এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া( যদি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়):
চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে – জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ রবিবার (১৩-০৬-২০২১ তারিখ ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,
“১৩ই জুন আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি আমাদের ছিল, কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ২০ টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে । প্রায় ১০ জেলার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন চলছে ।এই পরিস্থিতিতে আমরা বাধ্য হয়েছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াতে ।করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হই। এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে, তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে স্কুল-কলেজ খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরো বলেন,” বিশেষ করে যারা এবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা উদ্বেগটা আসলে তাদেরই সবচেয়ে বেশি। আমরা ভেবেছিলাম যে, তাদেরকে আমরা ক্লাস খুলে দিতে পারলে এসএসসি জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসি জন্য ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে তারপর পরীক্ষা নিতে পারবো। এখন সেটিও যদি না হয় আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি।
এদিকে ১৭-৫-২০২১ তারিখে এসএসসি – এইচএসসি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২০২২ প্রকাশ করা হয়েছে ।
২০২২ সালের এসএসসি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিবলেন:
তাদের স্বাভাবিক পড়াশুনাটি বাড়িতে যেটুকু সম্ভব ততটুকু চালিয়ে যাক। তাদের উদ্বেগ এর কোনো কারণ নেই। এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না যাতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় । আমাদের এই যে ক্ষতি সামগ্রিক শিক্ষা ব্যাবস্থার ক্ষতি এবং এই ক্ষতি কিন্তু সারা বিশ্বে হছে ।এখন পরীক্ষা আমরা নিতে পারবো কি না, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কি ব্যবস্থা নিয়েও আমাদের চিন্তাভাবনা রয়েছে ।আমরা একেবারে প্রস্তুতির দিকেই আমরা যাচ্ছি ।
শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে যারা ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থী তাদের উদ্দেশে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন,
“আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না, আপনারা ভুল পথে যাবেন না। নিজেরা বাড়িতে নিজেদের সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কাজ করুন, কোনো খারাপ কিছুতে নিজেদের জড়িয়ে ফেলবেন না। আপনাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরীক্ষা দিতে হবে কিনা সেটি পরের কথা। নিজেরা নিজেদের যতটুকু শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে, নিজেদের পাঠের ,পাঠ্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রাখা সম্ভব সেটিই রাখুন। নিজে সুস্থ থাকুন। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা সুস্থ থাকুক। পরীক্ষা এক বছর না দিলে জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না।কিন্তু আপনাদের সুস্থতা, আপনাদের জীবন সেটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ।কাজেই আমরা সে ব্যবস্থাটি করবো।”
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরো উল্লেখ করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থার যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য নানা পদক্ষেপ হাতে নেয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ব্যাপারেও এই পরিস্থিতিতে আরো কী করা যায় আমরা সেগুলো নিয়েও ভাবছি। আপনারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবেন না।”
করোনাভাইরাসের মহামারীতে ১৭-৩-২০২০ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।এরই মধ্যে সরকার কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনার কথা জানালেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় কয়েক দফায় দফায় ছুটি বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।