাকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান  বলে।  

error: Content is protected !!