SSC CHEMISTRY CHAPTER-9

খর পানিতে সাবান ঘষলে সহজে ফেনা উৎপাদন করে না কেন? খর পানিতে সাবান ফেনা তৈরি করে না কেন?

সাবান হলাে উচ্চতর জৈব এসিডের সােডিয়াম বা পটাসিয়াম লবণ ।যেমন: সােডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COOa)। খর পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি লবণ দ্রবীভূত থাকার কারণে সাবান খর পানিতে ফেনা তৈরি করতে পারে না। খর পানিতে সাবান যােগ করলে তা পানিতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম আয়ন ও ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি আয়নের সাথে বিক্রিয়ায় অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম স্টিয়ারেট ও ম্যাগনেসিয়াম  স্টিয়ারেট ইত্যাদি উৎপন্ন …

খর পানিতে সাবান ঘষলে সহজে ফেনা উৎপাদন করে না কেন? খর পানিতে সাবান ফেনা তৈরি করে না কেন? Read More »

পানির পাইপ বা কলকারখানাতে বয়লারের ভিতরে খর পানি ব্যবহার করলে কী ঘটে ?

পানির পাইপ বা কলকারখানাতে বয়লারের ভিতরে খর পানি ব্যবহার করলে খর পানিতে বিদ্যমান বিভিন্ন খনিজ লবণ পাইপের গায়ে জমা হয়। ফলে পাইপের গায়ে মােটা আস্তরণ পড়ে। এতে পানির পাইপে পানি প্রবাহে বাধা পায়। বয়লারে তাপের অপচয় ঘটে এমনকি বয়লার ফেটে বিস্ফোরণ পর্যন্ত ঘটতে পারে।

কোন ধরনের পানিতে সাবান অপচয় হয় এবং কেন?

খর পানিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের লবণ দ্রবীভূত থাকে। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আয়ন সাবানের সাথে বিক্রিয়ায় অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সাবান উৎপন্ন করে যা পানির উপর পাতলা সরের মত ভাসতে থাকে । ফলে ময়লা কাপড় পরিষ্কার হয়না। তাই খর পানিতে সাবানের অপচয় হয়।

খর পানি কাকে বলে? খর পানি কী? খর পানি কাকে বলে? খর পানির সংজ্ঞা দাও

পানিতে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের ক্লোরাইড, সালফেট, কার্বনেট , বাইকার্বনেট ইত্যাদি লবণ দ্রবীভূত থাকলে উক্ত পানি সাবানের সাথে সহজে ফেনা উৎপন্ন করে না। এ ধরনের পানিকে খর পানি বলে। যেমন : সমুদ্রের পানি, গভীর নলকূপের পানি, ঝরনার পানি ইত্যাদি।

মৃদু পানি কাকে বলে? মৃদু পানি কী? মৃদু পানি বলতে কী বোঝ? সংজ্ঞা: মৃদু পানি

যে পানি সহজে সাবানের সাথে ফেনা উৎপন্ন করে তাকে মৃদু পানি বলে। যেমন : রাসায়নিকভাবে বিশুদ্ধ পানি, বৃষ্টির পানি ইত্যাদি।

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাসগুলাে কী কী? এদের মধ্যে কোন কোন বিক্রিয়া ঘটে?

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাসগুলাে হলাে SO2 , SO3 ,  CO2 ,  NO2।  কারণ এসব গ্যাস রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে সব এসিড তৈরি করে সে গুলাে বৃষ্টির সাথে মিশে এসিড বৃষ্টিরূপে পতিত হয়। সংঘটিত বিক্রিয়া সমূহ: SO2 + H2O → H2SO3 SO3 + H2O →  H2SO4 2NO2 + H2O → HNO3 + HNO2 CO2 …

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাসগুলাে কী কী? এদের মধ্যে কোন কোন বিক্রিয়া ঘটে? Read More »

কীভাবে এসিড বৃষ্টির উদ্ভব হয়?

বায়ুর CO2, NO2 এবং SO2 জলীয়বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে যথাক্রমে H2CO3, HNO3, ও H2SO4 গঠন করে। SO2+ H2O → H2SO3 SO3 + H2O → H2SO4 2NO2 + H2O → HNO3 + HNO2 CO2 + H2O → H2CO3 গঠিত এসিডগুলাে বৃষ্টিপাতের সময় বৃষ্টির সাথে মিশে এসিড বৃষ্টি রূপে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়।

SO2 গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ-ব্যাখ্যা কর।

SO2 বায়ুর সাথে বিক্রিয়ার মাধ্যমে SO3 (সালফার ট্রাইঅক্সাইড) গ্যাস উৎপন্ন করে। SO2 ও SO3 গ্যাস বায়ুমন্ডলের পানির সাথে বিক্রিয়ায় যথাক্রমে H2SO3 (সালফিউরাস এসিড) ও H2SO4 (সালফিউরিক এসিড) উৎপন্ন করে যা বৃষ্টির সাথে ভূ-পৃষ্ঠে এসিড বৃষ্টিরূপে পতিত হয়। SO2 + H2O → H2SO3 SO3 + H2O → H2SO4 তাই বলা যায় SO2 গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম …

SO2 গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ-ব্যাখ্যা কর। Read More »

এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধের উপায় বর্ণনা করো। কীভাবে এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধ করা হয়?

এসিড বৃষ্টি পরিবেশের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে এসিড বৃষ্টি প্রতিরােধ করা সম্ভব বলে মনে হয় । -যে সকল গ্যাস এসিড বৃষ্টির জন্য দ্বায়ী তাদের  নিঃসরণ সহনীয় পর্যায়ে আনা ।  – নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফুয়েল সেল ব্যবহার করতে হবে । -নবায়নযােগ্য জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি করা । -সালফার মুক্ত …

এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধের উপায় বর্ণনা করো। কীভাবে এসিড বৃষ্টি প্রাতরােধ করা হয়? Read More »

.পরিবেশের উপর এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা করো । এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

এসিড বৃষ্টির ফলে মাটির pH এর মান কমে যায়। ফলে ফসল বা গাছপালার বিরাট ক্ষতি হয়। জলাশয়ের পানির pH এর মান কমে যায় অর্থাৎ মাটি ও পানি এসিডিক হয়ে যায়। এতে জীববৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বনভূমি ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যায়। মৎস্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। এমনকি বহু জীব …

.পরিবেশের উপর এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা করো । এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা কর। Read More »

পানির খরতার কারণ ব্যাখ্যা করাে। কীভাবে পানির খরতার সৃষ্টি হয়?

পানিতে বিভিন্ন ধাতু যেমন ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন ধাতুর কার্বনেট, সালফেট ও ক্লোরাইড লবণ দ্রবীভূত থাকলে তাকেই পানির খরতা বলে। পানির খরতার কারণ হলাে পানি চক্রের একটি উল্লেখযােগ্য অংশে পানি পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহ চলাকালে পানি মাটিতে উপস্থিত বিভিন্ন খনিজ লবণের সংস্পর্শে আসে এবং পানিতে লবণ দ্রবীভূত হয়। এ ছাড়া বৃষ্টির …

পানির খরতার কারণ ব্যাখ্যা করাে। কীভাবে পানির খরতার সৃষ্টি হয়? Read More »

শিল্প এলাকায় বৃষ্টির শুরুতে বৃষ্টির পানি পানের উপযােগী নয় কেন?

শিল্প এলাকায় বৃষ্টির শুরুতে বৃষ্টির পানি পানে উপযােগী নয়। কারণ শিল্প কারখানা হতে বায়ুমণ্ডলে SO2 , NO2 ,  CO2 ও ধূলাবালি ইত্যাদি নির্গত হয়। ফলে বৃষ্টির পানির সাথে এ সকল গ্যাসের বিক্রিয়ায় এসিড উৎপন্ন করে। তাই বৃষ্টির পানি এসিডিক হয়ে যায় । কিন্তু শিল্প কারখানা হতে নির্গত সমস্ত দূষণ বৃষ্টির পানির সাথে সম্পূর্ণরূপে বিক্রিয়া করার …

শিল্প এলাকায় বৃষ্টির শুরুতে বৃষ্টির পানি পানের উপযােগী নয় কেন? Read More »

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো। এসিড বৃষ্টি কিভাবে সৃষ্টি হয়? অম্ল বৃষ্টির কারণ গুলি কি কি?

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ: অধাতুর অক্সাইডগুলাে পানির সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন এসিড উৎপন্ন করে। বিশুদ্ধ বায়ুতে কিছু পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইড থাকে। প্রাণী শ্বাস ক্রিয়ার সময় বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। আবার, যে স্থানে বজ্রপাত হয় সেই স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা 3000°C সৃষ্টি হয়। এ তাপমাত্রায় বায়ুতে উপস্থিত N2 ও O2 বিক্রিয়া করে …

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো। এসিড বৃষ্টি কিভাবে সৃষ্টি হয়? অম্ল বৃষ্টির কারণ গুলি কি কি? Read More »

এসিড বৃষ্টি কী? এসিড বৃষ্টি কাকে বলে? এসিড বৃষ্টি বলতে কী বোঝ? এসিড বৃষ্টির সংজ্ঞা দাও।

এসিড বৃষ্টি: বৃষ্টির পানির সাথে বিভিন্ন এসিড (যেমনঃ H2SO4, HNO3, H2CO3 ইত্যাদি) মিশ্রিত থাকলে বষ্টির পানি অম্লীয় হয়ে পড়ে। এই এসিড মিশ্রিত বৃষ্টিকে এসিড বৃষ্টি বলে।

K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। K2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয়: সবল বা শক্তিশালী ক্ষারক বা ক্ষার এবং দূর্বল এসিডের বিক্রিয়ার ফলে যে সকল লবণ উৎপন্ন হয়, তারা জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরী করে। K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির। কারণ এটি দূর্বল এসিড  H2CO3 এবং সবল বা বা শক্তিশালী ক্ষারক KOH এর বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন লবণ। আয়নিক …

K2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। K2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। Read More »

CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। CuSO4 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়: যে সকল লবণ দূর্বল / মৃদু ক্ষারক বা ক্ষার ও সবল/ তীব্র/ শক্তিশালী এসিড বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হয়, তারা জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে অম্লীয় দ্রবণ তৈরী করে। CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয় । কারণ এটি দুর্বল ক্ষারক Cu(OH)2 এবং সবল এসিড H2SO4 এর লবণ । আয়নিক যৌগ CuSO4 জলীয় …

CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। CuSO4 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। Read More »

FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়।ব্যাখ্যা কর। FeCl3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়: সবল বা তীব্র বা শক্তিশালী এসিড ও মৃদু বা দুর্বল ক্ষার বা ক্ষারকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ অম্লীয় প্রকৃতির হয়।প্রদত্ত লবণটি  মৃদু  ক্ষারক Fe(OH)3 এবং তীব্র এসিড  HCl এর  প্রশমন বিক্রিয়ার ফলে FeCl3 লবণ উৎপন্ন হয়। Fe(OH)3 + 3HCl → FeCl3 + 3H2O আয়নিক যৌগ  FeCl3  জলীয় দ্রবণে আর্দ্র …

FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়।ব্যাখ্যা কর। FeCl3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। Read More »

এসিড ক্ষার নির্ধারণের pH মানের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে।

এসিড ক্ষার নির্ধারণের pH মানের ভূমিকা: কোনো যৌগ এসিড না ক্ষার তা নির্ধারণের pH  এর মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দ্রবণে pH মানের সীমা হচ্ছে ( 0-14) এর মধ্যে। দ্রবণে pH মান 7 এর কম হলে দ্রবণটি অম্লীয় অর্থাৎ এসিড হবে । আর pH মান 7 এর বেশি হলে তা ক্ষারীয় অর্থাৎ ক্ষার হবে। তবে pH …

এসিড ক্ষার নির্ধারণের pH মানের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে। Read More »

Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো।

Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয়: সবল বা শক্তিশালী ক্ষারক বা ক্ষার এবং দূর্বল এসিডের বিক্রিয়ার ফলে যে সকল লবণ উৎপন্ন হয়, তারা জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরী করে। Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির। কারণ এটি দূর্বল এসিড  H2CO3 এবং সবল বা  শক্তিশালী ক্ষারক NaOH এর বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন লবণ । আয়নিক …

Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন? ব্যাখ্যা কর। Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো। Read More »

লবণের জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো।

তীব্র এসিড ও তীব্র ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ নিরপেক্ষ প্রকৃতির। যেমন- NaCl, Na2SO4 ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ নিরপেক্ষ। তীব্র এসিড ও মৃদু ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ অম্লীয় প্রকৃতির। যেমন- FeCl3, Zn(NO3)2 ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ অম্লীয়। তীব্র ক্ষার ও মৃদু এসিডের জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির, যেমন– Na2CO3 , CH3COONa (সােডিয়াম ইথানয়েট) ইত্যাদির জলীয় …

লবণের জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো। Read More »

ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণ কাকে বলে? ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ কাকে বলে?

তীব্র ক্ষার ও মৃদু এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণকে ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণ বলে। তীব্র ক্ষার ও মৃদু এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণকে ক্ষারীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ বলে। যেমন– Na2CO3 , CH3COONa (সােডিয়াম ইথানয়েট) ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির।

অম্লীয় প্রকৃতির লবণ কাকে বলে? অম্লীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ কাকে বলে?

তীব্র এসিড ও মৃদু ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণকে অম্লীয় প্রকৃতির লবণ বলে। তীব্র এসিড ও মৃদু ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণ অম্লীয় প্রকৃতির লবণের দ্রবণ বলে। যেমন- FeCl3, Zn(NO3)2 ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ অম্লীয়।

নিরপেক্ষ লবণ বা নিরপেক্ষ প্রকৃতির লবণের দ্রবণ কাকে বলে?

নিরপেক্ষ লবণ: তীব্র এসিড ও তীব্র ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণকে নিরপেক্ষ লবণ বলে? নিরপেক্ষ প্রকৃতির লবণের দ্রবণ: তীব্র এসিড ও তীব্র ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণের জলীয় দ্রবণকে নিরপেক্ষ প্রকৃতির লবণ দ্রবণ বলে। HCl(aq) + NaOH(aq) →NaCl(aq) + H2O(l) H2SO4(aq) + NaOH(aq) →Na2SO4(aq) + H2O(l)

লবণ কাকে বলে? লবণ কী ? লবণ বলতে কী বোঝ? লবণ কী তা ব্যাখ্যা করো ।

এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ার ফলে যে নিরপেক্ষ ধর্মী পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলা হয়। যেমন: সােডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। NaOH      +    HCl →     NaCl   +      H2O কোনাে এসিডের অণুস্থিত প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণুকে কোনাে ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল ধনাত্বক যৌগমূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত করে যে …

লবণ কাকে বলে? লবণ কী ? লবণ বলতে কী বোঝ? লবণ কী তা ব্যাখ্যা করো । Read More »

বেকিং সােডার মধ্যে লেবুর রস ঢাললে কী ঘটবে? ব্যাখ্যা করাে।

বেকিং সােডার রাসায়নিক নাম হলো সােডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। এর সংকেত হলাে NaHCO3 । লেবুর রসে থাকে সাইট্রিক এসিড(C6H8O7) । বেকিং সােডা লেবুর রসে বিদ্যমান এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে সােডিয়াম সাইট্রেট লবণ, পানি ও কার্বন-ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। এ সময় দ্রবণ থেকে তাপ শােষিত হয় বলে দ্রবণটি ঠাণ্ডা হয়ে যায়। NaHCO3(aq) + H+(aq) (সাইট্রিক এসিড) + …

বেকিং সােডার মধ্যে লেবুর রস ঢাললে কী ঘটবে? ব্যাখ্যা করাে। Read More »

কোমল পানীয় কীভাবে খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে?

কোমল পানীয়: কোমল পানীয় হলাে পানিতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের (CO2)দ্রবণ। এতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি দ্রবীভূত থাকে। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে কার্বনিক এসিডে পরিণত হয়। CO2  + H2O → H2CO3(aq) যা এনজাইমের  ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে পরিপাকে সহায়তা করে।

ধনাত্মক আয়নকে ক্ষারীয় মূলক (Basic radical) বলা হয় কেন ? ক্ষারীয় মূলক কী?

প্রশমন বিক্রিয়ায় এসিডের সাথে ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন হয়। লবণের ধনাত্মক আয়নটি ক্ষার থেকে আসে। তাই ধনাত্মক আয়নকে ক্ষারীয় মূলক (Basic radical) বলে।

দৈনন্দিন জীবনে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

দৈনন্দিন জীবনে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা: পরিপাক: খাদ্য হজম করতে পাকস্থলীতে হাইড্রাক্লোরিক এসিড নিঃসৃত হয়। কোনাে কারণে পাকস্থলীতে এই এসিডের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তখন পেটে অস্বস্তি বােধ হয়। সাধারণভাবে এটিকে এসিডিটি বলে। বেশিদিন এসিডিটি থাকলে পাকস্থলীতে ঘা হয়ে যেতে পারে। তাই এই এসিডকে প্রশমিত করতে এন্টাসিড নামক ওষুধ খেতে হয়। এন্টাসিডে Al(OH)3 ও Mg(OH)2 …

দৈনন্দিন জীবনে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। Read More »

তীব্র এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন এসিড বা ক্ষারের উপর নির্ভর করে না- ব্যাখ্যা কর।

একটি তীব্র এসিড এবং তীব্র ক্ষারকের দ্বারা প্রশমিত করলে প্রশমন তাপ প্রায় ধ্রুবক হয় এবং এর মান মােটামুটিভাবে 57.3kJ । সকল তীব্র এসিড ও ক্ষারক জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত অবস্থায় থাকে। তাই যেকোনাে তীব্র এসিড বা ক্ষার দেওয়া হােক না কেন প্রশমন বিক্রিয়ায় শুধু হাইড্রোজেন ও হাইড্রোক্সাইড আয়ন পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে পানি তৈরি করে। …

তীব্র এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন এসিড বা ক্ষারের উপর নির্ভর করে না- ব্যাখ্যা কর। Read More »

কোনাে নির্দিষ্ট এসিডের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অপর কোনাে নির্দিষ্ট ক্ষারের নির্দিষ্ট পরিমাণকে সম্পূর্ণরূপে প্রশমিত করে-প্রমাণ করো ।

এসিড জলীয় দ্রবণে H+ দান করে এবং ক্ষার জলীয় দ্রবণে OH– দান করে। তাই এসিড ও ক্ষার একত্রে মিশ্রিত করলে এসিডের H+ আয়ন এবং ক্ষারের OH–আয়ন বিক্রিয়া করে পানি উৎপন্ন করে। যেমন: HCl পানিতে H+ আয়ন এবং NaOH পানিতে OH– দান করে। এ দ্রবণ দুইটিকে এক সাথে মিশ্রিত করলে এসিডের H+ এবং ক্ষারের OH– বিক্রিয়া …

কোনাে নির্দিষ্ট এসিডের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অপর কোনাে নির্দিষ্ট ক্ষারের নির্দিষ্ট পরিমাণকে সম্পূর্ণরূপে প্রশমিত করে-প্রমাণ করো । Read More »

প্রশমন বিক্রিয়া কাকে বলে? প্রশমন বিক্রিয়া কী ?প্রশমন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

প্রশমন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় এসিড ও  ক্ষার  বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে  তাকে  প্রশমন বিক্রিয়া বলে।  

কোনাে এসিডের লিটমাস পরীক্ষা করার সময় পানির ভূমিকা কতটুকু?

