NaCl(aq) + AgNO3(aq) → ? এর ব্যাখ্যা:
যে বিক্রিয়ায় তরল বিক্রিয়ক পদার্থ বিক্রিয়া করে কঠিন উৎপাদে পরিণত হয় তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।
সােডিয়াম ক্লোরাইডের (NaCl) জলীয় দ্রবণের মধ্যে সিলভার নাইট্রেট (AgNO3) জলীয় দ্রবণ যােগ করলে তাদের মধ্যে বিক্রিয়া ঘটে, ফলে সিলভার ক্লোরাইড (AgCl) এবং সােডিয়াম নাইট্রেট (NaNO3) উৎপন্ন হয়। পানিতে NaNO3 এর দ্রবণীয়তা বেশি। তাই NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। কিন্তু পানিতে AgCl এর দ্রবণীয়তা অত্যন্ত কম বলে তা বিক্রিয়ার পর পাত্রের তলায় অধঃক্ষেপ হিসেবে জমা হয়৷
NaCl(aq) + AgNO3(aq) → AgCl(s) ↓+ NaNO3(aq)
সুতরাং এটি একটি অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া।
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে না অর্থাৎ কোনাে পরমাণুর জারণ সংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে না, তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে । উপরিউক্ত বিক্রিয়ায় প্রকৃতপক্ষে সিলভার নাইট্রেটের সিলভার আয়ন (Ag+) ও সােডিয়াম ক্লোরাইডের ক্লোরাইড আয়ন (Cl–) পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে সিলভার ক্লোরাইডের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। সােডিয়াম নাইট্রেট জলীয় দ্রবণে সােডিয়াম আয়ন (Na+) ও নাইট্রেট আয়ন (NO3–) হিসেবে থাকে। জলীয় দ্রবণে সােডিয়াম আয়ন (Na+) ও নাইট্রেট আয়ন (NO3–) বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না। তাই এদেরকে দর্শক আয়ন বলে। আবার এ বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদে Na+, CI– , Ag+ ও NO3 –এর জারণ সংখ্যার কোনাে পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বিক্রিয়াটিতে ইলেক্ট্রনের কোনাে আদান-প্রদান বা স্থানান্তর ঘটেনি। তাই এটি একটি নন রেডক্স বিক্রিয়া।
Na+ (aq) + Cl– (aq) + Ag+(aq) + NO3–(aq) → Na+ (aq) + NO3– (aq) + AgCl(s)↓
অর্থাৎ Ag+ (aq) + Cl– (aq) → AgCl(s) ↓
সুতরাং প্রদত্ত বিক্রিয়াটি শুধু একটি অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া নয় একই সাথে নন-রেডক্স বিক্রিয়াও বটে ।