কোন পদ্ধতিতে ঘনীকৃত আকরিককে ধাতুর অক্সাইডে পরিণত করা হয়?
ঘনীকৃত আকরিককে ভষ্মীকরণ বা তাপজারণ পদ্ধতিতে ধাতুর অক্সাইডে পরিণত করা হয়।
ঘনীকৃত আকরিককে ভষ্মীকরণ বা তাপজারণ পদ্ধতিতে ধাতুর অক্সাইডে পরিণত করা হয়।
সাধারণত সালফাইড আকরিকগুলাের ক্ষেত্রে ফেনা ভাসমান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। একটি বড় ট্যাংকে আকরিক নিয়ে এর মধ্যে পানি দেওয়া হয়, তারপর এর মধ্যে অল্প অল্প করে তেল যােগ করা হয়। এরপর এই মিশ্রণের মধ্যে বায়ুপ্রবাহ চালনা করলে সালফাইড আকরিকগুলাে তেলে দ্রবীভূত হয় এবং ফেনার আকারে ভেসে উঠে। ফেনাসহ আকরিক পৃথক করে নেওয়া হয় এবং খনিজমল …
কোন ক্ষেত্রে ফেনা ভাসমান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এবং কেন ? পদ্ধতিটি বর্ণনা করো । Read More »
সাধারণত অক্সাইড আকরিকের ক্ষেত্রে হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অক্সাইড আকরিকের কণাগুলাে ভারী হয়। আর এতে থাকা অপদ্রব্যগুলাে কিন্তু তুলনামূলক হালকা হয়। এই পদ্ধতিতে ১টি কম্পমান হেলানাে খাঁজকাটা টেবিলের মধ্যে আকরিককে ঢালা হয়, এই আকরিকের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত করা হয়। এতে ভারী আকরিক ঘনীভূত হয়ে খাঁজের মধ্যে পড়ে থাকে এবং হালকা খনিজমলসমূহ পানির প্রবাহে …
কোন ক্ষেত্রে হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এবং কেন ? পদ্ধতিটি বর্ণনা করো । Read More »
আকরিকের ঘনীকরণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন: হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতি, চৌম্বকীয় পৃথকীকরণ, ফেনা ভাসমান পদ্ধতি, রাসায়নিক পদ্ধতি ইত্যাদি।
আকরিকের সাথে মিশ্রিত খনিজমলসমূহকে দূর করে বিশুদ্ধ আকরিক পাওয়ার জন্য যে পদ্ধতি প্রয়ােগ করা হয় তাকে আকরিকের ঘনীকরণ বলা হয়।
খনিতে আকরিকের সাথে বালি, কাদামাটি, পাথর ও কতিপয় অধাতব পদার্থ অপদ্রব্য বা ভেজাল মিশ্রিত থাকে। আকরিকের সাথে মিশ্রিত থাকা এসব পদার্থকে অপদ্রব্য বা খনিজমল বলে। যেমন—বক্সাইট আকরিককে খনি থেকে তােলার সময় বক্সাইট আকরিকের সাথে খনিজমল হিসেবে বালি মিশ্রিত থাকে।
ধাতু নিষ্কাশন কাকে বলে এটি একটি কমন প্রশ্ন । নিচে ধাতু নিষ্কাশন কাকে বলে এর সংজ্ঞা ও ধাতু নিষ্কাশন সমন্ধে আলোচনা করা হলো: ধাতু নিষ্কাশনের সংজ্ঞা: যে পদ্ধতিতে আকরিক থেকে ধাতু সংগ্রহ করা হয় তাকে ধাতু নিষ্কাশন বলে।
মাধ্যাকর্ষণ বল, তাপ, চাপ এবং প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে মাটির নিচে শিলা বিভিন্ন স্তর সৃষ্টি করে।
যে অঞ্চল থেকে খনিজ উত্তোলন করা হয় তাকে খনি বলে।
বিভিন্ন খনিজ পদার্থ প্রাকৃতিকভাবে মিশ্রিত হয়ে কিছু শক্ত কণা তৈরি হয়, ঐ শক্ত কণাসমূহ একত্র হয়ে যে পদার্থ তৈরি হয় তাকে শিলা বলে। মাটির নিচে শিলা বিভিন্ন স্তরে সজ্জিত থাকে।
রূপান্তরিত শিলা: আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা বিভিন্ন তাপ ও চাপে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধরনের যে শিলা তৈরি হয় সেগুলােকে রূপান্তরিত শিলা বলে। যেমন: কয়লা।
পাললিক শিলা: আবহাওয়া ও জলবায়ু ইত্যাদি পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টির পানি, বাতাস, কুয়াশা, ঝড় ইত্যাদির কারণে মাটির উপরিভাগের ভূ-ত্বকের কাদামাটি, বালিমাটি ইত্যাদি ধুয়ে কোনাে কোনাে জায়গায় পলি আকারে জমা হয় তারপরে পলির মধ্যে জমে থাকা কণাগুলাে বিভিন্ন স্তরে স্তরে সজ্জিত হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। যেমন— বেলেপাথর।