আমরা জানি, এসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাস পেপারকে লাল করে। কোনাে অনার্দ্র এসিডের ক্রিস্টালের উপর শুষ্ক নীল লিটমাস পেপার স্পর্শ করালে কোনাে পরিবর্তন ঘটে না। কারণ কোনাে অনার্দ্র এসিডের ক্রিস্টাল জলীয় দ্রবণে আয়নিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে  হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে। এ অবস্থায় নীল লিটমাস পেপার এসিডের সংস্পর্শে আনলে তা লাল বর্ণ ধারণ করবে। কাজেই এসিডের লিটমাস …

কোনাে এসিডের লিটমাস পরীক্ষা করার সময় পানির ভূমিকা কতটুকু? Read More »

নির্দেশক দ্বারা pH পরিমাপন ব্যাখ্যা কর।

pH মান জানার জন্য নির্দেশক হিসেবে লিটমাস পেপার ব্যবহার করা যায়। লিটমাস পেপার সস্তা ও সহজলভ্য ।কোনো দ্রবণের pH মান 7 এর কম হলে লিটমাস পেপার লাল এবং  7 এর বেশি হলে নীল বর্ণ ধারণ করে। ফুলের রঙিন পাপড়ি এবং রঙিন সবজি এসিড ও ক্ষার যােগে ভিন্ন বর্ণ দেখায়। এ পদার্থগুলাে বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এসিড …

নির্দেশক দ্বারা pH পরিমাপন ব্যাখ্যা কর। Read More »

pH এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

pH এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা: কৃষিক্ষেত্রে, জীবদেহে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায়,প্রসাধনী ব্যবহারে pH এর গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে এগুলাে ব্যাখ্যা করা হলাে:  কৃষিক্ষেত্রে: কৃষিতে pH এর গুরুত্ব অপরিসীম। উদ্ভিদ তার শরীরের পুষ্টির জন্য মাটি থেকে বিভিন্ন আয়ন, পানি শােষণ করে। এর জন্য মাটির pH এর মান 6.0 থেকে ৪.0 এর মধ্যে হলে সবচেয়ে ভালাে। আবার, মাটির pH …

pH এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। Read More »

নির্দেশক কাকে বলে? নির্দেশক কী ? নির্দেশক বলতে কী বোঝ?

নির্দেশক: যে সকল পদার্থ নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনাে একটি বস্তু এসিড বা ক্ষার বা নিরপেক্ষ তা নির্দেশ করে তাদেরকে নির্দেশক বৃলে। যেমন : লিটমাস পেপার, মিথাইল অরেঞ্জ, ইউনির্ভাসাল ইনন্ডিকেটর  ইত্যাদি।

PH নির্ধারণে ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

PH নির্ধারণে ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর এর ভূমিকা: বিভিন্ন এসিড ক্ষার নির্দেশকের মিশ্রণ হলাে ইউনিভার্সাল নির্দেশক (Universal Indicator)। ভিন্ন ভিন্ন pH মানের দ্রবণে ইউনিভার্সাল নির্দেশক ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ প্রদান করে। কোনাে দ্রবণের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক কোন বর্ণ ধারণ করবে তা বােঝার জন্য একটি চার্ট রয়েছে। এই চার্টকে ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট বলে। কোনাে দ্রবণে কয়েক ফোঁটা ইউনিভার্সাল …

PH নির্ধারণে ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। Read More »

pH মিটার কী? pH মিটার কাকে বলে? pH মিটার বলতে কী বোঝো?

pH মিটার: যে মিটারের সাহায্যে অজানা দ্রবণের pH নির্ণয় করা যায়, তাকে pH মিটার বলা হয়। pH মিটারের ইলেক্ট্রোডকে অজানা দ্রবণে ডুবিয়ে মিটারের ডিসপ্লে থেকে সরাসরি pH এর মান জানা যায়।

ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট বলে কাকে বলে?

ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট : কোনাে দ্রবণের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক কোন বর্ণ ধারণ করবে তা বােঝার জন্য একটি চার্ট রয়েছে। এই চার্টকে ইউনিভার্সাল নির্দেশক কালার চার্ট বলে।    

ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর কী? ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর কাকে বলে ?

ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর: বিভিন্ন এসিড, ক্ষার নির্দেশকের মিশ্রণকে ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর বলে। অজানা দ্রবণের pH এর মান জানার জন্য কয়েক ফোটা ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয়।  

পরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে দ্রবণের pH কীভাবে পরিমাপ করা হয়?

pH এর মান পরিমাপের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক (Universal indicator), pH পেপার (pH paper), pH মিটার (pH meter) প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়। ইউনিভার্সাল নির্দেশক: বিভিন্ন এসিড ক্ষার নির্দেশকের মিশ্রণ হলাে ইউনিভার্সাল নির্দেশক (Universal Indicator)। ভিন্ন ভিন্ন pH মানের দ্রবণে ইউনিভার্সাল নির্দেশক ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ প্রদান করে। কোনাে দ্রবণের জন্য ইউনিভার্সাল নির্দেশক কোন বর্ণ ধারণ করবে তা …

পরীক্ষার মাধ্যমে কোনাে দ্রবণের pH কীভাবে পরিমাপ করা হয়? Read More »

pH স্কেল কী? pH স্কেল কাকে বলে? pH স্কেল বলতে কী বোঝ?

কোনো দ্রবনের pH এর পরিমাপ করার জন্য যে স্কেল ব্যাবহার করা হয় তাকে pH স্কেল বলে । চিত্র : pH স্কেল (ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটরের বিভিন্ন pH এ বর্ণ) pH কেল: যদিও অংকের হিসাবে pH এর মান ঋণাত্মক থেকে শুরু করে যেকোনাে ধনাত্মক সংখ্যা হওয়া সম্ভব কিন্তু বাস্তব জীবনে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে pH এর মান 0 থেকে 14 …

pH স্কেল কী? pH স্কেল কাকে বলে? pH স্কেল বলতে কী বোঝ? Read More »

বিশুদ্ধ পানিতে পৃথক পৃথকভাবে এসিড ও ক্ষার যােগ করলে PH মান -এর কিরূপ পরিবর্তন ঘটবে?

আমরা জানি, বিশুদ্ধ পানি নিরপেক্ষ অর্থাৎ এটি এসিড বা ক্ষার কোনাে ধর্মই দেখায় না । তাই বিশুদ্ধ পানির PH মান 7 । বিশুদ্ধ পানিতে এসিড যােগ করলে H+ আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে দ্রবণের PH মান 7 থেকে কমে যায়। আবার বিশুদ্ধ পানিতে ক্ষার যােগ করলে দ্রবণে OH–আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে PH মান 7 …

বিশুদ্ধ পানিতে পৃথক পৃথকভাবে এসিড ও ক্ষার যােগ করলে PH মান -এর কিরূপ পরিবর্তন ঘটবে? Read More »

পানির PH এর মান 7 অপেক্ষা বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা কর। পানির PH এর মান 7

কোনাে দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের মােলার ঘনমাত্রার ঋণাত্বক লগারিদমকে PH বলে। কোনাে দ্রবণের PH মান 0 থেকে 14 এর মধ্যে হবে।কোনাে দ্রবণ অম্লীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর কম হবে এবং দ্রবণ ক্ষারীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর বেশি হবে। আবার কোনাে দ্রবণ নিরপেক্ষ হলে PH মান 7 হয় । যেহেতু পানি নিরপেক্ষ সেহেতু …

পানির PH এর মান 7 অপেক্ষা বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা কর। পানির PH এর মান 7 Read More »

NH3 এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 এর বেশি কেন?

পানি একটি নিরপেক্ষ পদার্থ, যার pH =7 । বিশুদ্ধ পানিতে NH3  যােগ করলে NH4OH উৎপন্ন হয় যা জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন প্রদান করে।  NH3 + H2O(l) = NH4OH(aq)  NH4OH(aq) + H2O(l) ⇌ NH4+(aq) + OH–(aq) ফলে  দ্রবণে OH– এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং  H+ এর ঘনমাত্রা হ্রাস পায় অথাৎ দ্রবণটি ক্ষারীয় হয়। ফলে …

NH3 এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 এর বেশি কেন? Read More »

চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা করো। CaO এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 অপেক্ষা কম না বেশী? ব্যাখ্যা কর।

চুন (CaO) পানির সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Ca(OH)2) নামক ক্ষার তৈরি করে। একে চুনের পানি বলা হয়। সুতরাং চুনের পানি ক্ষারীয়। কোনাে দ্রবণ অম্লীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর কম হবে এবং দ্রবণ ক্ষারীয় হলে দ্রবণের pH মান 7 এর বেশি হবে। যেহেতু চুনের পানি ক্ষারীয়, সুতরাং চুনের পানির pH মান 7 এর …

চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা করো। CaO এর জলীয় দ্রবণের pH এর মান 7 অপেক্ষা কম না বেশী? ব্যাখ্যা কর। Read More »

বিশুদ্ধ পানির pH এর মান 7 কেন?

কোনাে দ্রবণে  উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম ঐ দ্রবণের pH বলা হয়। অর্থাৎ pH = -log[H+]   আমরা জানি,  1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল।                     বিশুদ্ধ পানির pH = -log[H+] = -log(10-7)                     অতএব, বিশুদ্ধ পানির pH = 7

দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা থেকে কীভাবে pH হিসাব করতে হয়?

কোনাে দ্রবণে  উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম ঐ দ্রবণের pH বলা হয়। অর্থাৎ pH = -log[H+]   [H+] দ্বারা H+ আয়নের মােলার ঘনমাত্রা অর্থাৎ 1 লিটার দ্রবণে কত মােল H+ আয়ন রয়েছে সেটা বােঝানাে হয়।                     1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল।                     বিশুদ্ধ পানির pH = -log[H+] = -log(10-7)                     অতএব, বিশুদ্ধ পানির …

দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা থেকে কীভাবে pH হিসাব করতে হয়? Read More »

বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে pH মান বাড়ে কেন ? অথবা বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে দ্রবনের প্রকৃতি কেমন হবে ?

কোনো দ্রবনের pH এর মান 7 হওয়ার অর্থ এটি ক্ষারও নয় আবার এসিডও নয়। এটি নিরপেক্ষ দ্রবণ। যদি কোনাে দ্রবণের pH এর মান 7 থেকে কম হয় তাহলে সেই দ্রবণটি এসিডিক দ্রবণ এবং যদি কোনাে দ্রবণের pH মান 7 থেকে বেশি হয় তবে সেই দ্রবণটি ক্ষারীয় দ্রবণ। যদি বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হয় …

বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে pH মান বাড়ে কেন ? অথবা বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ক্ষার যােগ করা হলে দ্রবনের প্রকৃতি কেমন হবে ? Read More »

H+ আয়নের ঘনমাত্রা যত বেশি হবে pH এর মান তত কমতে থাকবে কেন ?

