সাংকেতিক চিহ্ন | পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা | সাবধানতা | উদাহরণ |
|
যে সকল পদার্থ অস্থিতিশীল এবং নিজে নিজেই বিক্রিয়া করতে পারে তাদেরকে বিস্ফোরক পদার্থ বলে। বিস্ফোরক পদার্থ চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থ থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। এসব পদার্থ ব্যবহারের সময় মনে রাখতে হবে এসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন লাগলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং গবেষণাগারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এইসব রাসায়নিক উপাদান চাপ, তাপ ,ঘর্ষণ ও আঘাতের ফলে বিস্ফোরিত হয়ে থাকে। |
এ দ্রব্যগুলাে খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে।
এই পদার্থগুলোকে খুব সাবধানে নিরাপদ স্থানে ল্যাবরেটরি একপাশে সংরক্ষণ করা উচিত। ঘর্ষণ হতে পারে এমন অবস্থা এড়িয়ে রাখা, অন্য পদার্থের সাথে মিশ্রণের সময় অতি ধীরে যুক্ত করা, তাপ ও আগুন থেকে দূরে রাখা উচিত। |
টিএনটি(ট্রাই নাইট্রো টলুইন),জৈবপার-অক্সাইড, নাইট্রোগ্লিসারিন ইত্যাদি এ ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ। |
|
যে সকল পদার্থে খুব সহজেই আগুন ধরে যায় এবং প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়, তাদেরকে দাহ্য পদার্থ বলে। দাহ্য পদার্থে দ্রুত আগুন ধরে যেতে পারে। এসব পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় হতে পারে । এরা বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে। | এদের আগুন বা তাপ থেকে সব সময় দূরে রাখতে হবে। ঘর্ষণ হতে পারে এমন অবস্থা এড়িয়ে রাখতে হবে। | অ্যালকোহল,ইথার ইত্যাদি।
এছাড়াও অ্যারোসল, পেট্রোলিয়াম, টলুইন ইত্যাদি। |
বিষাক্ত পদার্থ (Toxic substance) |
বিষাক্ত পদার্থ চিহ্নধারী পদার্থ বিষাক্ত প্রকৃতির। তাই শরীরে লাগলে বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। | এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস, মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। | বেনজিন, ক্লোরােবেনজিন, মিথানল এ ধরনের পদার্থ। |
উত্তেজক পদার্থ (Irritant substance) |
উত্তেজক পদার্থ ত্বক, চোখ, শ্বাসতন্ত্র ইত্যাদির ক্ষতি করে। | উত্তেজক পদার্থ ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস, মাস্ক এগুলাে ব্যবহার করতে হবে। | সিমেন্ট ডাস্ট, লঘু এসিড, ক্ষার, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি উত্তেজক পদার্থ |
|
স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ ধরনের পদার্থ ত্বকে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিসাধন করে। এগুলাে শরীরের মধ্যে গেলে ক্যানসারের মতাে কঠিন রােগ হতে পারে কিংবা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে। | এই পদার্থগুলােকে সতর্কভাবে রাখতে হবে এবং ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস, মাস্ক এগুলাে পরে নিতে হবে। | বেনজিন, টলুইন, জাইলিন ইত্যাদি। |
![]() |
তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে ক্ষতিকারক রশ্মি বের হয় যা ক্যানসারের মতাে মরণব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে কিংবা একজনকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। | তাই এসব পদার্থ ব্যবহারের সময় বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়ােজন। | ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ। |
|
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর চিহ্নধারী পদার্থগুলাে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক। | এগুলােকে ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সতর্ক হওয়া প্রয়ােজন। আবার, ব্যবহারের পরে যেখানে-সেখানে না ফেলে তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। এসব পদার্থকে যথাসম্ভব পুনরুদ্ধার করে আবার ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এগুলাে সহজে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। | লেড, মার্কারি ইত্যাদি৷ |
|
ক্ষত সৃষ্টিকারী চিহ্নধারী পদার্থ শরীরে লাগলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে তা শরীরের ভেতরের অঙ্গেরও ক্ষতিসাধন করতে পারে। | এসব পদার্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। | হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের ঘন দ্রবণ এ জাতীয় পদার্থের উদাহরণ। |