আবহাওয়া ও জলবায়ু ইত্যাদি পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টির পানি, বাতাস, কুয়াশা, ঝড় ইত্যাদির কারণে মাটির উপরিভাগের ভূ-ত্বকের কাদামাটি, বালিমাটি ইত্যাদি ধুয়ে যে তলানি জমে তাকে পলি বলে।
আগ্নেয় শিলা: আগ্নেয়গিরি থেকে যে গলিত পদার্থসমূহের মিশ্রণ বের হয় তাকে ম্যাগমা বলে। ম্যাগমা যখন ঠাণ্ডা হয়ে কঠিন পদার্থে পরিণত হয় তখন তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। যেমন—গ্রানাইট। আগ্নেয় শিলা থেকে অনেক মূল্যবান খনিজ পাওয়া যায়।
ম্যাগমা: আগ্নেয়গিরি থেকে যে গলিত পদার্থসমূহের মিশ্রণ বের হয় তাকে ম্যাগমা বলে।
শিলার প্রকারভেদ: শিলা যেভাবে তৈরি হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে শিলা সাধারণত তিন প্রকার: যথা (i) আগ্নেয় শিলা (ii) পাললিক শিলা ও (ii) রূপান্তরিত শিলা
শিলা: বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশ্রিত হয়ে কিছু শক্ত কণা তৈরি হয়, ঐ শক্ত কণাসমূহ একত্র হয়ে যে পদার্থ তৈরি হয় তাকে শিলা বলে।
ভূত্বকের প্রধান উপাদানসমূহ: ভূত্বক হলো পৃথিবীর উপরিভাগে বাহিরের দিকের আবরণ। এর প্রধান প্রধান উপাদানসমূহ নিম্নরূপ: ম্যাগনেসিয়াম =২%, অন্যান্য =২%, সােডিয়াম=৩%, পটাশিয়াম=৩%, ক্যালসিয়াম =৪% , আয়রন= ৫% , অ্যালুমিনিয়াম= (৮)৮.৪% , সিলিকন= ২৭%, অক্সিজেন =৪৬%
ভূত্বক: পৃথিবীর উপরিভাগে বাহিরের দিকের আবরণকে ভূত্বক বলে। পৃথিবী সৃষ্টির সময় অত্যন্ত উত্তপ্ত ছিল । কোটি কোটি বছর ধরে ঘূর্ণন ও তাপ বিকিরণের ফলে এটি ধীরে ধীরে শীতল হয়ে তরল অবস্থায় প্রাপ্ত হয়। এই তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণের ফলে পৃথিবীর উপরিভাগ ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে কঠিন হয়ে ভূত্বক গঠিত হয় ।
আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় যা রান্নার কাজে, যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পেট্রোলিয়ামের খনিজ রয়েছে, যা তারা সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করছে এবং সমস্ত পৃথিবীর খনিজ তেলের চাহিদা পূরণ করছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে রয়েছে সােনা ও হীরার খনিজ। এছাড়া বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন …
খনিজগুলােকে খনিজ সম্পদ বলা হয় কেন ? খনিজগুলােকে একত্রে কী বলে এবং কেন? Read More »
খনিজ সম্পদ: কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় খনিজগুলােকে একত্রে খনিজ সম্পদ বলা হয়।
খনিজের প্রকারভেদ: খনিজ পদার্থ বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন প্রকারের। মৌল ও যৌগ বিবেচনায় খনিজ পদার্থ দুই প্রকার। যথা : মৌলিক খনিজ ও যৌগিক খনিজ। মৌলিক খনিজ : যে সকল খনিজকে প্রকৃতিতে মৌলিক পদার্থ রূপে পাওয়া যায় তাদেরকে মৌলিক খনিজ বলে। যেমন –স্বর্ণ, হীরা, গন্ধক, ইত্যাদি যৌগিক খনিজ : যে সকল খনিজকে প্রকৃতিতে যৌগিক পদার্থ রূপে পাওয়া …
খনিজ কত প্রকার ও কী কী? খনিজের প্রকারভেদ আলোচনা করো। Read More »
খনিজের সংজ্ঞা: মাটি, পানি বা বায়ুমণ্ডলের যে অংশ থেকে বিভিন্ন ধাতু, অধাতু, উপধাতু বা তাদের বিভিন্ন যৌগ সংগ্রহ করা হয় তাকে খনিজ বলে।