আমরা জানি,   1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল। যদি বিশুদ্ধ পানিতে এসিড যােগ করা হয় এবং এসিড যােগের কারণে যদি H+ এর সংখ্যা 10 গুণ বেড়ে গিয়ে প্রতি লিটারে 10-6 মােল হয়, তাহলে দ্রবণের pH কমে যাবে। pH = -log[10-6] = 6 H+ আয়নের ঘনমাত্রা যত বেশি হবে pH এর মান …

H+ আয়নের ঘনমাত্রা যত বেশি হবে pH এর মান তত কমতে থাকবে কেন ? Read More »

বিশুদ্ধ পানির pH = 7 কেন ?

 1 লিটার বিশুদ্ধ পানিতে H+ এর পরিমাণ 10-7 মােল।                     বিশুদ্ধ পানির pH = -log[H+] = -log(10-7)                     অতএব, বিশুদ্ধ পানির pH = 7 তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে কোনাে আয়ন থাকলে মােলারিটি এককে সেই আয়নের ঘনমাত্রা বােঝানাে হয়।

pH কী? pH বলতে কী বোঝ? pH কাকে বলে?

কোনাে দ্রবণে  উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম ঐ দ্রবণের pH বলা হয়। অর্থাৎ pH = -log[H+]              (pH লেখার সময় p ছােট হাতের আর H বড় হাতের লেখা হয়)

NH4OH কে দুর্বল ক্ষার বলা হয় কেন?

 NH4OH কে দুর্বল ক্ষার: যে সকল ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে আয়নিত হয় তাদেরকে দুর্বল ক্ষার বলে। NH4OH জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে বিয়ােজিত হয়ে সামান্য পরিমাণে হাইড্রোক্সাইড আয়ন প্রদান করে। NH4OH + H2O ⟶ NH4+ + OH– তাই NH4OH কে দুর্বল ক্ষার বলা হয়।

CH3COOH অপেক্ষা H2SO4 এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন?

CH3COOH অপেক্ষা H2SO4 এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে : জলীয় দ্রবণের এসিড H+ আয়নের উপস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ পরিবহন করে। জলীয় দ্রবণে H+ আয়নের পরিমাণ যত বেশি হবে এসিড তত বেশি বিদ্যুৎ পরিবহন করবে। CH3COOH একটি মৃদু এসিড। এটি জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে বিয়ােজিত হয়ে কম পরিমাণ H+ আয়ন প্রদান করে। H2SO4 একটি তীব্র …

CH3COOH অপেক্ষা H2SO4 এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন? Read More »

NH4OH অপেক্ষা NaOH এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন?

জলীয় দ্রবণের ক্ষার OH– আয়নের উপস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ পরিবহন করে। জলীয় দ্রবণে OH– আয়নের পরিমাণ যত বেশি হবে ক্ষার তত বেশি বিদ্যুৎ পরিবহন করবে। NH4OH একটি মৃদু ক্ষার। এটি জলীয় দ্রবণে আংশিকভাবে বিয়োজিত হয়ে কম পরিমান OH– আয়ন প্রদান করে। NaOH একটি তীব্র ক্ষার। এটি জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণভাবে বিয়ােজিত হয়ে বেশি পরিমানে OH– আয়ন প্রদান …

NH4OH অপেক্ষা NaOH এর জলীয় দ্রবণ বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন? Read More »

একটি পরীক্ষার সাহায্যে সবল ও দুর্বল এসিড অথবা সবল ও দুর্বল ক্ষার সনাক্ত করো।

কোন এসিডটি সবল এবং কোন এসিডটি দুর্বল তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। একটি বিকারে 50 mL লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিয়ে বিকারের মধ্য দুটি গ্রাফাইট দণ্ড এমনভাবে বসাই যাতে তারা একে অপরের সাথে স্পর্শ না করে। এবার একটি গ্রাফাইট দণ্ডকে ১টি তারের সাথে ব্যাটারির এক প্রান্তে এবং অপর গ্রাফাইট দণ্ডকে তারের সাথে বাল্বের মধ্যে দিয়ে …

একটি পরীক্ষার সাহায্যে সবল ও দুর্বল এসিড অথবা সবল ও দুর্বল ক্ষার সনাক্ত করো। Read More »

গাঢ় এসিড ও গাঢ় ক্ষারের ক্ষয়কারী ধর্ম ব্যাখ্যা করো।

গাঢ় এসিড এবং গাঢ় ক্ষার অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ। এগুলাে কাপড়-চোপড় এবং শরীরে লাগলে ত্বক ও কাপড়কে ক্ষয় করতে পারে। এগুলাে চোখে গেলে চোখ নষ্ট হয়। পানির মধ্যে গাঢ় এসিড বা গাঢ় ক্ষার অল্প অল্প করে যােগ করে তাকে দ্রবীভূত করে লঘু দ্রবণ তৈরি করা হয়। যদি অসাবধানতাবশত কোনাে গাঢ় এসিড বা গাঢ় ক্ষার শরীরে লেগে …

গাঢ় এসিড ও গাঢ় ক্ষারের ক্ষয়কারী ধর্ম ব্যাখ্যা করো। Read More »

CaO কোন ধরনের যৌগ? CaO একটি ক্ষারক। CaO ক্ষার নয় ব্যাখ্যা করো।

ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। CaO ক্ষারক, ক্ষার নয় কারণ CaO এ OH– মূলক নাই।  তাছাড়া ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড …

CaO কোন ধরনের যৌগ? CaO একটি ক্ষারক। CaO ক্ষার নয় ব্যাখ্যা করো। Read More »

অ্যামােনিয়া ও লঘু (HCl)হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়ায় সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন হয় কেন?

অ্যামােনিয়া ও লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া: অ্যামােনিয়া ও লঘু HCl এর মধ্যে বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামােনিয়াম ক্লোরাইড তৈরি হয়। NH4Cl হলাে একটি সাদা বর্ণের গ্যাসীয় পদার্থ। এই সাদা বর্ণের NH4Cl গ্যাসের জন্যই বিক্রিয়ায় সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। NH3 + HCl → NH4Cl (সাদা বর্ণের গ্যাস)

অ্যামােনিয়া গ্যাসের জলীয় দ্রবনের প্রকৃতি কেমন? অ্যামােনিয়া গ্যাসকে পানিতে দ্রবীভূত করা হলে কী ঘটে ?

অ্যামােনিয়া গ্যাস হচ্ছে অ্যামােনিয়া অণুর সমষ্টি। অ্যামােনিয়াকে পানিতে দ্রবীভূত করা হলে অ্যামােনিয়া গ্যাস ও পানির বিক্রিয়ায় অ্যামােনিয়াম আয়ন আর হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন হয়। তবে পানিতে অ্যামােনিয়ার সামান্য অংশই দ্রবীভূত হয় এবং খুব অল্প সংখ্যক হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন হয়। NH3 + H2O(l) = NH4OH(aq)  NH4OH(aq) + H2O(l) ⇌ NH4+(aq) + OH–(aq) সুতরাং, অ্যামােনিয়া দ্রবণে অ্যামােনিয়া অণু, …

অ্যামােনিয়া গ্যাসের জলীয় দ্রবনের প্রকৃতি কেমন? অ্যামােনিয়া গ্যাসকে পানিতে দ্রবীভূত করা হলে কী ঘটে ? Read More »

NaOH ও NH4OH এর মধ্যে কোনটি দুর্বলক্ষার এবং কেন? ব্যাখ্যা কর।

NaOH ও NH4OH এর মধ্যে কোনটি দুর্বলক্ষার এবং কেন? যে সকল ক্ষার জলীয়  দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয় তাদেকে সবল ক্ষার এবং যে সকল ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তাদেৱকে দুর্বল ক্ষার বলে। NaOH ও NH4OH এর মধ্যে NH4OH দুর্বল ক্ষার । কারণ, NaOH জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়ে সোডিয়াম আয়ন ও বেশি পরিমান হাইড্রোক্সাইড …

NaOH ও NH4OH এর মধ্যে কোনটি দুর্বলক্ষার এবং কেন? ব্যাখ্যা কর। Read More »

ক্ষারের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

ক্ষারের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা : ক্ষারসমূহে আয়ন উপস্থিত থাকে। তবে কঠিন অবস্থায় এই আয়ন মুক্ত থাকে না। ফলে এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না। ক্ষারকে পানিতে দ্রবীভূত করলে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়ে মুক্ত হাইড্রোক্সাইড আয়ন  (OH–) উৎপন্ন হয় এবং এই আয়ন  ভ্রাম্যমাণ থাকে। ফলে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। KOH(s) + …

ক্ষারের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। Read More »

কপার অক্সাইড ক্ষার নয় কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষার বলা হয় না কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষারক বলা হয় কেন?

কপার অক্সাইড ক্ষার নয়: আমরা জানি, ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে। এ সকল ক্ষারকের মধ্যে যেগুলাে পানিতে দ্রবীভূত হয় তাহাই ক্ষার। কপার অক্সাইড শুধুমাত্র এসিডকে প্রশমিত করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে কিন্তু ইহা পানিতে দ্রবীভূত হয় না। …

কপার অক্সাইড ক্ষার নয় কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষার বলা হয় না কেন? কপার অক্সাইডকে ক্ষারক বলা হয় কেন? Read More »

Al2O3 একটি উভধর্মী অক্সাইড – ব্যাখ্যা করাে।

আমরা জানি, ধাতুর যে সকল অক্সাইড এসিড বা ক্ষারক উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাদেরকে উভধর্মী অক্সাইড বলে।  Al2O3 এসিড ও ক্ষার উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। যেমন, Al2O3 ও H2SO4 বিক্রিয়া করে লবণ Al2(SO4)3 ও পানি উৎপন্ন করে।  Al2O3 + 3H2SO4 → Al2(SO4)3 + 3H2O আবার …

Al2O3 একটি উভধর্মী অক্সাইড – ব্যাখ্যা করাে। Read More »

অ্যামােনিয়া ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর। অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর

অ্যামােনিয়া ক্ষারধর্মী: আমরা জানি, ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় এবং বিয়ােজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH–) উৎপন্ন করে তাদেরকে ক্ষার বলে । অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী। কারণ, (i) অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করে যা লাল লিটমাসকে   নীল করে।। NH3 + H2O ⇌ NH4OH NH4OH ⇌ …

অ্যামােনিয়া ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর। অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী-ব্যাখ্যা কর Read More »

