একটি পরীক্ষার সাহায্যে সবল ও দুর্বল এসিড অথবা সবল ও দুর্বল ক্ষার সনাক্ত করো।

কোন এসিডটি সবল এবং কোন এসিডটি দুর্বল তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। একটি বিকারে 50 mL লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিয়ে বিকারের মধ্য দুটি গ্রাফাইট দণ্ড এমনভাবে বসাই যাতে তারা একে অপরের সাথে স্পর্শ না করে। এবার একটি গ্রাফাইট দণ্ডকে ১টি তারের সাথে ব্যাটারির এক প্রান্তে এবং অপর গ্রাফাইট দণ্ডকে তারের সাথে বাল্বের মধ্যে দিয়ে ব্যাটারির অপর প্রান্তের সাথে যুক্ত করি। দেখা যাবে, বাল্বটি জ্বলে উঠেছে। এবার বাল্বটির আলাের উজ্জ্বলতার দিকে খেয়াল করি ।

ইথায়নিক এসিড একটি মৃদু এসিড । এবার অন্য একটি বিকারে ইথানয়িক এসিড নিয়ে এই মৃদু এসিড দ্রবণের মধ্যেও দুটি গ্রাফাইট দণ্ডকে প্রবেশ করি । এবার একটি গ্রাফাইট দণ্ডকে একটি তারের সাথে ব্যাটারির এক প্রান্তে এবং অপর গ্রাফাইট দণ্ডকে তারের সাথে বাল্বের মধ্য দিয়ে ব্যাটারির অপর প্রান্তের সাথে যুক্ত করি দেখা যাবে,  বাল্বটি জ্বলে উঠেছে। এবার বাল্বটির আলাের উজ্জ্বলতার দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে , HCl দ্রবণে বাল্বটি যে পরিমাণ উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করেছিল ইথানয়িক এসিড দ্রবণ তার চেয়ে কম পরিমাণ উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করেছে।

ব্যাখ্যা:

তীব্র বা সবল এসিড জলীয় দ্রবণে মৃদু বা দুর্বল এসিড অপেক্ষা অধিক পরিমাণে H+ সরবরাহ করে। অধিক পরিমাণে H+ জলীয় দ্রবণে অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে। এজন্য বাল্বটি অধিক উজ্জ্বলতার সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে, মৃদু এসিড জলীয় দ্রবণে তীব্র এসিড অপেক্ষা কম পরিমাণে H+ সরবরাহ করে। কম পরিমাণে H+ জলীয় দ্রবণে কম পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে। এজন্য বাল্বটি কম উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করে।

মৃদু এসিড → কম পরিমাণে H+ (প্রােটন) উৎপন্ন হয়।

তীব্র এসিড → বেশি পরিমাণে H+ (প্রােটন) উৎপন্ন হয়।

এই পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয় HCl তীব্র এসিড , পক্ষান্তরে  CH3COOH(aq) মৃদু এসিড ।)

(একইভাবে তীব্র ক্ষার NaOH ও মৃদু ক্ষার NH4OH নিয়েও পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, NaOH দ্রবণ বাল্বটির অধিক উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে, NH4OH দ্রবণ বাল্বটির কম উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করে। এই পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয় NaOH তীব্র ক্ষার, পক্ষান্তরে NH4OH মৃদু ক্ষার।)

Leave a Comment

error: Content is protected !!