অ্যামােনিয়া একটি বিজারক-ব্যাখ্যা কর। অ্যামােনিয়াকে বিজারক বলা হয় কেন? অ্যামােনিয়া বিজারক

অ্যামােনিয়া একটি বিজারক: যে বস্তু অন্য বস্তুকে বিজারিত করে এবং নিজে জারিত হয় তাকে বিজারক বলে । অ্যামােনিয়া উত্তপ্ত কপার (II) অক্সাইডকে বিজারিত করে ধাতব কপারে পরিণত করে এবং নিজে জারিত হয়ে নাইট্রোজেনে পরিণত হয়।  3CuO + NH3 = 3Cu + 3H2O + N2 সুতরাং, অ্যামােনিয়া একটি বিজারক।

অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

একটি পাত্রে অ্যামােনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl) নিয়ে এর মধ্যে ক্ষার (NaOH) যােগ করলে অ্যামােনিয়া গ্যাস (NH3) সােডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) লবণ এবং পানি (H2O) উৎপন্ন হয়। NH4Cl + NaOH → NH3 + NaCl + H2O অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বিক্রিয়া আছে। যেকোনাে অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষার বিক্রিয়া করে NH3 গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন: NH4Cl + …

অ্যামােনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা করো। Read More »

দ্রবণে Ca2+ আয়নের উপস্থিতি কীভাবে সনাক্ত করবে তা সমীকরণসহ বর্ণনা কর।

ক্যালসিয়াম লবণের জলীয় দ্রবণে সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ যােগ করলে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ পড়ে। অতঃপর অতিরিক্ত পরিমাণ সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ যােগ করলে অধঃক্ষেপের বর্ণের কোনাে পরিবর্তন হয় না। এ পরীক্ষা দ্রবণে ক্যালসিয়াম আয়নের উপস্থিতি প্রমাণ করে। CaSO4(aq) + 2NaOH(aq) → Ca(OH)2(s) + Na2SO4(aq) Ca(OH)2(s) + 2NaOH(aq) কোনাে পরিবর্তন হয় না ।

Zn(NO3) এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: দ্রবণে Zn2+ আয়নের উপস্থিতি কীভাবে সনাক্ত করবে?

একটি টেস্টটিউবে Zn(NO3)2 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে জিংক হাইড্রোক্সাইড [Zn(OH)2] এর সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং সােডিয়াম নাইট্রেট NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Zn(NO3)2 + 2NaOH → Zn(OH)2↓ + 2NaNO3 এই অধঃক্ষেপে অতিরিক্ত পরিমাণ সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ যােগ করলে সােডিয়াম জিংকেটের বর্ণহীন দ্রবণ উৎপন্ন …

Zn(NO3) এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: দ্রবণে Zn2+ আয়নের উপস্থিতি কীভাবে সনাক্ত করবে? Read More »

Cu(NO3)2 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: Cu ++ আয়ন সনাক্তকরণ

একটি টেস্টটিউবে Cu(NO3)2 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে কপার হাইড্রোক্সাইড [Cu(OH)2] এর হালকা নীল বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং সােডিয়াম নাইট্রেট NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Cu(NO3)2 + 2NaOH → Cu(OH)2↓ + 2NaNO3

ফেরাস নাইট্রেট Fe(NO3)2 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: (আয়রন (II) ও আয়রন (III) লবণের মধ্যে কিভাবে পার্থক্য কররে তা সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর।) ( কীভাবে কোনো দ্রবণে আয়রন আয়ন (Fe+2/Fe+3) সনাক্ত করা যায় )

একটি টেস্টটিউবে Fe(NO3)2 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে ফেরাস হাইড্রোক্সাইড [Fe(OH)2] এর সবুজ বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Fe(NO3)2 + 2NaOH → Fe(OH)2↓ + 2NaNO3 ফেরিক নাইট্রেট Fe(NO3)3 এর সাথে NaOH এর বিক্রিয়া: একটি টেস্টটিউবে Fe(NO3)3 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে …

ফেরাস নাইট্রেট Fe(NO3)2 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: (আয়রন (II) ও আয়রন (III) লবণের মধ্যে কিভাবে পার্থক্য কররে তা সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর।) ( কীভাবে কোনো দ্রবণে আয়রন আয়ন (Fe+2/Fe+3) সনাক্ত করা যায় ) Read More »

Al(NO3)3 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: ( কীভাবে কোনো দ্রবণে অ্যালুমিনিয়াম আয়ন ( Al+++) সনাক্ত করা যায় )

একটি টেস্টটিউবে Al(NO3)3 এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যােগ করলে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Al(OH)3] এবং NaNO3 উৎপন্ন হয়। Al(OH)3 জেলীর ন্যায় সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ হিসেবে টেস্টটিউবের নিচে জমা হয় এবং সােডিয়াম নাইট্রেট NaNO3 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এটি পানিতে কোনাে বর্ণ প্রদান করে না। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: 2Al(NO3)3 + 6NaOH → 2Al(OH)3↓ …

Al(NO3)3 এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া: ( কীভাবে কোনো দ্রবণে অ্যালুমিনিয়াম আয়ন ( Al+++) সনাক্ত করা যায় ) Read More »

গাঢ় এসিড ও ক্ষারের ক্ষয়কারী ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় এসিড অত্যন্ত বিপদজনক কারণ এগুলাে অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ। এগুলাে ধাতু, ত্বক এবং কাপড় ক্ষয় করতে পারে। এসিডের মতাে গাঢ় ক্ষারও ক্ষয়কারী এবং বিপদজনক। সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডকে প্রায়শই কস্টিক সােডা (কস্টিক মানে পােড়ানাে) বলা হয়। এসিডের তুলনায় ক্ষার ত্বক ও চোখের বেশি ক্ষতি করে।

এসিড ও ক্ষারের মধ্যে দুটি পার্থক্য লিখ।

এসিড ও ক্ষারের মধ্যকার দুটি পার্থক্য: এসিড ক্ষার এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দেয়। ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH–) দেয়। এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে।  ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে।

একটি পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করো যে -ক্ষার দ্রবণ শুধু লাল লিটমাস পেপারকে নীল করে।

একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমাণ লঘু সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ নিয়ে তাতে লাল লিটমাস কাগজের এক টুকরা যােগ করি। দেখা যাবে, লাল লিটমাস কাগজ নীল বর্ণ ধারণ করেছে। আবার, আরেকটি টেস্টটিউবের মধ্যে সামান্য পরিমাণ NaOH নিয়ে তাতে  নীল লিটমাস কাগজ প্রবেশ করাই । দেখা যাবে  নীল লিটমাস কাগজ নীলই রয়ে গেছে। এই পরীক্ষা থেকে বােঝা যায়, ক্ষার …

একটি পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করো যে -ক্ষার দ্রবণ শুধু লাল লিটমাস পেপারকে নীল করে। Read More »

লঘু ক্ষার দ্রবণ কাকে বলে? লঘু ক্ষার দ্রবণ কী? লঘু ক্ষার দ্রবণ বলতে কী বলে?

লঘু ক্ষার দ্রবণ: বেশি পানির মধ্যে কম পরিমাণ ক্ষার যােগ করে যে দ্রবণ তৈরি করা হয় সেই দ্রবণকে লঘু ক্ষার দ্রবণ বলা হয়।

বাসাবাড়িতে ক্ষার জাতীয় কী কী পদার্থ ব্যবহার করা হয়?

বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত ক্ষার জাতীয় পদার্থ: বাসাবাড়িতে ক্ষার জাতীয় অনেক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যেমন: টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য যে টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড(NaOH) ক্ষার থাকে। কাচ পরিস্কার করার জন্য যে গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার (NH4OH) থাকে।

CaO কে ক্ষারক বলা হয় কেন?

CaO কে ক্ষারক বলা হয়: কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। CaO ক্ষারক, ক্ষার নয় কারণ CaO এ OH– মূলক নাই।

Fe(OH)2 কে ক্ষার বলা যায় না কেন? অথবা Fe(OH)2 ক্ষারক বলা হয় কেন?

Fe(OH)2 কে ক্ষার বলা যায় না: কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। Fe(OH)2 কে ক্ষার বলা যায় না। এটি কারণ এটিতে OH– গ্রুপ আছে কিন্তু এটি পানিতে দ্রবণীয় নয়, এটি শুধু ক্ষারক।

NaOH কে ক্ষার বলা হয় কেন? NaOH একটি ক্ষার-ব্যাখ্যা করো।

কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে। NaOH ক্ষার, কারণ সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগে OH– মূলক আছে এবং এটি পানিতে দ্রবণীয়।

সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় / সব ক্ষারকই ক্ষার নয় কিন্তু সব ক্ষারই ক্ষারক-ব্যাখ্যা করো । ক্ষার একটি বিশেষ ধরণের ক্ষারক-ব্যাখ্যা করো।

ধাতুর অক্সাইড ও হাইড্রক্সাইডসমূহকে ক্ষারক বলা হয়। আবার যেসব ক্ষারক পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে। NaOH, KOH, Ca(OH)2 ইত্যাদি ক্ষার কারণ এরা পানিতে দ্রবণীয়। অপরপক্ষে, কপার অক্সাইড, আয়রন অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডসমূহ পানিতে দ্রবীভূত হয় না বলে এগুলাে শুধুমাত্র ক্ষারক কিন্তু ক্ষার নয়। অতএব বলা যায়-সকল ক্ষারই ক্ষারক; কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।

NaOH ক্ষার কিন্তু Al(OH)3 ক্ষারক কেন? ব্যাখ্যা কর।

ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। যে কোনাে ক্ষারে অবশ্যই হাইড্রোক্সাইড যৌগ মূলক থাকবে এবং এটি পানিতে দ্রবীভূত হবে। সাধারণত ধাতুর অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডসমূহকে ক্ষারক বলা হয়। ক্ষার একটি বিশেষ ধরনের ক্ষারক যা পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়। সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয় তাই এটি ক্ষার। কিন্তু অ্যালুমিনিয়াম …

NaOH ক্ষার কিন্তু Al(OH)3 ক্ষারক কেন? ব্যাখ্যা কর। Read More »

কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য কয়টি শর্ত রয়েছে?

কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য কয়টি শর্ত: কোনাে যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2টি শর্ত রয়েছে: (i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH–) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে।

সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার ব্যাখা কর।

সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার: সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার। কারণ ক্ষার এর যে বৈশিষ্টসমূহ আছে সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডও তা প্রদর্শন করে। যেমন-  (i) এটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়ন সৃষ্টির করে যা  লাল লিটমাসকে নীল করে। NaOH(aq) → Na+(aq) + OH–(aq) OH– + লাল লিটমাস → নীল লিটমাস        (ii) এটি এসিডের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। H2SO4 …

সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি ক্ষার ব্যাখা কর। Read More »

ক্ষার কাকে বলে ? ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করো।

ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ: ধাতু বা ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। যেকোনাে ক্ষারে অবশ্যই হাইড্রোক্সাইড যৌগ মূলক থাকবে এবং এটি পানিতে দ্রবীভূত হবে। যেমন-সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH), অ্যামােনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার (NH4OH) ইত্যাদি । ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ : →ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে যা লাল লিটমাসকে নীল করে । …

ক্ষার কাকে বলে ? ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করো। Read More »

এসিড-ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়া কাকে বলে? প্রশমন বিক্রিয়া কী? প্রশমন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

এসিড-ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় এসিডের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয় তাকে এসিড-ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়া বলে। তাই বলা হয় এসিড ক্ষারককে আর ক্ষারক এসিডকে প্রশমিত করে। যেমন – KOH + H2SO4  → K2SO4 + H2O

অ্যামােনিয়াম আয়ন (NH4+), ফসফোনিয়াম আয়ন (PH4+) কে ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক বলা হয় কেন ?

অ্যামােনিয়াম আয়ন (NH4+), ফসফোনিয়াম আয়ন (PH4+) এগুলাে ধাতুর মতাে ক্রিয়াশীল মূলক। কেননা ধাতব আয়ন, যেমন Na+, K+ ইত্যাদি অধাতব আয়ন Cl– , SO4— ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ NaCl, KCl, Na2SO4 , K2SO4 উৎপন্ন করে তেমনই NH4+, PH4+ আয়ন Cl–, SO4— ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ NH4Cl, PH4Cl, (NH4)2SO4, (PH4)2SO4 ইত্যাদি উৎপন্ন করে।

ধাতুর মতাে বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক কয়টি ও কি কি ?

ধাতুর মতাে বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক: ধাতুর মতাে বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক বা যৌগমূলক দুইটি। যথা -অ্যামােনিয়াম আয়ন (NH4+), ফসফোনিয়াম আয়ন (PH4+) ।

ক্ষারক কাকে বলে? ক্ষারক বলতে কী বোঝ? ক্ষারক কী? ক্ষারক এর সংজ্ঞা দাও।

ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে। যেমন: CaO + 2HCl → CaCl2 + H2O KOH + H2SO4  → K2SO4 + H2O NH4OH + HCl  → NH4Cl + H2O

কপার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কেন?

যে সকল এসিডের জারণ ধর্ম আছে  কপার তাদের সাথে বিক্রিয়া করে। অন্যভাবে বলা যায় Cu জারণ ধর্ম বিশিষ্ট এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে। এসিডের জারণ বিক্রিয়ায় জায়মান অক্সিজেন উৎপন্ন হয়  যার সাথে কপার বিক্রিয়া করে কপার অক্সাইড উৎপন্ন করে । কিন্তু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের কোন জারণ ধর্ম নেই। তাই কপার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না। Cu …

কপার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কেন? Read More »

এসিড বিদ্যুৎ পরিবহণ করে কেন? এসিডের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবাহী কেন?

আমরা জানি, কোনো দ্রবণ তড়িৎ পরিবাহী হওয়ার জন্য তাতে বিচ্ছিন্ন আয়ন থাকা প্রয়োজন।এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন প্রদান করে অর্থাৎ এসিডকে পানিতে দ্রবীভূত করলে এর মধ্যে বিদ্যমান হাইড্রোজেন জলীয় দ্রবণে আয়নে পরিণত হয়। উৎপন্ন হাইড্রোজেন আয়ন জলীয় দ্রবণে ভ্রাম্যমান থাকে বলে জলীয় দ্রবণে বিদ্যুৎ একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ এসিড বিদ্যুৎ পরিবহণ করে …

এসিড বিদ্যুৎ পরিবহণ করে কেন? এসিডের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবাহী কেন? Read More »

Cu এর সাথে গাঢ় HNO3 বিক্রিয়া করে কেন? ব্যাখ্যা করাে।

Cu এর সাথে গাঢ় HNO3 বিক্রিয়া করে:   সক্রিয়তা সিরিজে Cu,H এর নিচে অবস্থিত। অর্থাৎ Cu,H এর চেয়ে কম সক্রিয়। যেহেতু কপারের সক্রিয়তা অত্যন্ত কম এবং লঘু নাইট্রিক জারণ ধর্মহীন সেহেতু এটি সাধারণ অবস্থায় লঘু এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না । কিন্তু গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে কপার বিক্রিয়া করে। গাঢ় নাইট্রিক এসিড একটি শক্তিশালী জারক …

Cu এর সাথে গাঢ় HNO3 বিক্রিয়া করে কেন? ব্যাখ্যা করাে। Read More »

কপার লঘু সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কিন্তু গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে কেন তা ব্যাখ্যা কর।

কপার লঘু সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কিন্তু গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে: জারণ ধর্মবিশিষ্ট এসিড অর্থাৎ যে সকল এসিডের জারণ ধর্ম রয়েছে কপার তাদের সাথে বিক্রিয়া করে। জারণ ধর্মবিশিষ্ট এসিড জারণ ক্রিয়ায় জায়মান অক্সিজেন উৎপন্ন করে, যার সাথে কপার বিক্রিয়া করে কপার অক্সাইড উৎপন্ন করে। লঘু সালফিউরিক এসিডের জারণ ধর্ম নেই, তাই …

কপার লঘু সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না কিন্তু গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে কেন তা ব্যাখ্যা কর। Read More »

বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4) এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন?

বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4) এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না:   আমরা জানি, কোনো যৌগ তড়িৎবা বিদ্যুৎপরিবাহী হওয়ার জন্য তাতে বিচ্ছিন্ন আয়ন প্রয়োজন হয়। বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4)আণবিক অবস্থায় থাকে অর্থাৎ আয়নিত অবস্থায় থাকে না । ফলে তাতে  বিচ্ছিন্ন আয়নও থাকে না । এজন্য বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4)এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তবে বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4)এসিডে পানি যােগ করলে H2SO4 আয়নিত হয় এবং …

বিশুদ্ধ সালফিউরিক(H2SO4) এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন? Read More »

CO2 যৌগটি অম্লীয় কেন? CO2 কে অম্লীয় অক্সাইড বলা হয় কেন? CO2 অম্লধর্মী কেন?

CO2 হলাে অধাতুর অক্সাইড । অধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত অম্লীয় হয়। CO2 পানির সাথে বিক্রিয়ায় কার্বনিক এসিড উৎপন্ন করে।           CO2 + H2O ⟶  H2CO3 এছাড়া CO2  ক্ষারধর্মী ধাতুর অক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়া করে লবণ তৈরী করে। যেমন- CO2 , CaO এর সাথে বিক্রিয়া করে CaCO3 তৈরি করে।      CaO + …

CO2 যৌগটি অম্লীয় কেন? CO2 কে অম্লীয় অক্সাইড বলা হয় কেন? CO2 অম্লধর্মী কেন? Read More »

গাঢ় সালফিউরিক এসিডে পানি মেশানাে বিপদজ্জনক কেন? সালফিউরিক এসিড লঘু করতে পানিতে ফোটায় ফোটায় এসিড যােগ করতে হয় কেন?

গাঢ় সালফিউরিক এসিডে পানি মেশানাে বিপদজ্জনক: গাঢ় সালফিউরিক এসিড ঘন তৈলাক্ত পদার্থ, যা পানিতে সকল অনুপাতে মিশ্ৰণীয়। পানির সাথে মিশানাের সময় প্রচুর তাপ নির্গত হয়। সালফিউরিক এসিডে পানি যােগ করলে উত্তাপে পানি বিস্ফোরণাকারে ফুটে এসিড শরীরে পড়তে পারে। এ কারণে সালফিউরিক এসিড লঘু করতে হলে সর্বদা নাড়ানাে অবস্থায় পানিতে ফোটায় ফোটায় এসিড যােগ করতে হয়।

গাঢ় সালফিউরিক এসিড(H2SO4) এর ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় সালফিউরিক এসিড এর  ভৌত ধর্ম : সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO3) গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। যদি কম পরিমাণ পানিতে অধিক পরিমাণ SO3 গ্যাস দ্রবীভূত করা হয় তবে গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) তৈরি হয়। SO3 + H2O → H2SO4 সাধারণত গাঢ় সালফিউরিক এসিডে ভরের অনুপাতে 98% সালফিউরিক এসিড থাকে ।

কীভাবে গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) তৈরি হয়? গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) প্রস্তুতি

গাঢ় সালফিউরিক এসিড: যদি কম পরিমাণ পানিতে অধিক পরিমাণ SO3 গ্যাস দ্রবীভূত করা হয় তবে গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) তৈরি হয়।   SO3 + H2O → H2SO4

সালফিউরিক এসিড কাকে বলে?সালফিউরিক এসিড কী? সালফিউরিক এসিড বলতে কী বোঝ?

সালফিউরিক এসিড: সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO3) গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে সালফিউরিক এসিড বলে।

HNO3 কে বাদামি বােতলের মধ্যে রাখা হয় কেন ? HNO3 কে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়?

 HNO3 কে বাদামি বােতলের মধ্যে রাখা হয় : গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বােতলের মুখ খুললে হালকা কুয়াশার মতাে গ্যাস বের হয় এবং তীব্র ঝাঁজালাে গন্ধ পাওয়া যায়। কাচের বােতলে আলাে প্রবেশ করলে গাঢ় নাইট্রিক এসিড বিয়ােজিত হয়ে বাদামি বর্ণের নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) গ্যাস উৎপন্ন করে। 2HNO3=2NO2+H2O+[O] বাদামী বর্ণের বােতলে আলাে প্রবেশ করতে পারে না। তাই …

HNO3 কে বাদামি বােতলের মধ্যে রাখা হয় কেন ? HNO3 কে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়? Read More »

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের ভৌত ধর্ম: নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড (NO2) গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রাস এসিড (HNO2) ও নাইট্রিক এসিড (HNO3) উৎপন্ন হয়। সাধারণত হালকা ধোয়াসহ গাঢ় নাইট্রিক এসিডে ভরের অনুপাতে 70% নাইট্রিক এসিড থাকে। গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বােতলের মুখ খুললে হালকা কুয়াশা সৃষ্টি হয় এবং তীব্র ঝাঁঝালাে গন্ধ পাওয়া যায়। গাঢ় নাইট্রিক এসিড বিযােজিত হয়ে বাদামি বর্ণের …

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর। Read More »

নাইট্রিক এসিড কাকে বলে? নাইট্রিক এসিড কী? নাইট্রিক এসিড কাকে বলে?

নাইট্রিক এসিড: নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড গ্যাসকে পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে নাইট্রিক এসিড  বলে।

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ভৌত ধর্ম ব্যাখ্যা কর।

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ভৌত ধর্ম : হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস পানিতে অত্যন্ত দ্রবণীয় । এই গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোক্লোরিক এসিডে পরিণত। হয়। সাধারণ গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ভরের অনুপাতে 35% হাইড্রোজেন ক্লোরাইড থাকে। গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বােতলের মুখ খুললে হালকা কুয়াশা সৃষ্টি হয় এবং তীব্র ঝাঁঝালাে গন্ধ পাওয়া যায় ।

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয় কেন ?

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয়: গাঢ় HCl দ্রবণ যে বােতলে রাখা হয় সেই বােতলের মুখ খুললেই হালকা কুয়াশার মতাে সৃষ্টি হয় এবং তীব্র ঝাঁজালাে গন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য গাঢ় HCl এসিডের বোতলের মুখ খােলার আগে নাকে, মুখে মাস্ক এবং চোখে নিরাপদ চশমা পরে নিতে হয়।   HCl (g) + H2O(l) → …

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয় কেন ? Read More »

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)কাকে বলে? গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড কী ?

গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড: তুলনামূলক কম পরিমাণ পানিতে অধিক পরিমাণে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস দ্রবীভূত করে যে এসিড (HCl) তৈরি করা হয় তাকে গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড বলে ।

হাইড্রোক্লোরিক এসিড কাকে বলে ? হাইড্রোক্লোরিক এসিড কী? হাইড্রোক্লোরিক এসিড বলতে কী বোঝ ?

হাইড্রোক্লোরিক এসিড: হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড বলে।

গাঢ় এসিড ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অবলম্বন করা হয় কেন ?

গাঢ় এসিড ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার: গাঢ় এসিড হাতে, মুখে, চোখে বা শরীরে পড়লে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এজন্য হাতে হ্যান্ড গ্লাভস, চোখে গগলস, মুখে মাস্ক, শরীরে অ্যাপ্রােন ইত্যাদি পরিধান করে সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।

গাঢ় এসিড কাকে বলে? গাঢ় এসিড কী ? গাঢ় এসিড বলতে কী বোঝ ? গাঢ় এসিড

গাঢ় এসিড: যে এসিডে পানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে সেই এসিডকে গাঢ় এসিড বলে। যেমন- গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4), গাঢ় নাইট্রিক এসিড (HNO3) ইত্যাদি।

বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে না কেন?

বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে না:   আমরা জানি, কোন যৌগ হাইড্রোজেন আয়ন এর উপস্থিতির কারণে এসিডের প্রদর্শন ধর্ম করে। বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড বর্ণহীন তরল পদার্থ। এখানে নাইট্রিক এসিড় আণবিক অবস্থায় থাকে। ফলে কোনাে হাইড্রোজেন আয়ন উপস্থিত থাকে না। তাই বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে। HNO3(l) + H2O(l) → HNO3(aq) HNO3(aq) …

বিশুদ্ধ নাইট্রিক এসিড এসিডের ধর্ম প্রদর্শন করে না কেন? Read More »

বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ পরিবাহী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ পরিবাহী নয়: কারণ   আমরা জানি, কোনো যৌগ তড়িৎবা বিদ্যুৎপরিবাহী হওয়ার জন্য তাতে বিচ্ছিন্ন আয়ন প্রয়োজন হয়। বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড আণবিক অবস্থায় থাকে অর্থাৎ আয়নিত অবস্থায় থাকে না । ফলে তাতে  বিচ্ছিন্ন আয়নও থাকে না । এজন্য বিশুদ্ধ HCl এসিড বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। বিশুদ্ধ HCl এসিডে পানি যােগ করলে HCl …

বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ পরিবাহী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর। Read More »

এসিডের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। এসিড-ক্ষারক সমতা

অনার্দ্র অক্সালিক এসিডের দানাতে(ক্রিস্টালের উপর) শুষ্ক নীল লিটমাস পেপার স্পর্শ করালে পেপারটির রং পরিবর্তন হয় না কেন?   অনার্দ্র সাইট্রিক এসিডের ক্রিস্টালের উপর শুষ্ক নীল লিটমাস পেপার স্পর্শ করালে পেপারটির রং পরিবর্তন হয় না কেন?    বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিড এর বর্ণ কেমন ?   বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিড এসিডের বৈশিষ্ট্যসূচক …

এসিডের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। এসিড-ক্ষারক সমতা Read More »

H2SO4 ও HCIO4 এর মধ্যে কোনটি তীব্র এসিড ?

H2SO4 অপেক্ষায় HClO4 অধিক তীব্রতর:   আমরা জানি, অক্সি এসিডসমূহের অর্থাৎ অক্সিজেন পরমাণুযুক্ত এসিডসমূহের কেন্দ্রীয় পরমাণুর ধনাত্মক জারণ সংখ্যা যত বেশি ঐ এসিডের তীব্রতা তত বেশি হয়। এখানে H2SO4 এসিডের কেন্দ্রীয় পরমাণু সালফার (S) এর জারণ সংখ্যা হলাে : + 6  । কিন্তু HCIO4  এসিডের কেন্দ্রীয় পরমাণু ক্লোরিন (CI )এর জারণ সংখ্যা হলাে :+7   HCIO4 …

H2SO4 ও HCIO4 এর মধ্যে কোনটি তীব্র এসিড ? Read More »

লঘু এসিডের ধর্মসমূহ বা বৈশিষ্টসমূহ আলোচনা করো।

লঘু এসিডের ধর্মসমূহ বা বৈশিষ্টসমূহ  আলোচনা করা হলো। (i) স্বাদ: সকল লঘু এসিড টক স্বাদযুক্ত। (ii) ক্ষয়কারী: এসিডগুলাে ক্ষয়কারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত। যেমন-এসিডের মধ্যে এক খণ্ড লােহার পাত রাখলে লােহার পাতটির পৃষ্ঠতল ক্ষয়ে ঝাঁঝরা হয়ে যায়। (iii) লিটমাস পরীক্ষা: এসিড নীল বর্ণের লিটমাসকে লাল বর্ণে পরিণত করে।  (iv) সক্রিয় ধাতুর সাথে এসিডের বিক্রিয়া: এসিড সক্রিয় …

লঘু এসিডের ধর্মসমূহ বা বৈশিষ্টসমূহ আলোচনা করো। Read More »

SO2 অম্লধর্মী ব্যাখ্যা করাে। সালফার ডাই অক্সাইড এর প্রকৃতি ব্যাখ্যা করাে।

SO2 মূলত অম্লধর্মী কারণ: সালফার পর্যায় সারণীর 16 তম গ্রুপে অবস্থিত এবং একে বায়ুতে পােড়ালে SO2 উৎপন্ন হয় । SO2 মূলত অম্লধর্মী কারণ এটি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে যা নীল লিটমাসকে লাল করে এবং ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।    SO2(g) + H2O → H2SO3(aq)

এসিডের সাথে ধাতব কার্বনেটের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।

এসিডের সাথে ধাতব কার্বনেটের বিক্রিয়া: এসিডের সাথে ধাতব কার্বনেটের বিক্রিয়ায় লবণ, পানি ও কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। যেমন- সােডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3) লঘু নাইট্রিক এসিড (HNO3) এর সাথে বিক্রিয়া করে সােডিয়াম নাইট্রেট (NaNO3) লবণ, পানি (H2O) ও কার্বনডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস উৎপন্ন করে। বিক্রিয়া: Na2CO3 + 2HNO3 → 2NaNO3 + H2O + CO2

লঘু H2SO4 এর সাথে Cu বিক্রিয়া করে না কেন? Cu এসিড থেকে Hকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না কেন?

লঘু H2SO4 এর সাথে Cu বিক্রিয়া করে না: কারণ ধাতুসমূহের সক্রিয়তার সিরিজে Cu এর অবস্থান H এর অবস্থানের নিচে অর্থাৎ Cu এর সক্রিয়তা H এর সক্রিয়তা  থেকে কম ।তাই Cu, H2SO4 থেকে Hকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। অপরদিকে, লঘু H2SO4 এর কোনাে জারণ ধর্ম নেই। তাই লঘু H2SO4 জায়মান অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারে না। এজন্য …

লঘু H2SO4 এর সাথে Cu বিক্রিয়া করে না কেন? Cu এসিড থেকে Hকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না কেন? Read More »

অধাতু হওয়া সত্ত্বেও হাইড্রোজেনকে সক্রিয়তা সিরিজে রাখা হয়েছে কেন?

যদিও হাইড্রোজেন ধাতু নয়, তথাপি ইহা এসিডসমূহে ধনাত্বক অংশ হিসেবে থাকে। এ কারণে হাইড্রোজেনকে সক্রিয়তা সিরিজে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ সিরিজ হতে সহজে বুঝা যায় যে, হাইড্রোজেনের উপরে যে সকল ধাতু আছে তারা বিভিন্ন এসিড় হতে হাইড্রোজেনকে অপসারণ বা প্রতিস্থাপন করতে পারবে কিন্তু এ সিরিজে  হাইড্রোজেনের নিচের ধাতুসমূহ তা করতে পারে না। Zn + H2SO4(aq) …

অধাতু হওয়া সত্ত্বেও হাইড্রোজেনকে সক্রিয়তা সিরিজে রাখা হয়েছে কেন? Read More »

সক্রিয়তা ক্রম কী ? সক্রিয়তা সিরিজ বলতে কী বোঝ ? তড়িৎরাসায়নিক সিরিজ কাকে বলে ?

সক্রিয়তা ক্রম/ সক্রিয়তা সিরিজ/ তড়িৎরাসায়নিক সিরিজ: অধিক সক্রিয় ধাতুকে উপরে এবং তা অপেক্ষা কম সক্রিয় ধাতুকে নিচে রেখে পরপর সাজালে ধাতুসমূহের যে সংখ্যাক্রম পাওয়া যায় তাকে ধাতুসমূহের সক্রিয়তা ক্রম/ সক্রিয়তা সিরিজ/ তড়িৎরাসায়নিক সিরিজ বলে।

বিভিন্ন এসিড । পাকস্থলিতে কোন এসিড । লেবু ও তেতুলে কোন এসিড । সফট ড্রিংকস-এ কোন এসিড

 ১.পাকস্থলিতে কোন এসিড উৎপন্ন হয়? উঃ পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) উৎপন্ন হয়। ২.পাকস্থলিতে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে কী হয়? উঃ পাকস্থলিতে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে পাকস্থলি ও গলায় প্রদাহ অনুভব হয়। ৩.লেবু ও তেতুলে কোন এসিড থাকে? উঃ লেবুতে সাইট্রিক এসিড এবং তেতুলে টারটারিক এসিড থাকে। ৪.সফট ড্রিংকস-এ কোন এসিড থাকে? উঃ কার্বনিক এসিড থাকে।

পেপটিক আলসার কাকে বলে? গ্যাস্ট্রিক আলসার কাকে বলে?

পেপটিক আলসার: পাকস্থলীর দেয়াল থেকে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হয়ে তা পাকস্থলীর দেয়ালের কোষগুলােকে ভেঙে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি করে। ফলে পেটে ব্যথা শুরু হয়। এই অবস্থাকে পেপটিক আলসার বলে।

পাকস্থলীতে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হলে কী ঘটে? অথবা খাদ্য গ্রহণ না করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকলে কী ঘটে ?

পাকস্থলীর দেয়াল থেকে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হয়ে তা পাকস্থলীর দেয়ালের কোষগুলােকে ভাঙতে শুরু করে। আবার, খাদ্য গ্রহণ না করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকলে অর্থাৎ পাকস্থলী খালি রাখলে নিঃসরিত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) পাকস্থলীর দেয়ালের কোষগুলােকে ভেঙে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি করে। ফলে পেটে ব্যথা শুরু হয়। এই অবস্থাকে পেপটিক আলসার বলে। তাই বেশিক্ষণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকা …

পাকস্থলীতে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) নিঃসরিত হলে কী ঘটে? অথবা খাদ্য গ্রহণ না করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকলে কী ঘটে ? Read More »

আমাদের শরীরে খাদ্যের মাধমে গ্রহণকৃত এসিডের প্রভাব আলোচনা করো।

খাদ্যের মাধমে গ্রহণকৃত এসিডগুলো আমাদের খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং শরীরের রােগ প্রতিরােধ করে। আবার, আচার জাতীয় অনেক এসিডযুক্ত খাদ্য আছে যেগুলাে আমাদের খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। এসব এসিড খুবই দুর্বল প্রকৃতির হওয়ায় এগুলাে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে না। আবার, এগুলাে খেতে টক স্বাদযুক্ত। আমাদের পাকস্থলীর দেয়াল থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হয়। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী …

আমাদের শরীরে খাদ্যের মাধমে গ্রহণকৃত এসিডের প্রভাব আলোচনা করো। Read More »

কীভাবে বিভিন্ন এসিড আমাদের শরীরে প্রবেশ করে?

আমরা প্রতিদিন অনেক খাবার গ্রহণ করি যেগুলাের মাঝে বিভিন্ন ধরনের এসিড থাকে। যেমন—দুধের মধ্যে ল্যাকটিক এসিড, সফট ড্রিংকসে কার্বনিক এসিড, কমলালেবু বা লেবুতে সাইট্রিক এসিড, তেঁতুলে টারটারিক এসিড, ভিনেগারে ইথানয়িক এসিড, চায়ে ট্যানিক এসিড ইত্যাদি। এই খাদ্যগুলাে যখন আমরা খাই তখন খাদ্যের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এসিডগুলাে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ল্যাকটিক এসিড→ C3H6O3 কার্বনিক এসিড→ H2CO3 …

কীভাবে বিভিন্ন এসিড আমাদের শরীরে প্রবেশ করে? Read More »

লঘু এসিড কাকে বলে? লঘু এসিড কী ? লঘু এসিড বলতে কী বোঝ?

এসিডের জলীয় দ্রবণে পানির পরিমাণ যদি এসিডের তুলনায় অনেক বেশি হয় তবে তাকে লঘু এসিড বলে। যেমন-৪% সালফিউরিক এসিড (H2SO4)। এই এসিডে শতকরা ৪ ভাগ H2SO4 এবং ৯৬ ভাগ পানি ।

গাঢ় এসিড কাকে বলে? গাঢ় এসিড কী? গাঢ় এসিড বলতে কী বোঝ?

এসিড ও পানির দ্রবণে এসিডের পরিমাণ যদি বেশি থাকে তবে তাকে গাঢ় এসিড বলে। যেমন -গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), গাঢ় সালফিউরিক এসিড (H2SO4) ইত্যাদি ।

এসিড বিয়োজনের ক্ষেত্রে একমুখী বা উভমূখী তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন ?

তীব্র এসিড বা সবল এসিড বিয়ােজন বােঝাতে একটিমাত্র তীর চিহ্ন(→) ব্যবহার করা হয়। যেমন-HCl ও H2SO4 এর ক্ষেত্রে একটিমাত্র তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় । এর অর্থ হলাে HCl ও H2SO4 পানিতে সম্পূর্ণ (100%) বিয়ােজিত হয়। HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) অপরদিকে, মৃদু এসিড বা দুর্বল …

এসিড বিয়োজনের ক্ষেত্রে একমুখী বা উভমূখী তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন ? Read More »

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) কীভাবে বিয়ােজিত হয় ?

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4) জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয়। HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) HNO3 + H2O → H+(aq) + NO3–(aq) H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) অপরদিকে, কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয়। H2CO3(aq) ⇆ 2H+(aq) + CO32-(aq)CH3COOH(aq) ⇆ H+(aq) + …

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) কীভাবে বিয়ােজিত হয় ? Read More »

CH3COOH কে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর।

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে   তাদেরকে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলে। যেহেতু CH3COOH জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে তাই CH3COOH কে মৃদু এসিড বা দুর্বল  এসিড বলা হয়। CH3COOH(aq) ⇆ H+(aq) + CH3COO–(aq) (আংশিক বিয়ােজিত) 25°C …

CH3COOH কে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর। Read More »

কার্বনিক এসিডকে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলা হয় কেন?

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে  তাদেরকে মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড বলে। যেহেতু কার্বনিক এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমান হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে তাই কার্বনিক এসিডকে মৃদু এসিড বা দুর্বল  এসিড বলা হয়। H2CO3(aq) ⇆ 2H+(aq) + CO32-(aq)  (আংশিক বিয়ােজিত)

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), সাফিউরিক এসিড (H2SO4), নাইট্রিক এসিড (HNO3) ইত্যাদি প্রত্যেকে একটি তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড – ব্যাখ্যা করো ।

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয় তাদেরকে তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড বলে। যেহেতু হাইড্রোক্লোরিক এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয়, তাই হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) একটি তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড ।   HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) একইভাবে অন্যান্য এসিড ব্যাখ্যা করতে হবে।

মৃদু এসিড বা দুর্বল এসিড কাকে বলে?

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়ােজিত হয় এবং অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন আয়ন(H+) উৎপন্ন করে  তাদেরকে দুর্বল এসিড বলে। যেমনঃ কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি।

তীব্র এসিড,শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড কাকে বলে?

যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ(100%) বিয়ােজিত হয় তাদেরকে তীব্র এসিড, শক্তিশালী এসিড বা সবল এসিড বলে। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিড় (HCl), সাফিউরিক এসিড (H2SO4), নাইট্রিক এসি(HNO3) ইত্যাদি।

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিকএসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড(CH3COOH) ইত্যাদি প্রত্যেকে একটি এসিড -ব্যাখ্যা করো।

সালফিউৱিক এসিড একটি এসিড। কারণ এটি এসিডের বৈশিষ্ট প্রর্দশন করে। যেমন – (i) এটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন সৃষ্টি করে।  H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) (ii) এটি নীল লিটমাসকে লাল করে । H2SO4 + H2O → 2H+(aq) + SO42-(aq) H+ + নীল লিটমাস → লাল লিটমাস (iii) এটি ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও …

হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিকএসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড(CH3COOH) ইত্যাদি প্রত্যেকে একটি এসিড -ব্যাখ্যা করো। Read More »

অম্ল বা এসিড কাকে বলে? এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।

হাইড্রোজেনযুক্ত যে সব যৌগ জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে(ভেঙে) হাইড্রোজেন আয়ন বা প্রােটন (H+) দান করে তাদেরকে অম্ল বা এসিড বলে। যেমন- হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl),  নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4), কার্বনিক এসিড (H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি । HCl + H2O → H+(aq) + Cl–(aq) HNO3 + H2O → H+(aq) + NO3–(aq) H2SO4 + H2O …

অম্ল বা এসিড কাকে বলে? এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর। Read More »

কোনাে দ্রবণ এসিডধর্মী না ক্ষারধর্মী তা আমরা ল্যাবরেটরিতে কীভাবে জানতে পারি?

কোনাে দ্রবণ এসিডধর্মী না ক্ষারধর্মী তা আমরা ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি। এদের মধ্যে লিটমাস পরীক্ষা, pH মান পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

ল্যাবরেটরিতে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কী ধরণের অ্যাসিড বা ক্ষার ব্যবহার করে থাকি?

ল্যাবরেটরিতে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য গাঢ় এসিড বা গাঢ় ক্ষারের পরিবর্তে লঘু এসিড বা লঘু ক্ষারই বেশি ব্যবহার করে থাকি ।

error: Content is protected !!